30 C
Dhaka
Wednesday, March 27, 2024

মেমব্রেন কিবোর্ড কে মেকানিক্যাল বলে চালাচ্ছে Walton?

- Advertisement -

ওয়ালটন থেকে এধরনের একটা ঘটনায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছে। সরাসরি ব্র‍্যান্ড নিজে এধরনের কাজে জড়িত এমনটা হয়ত নয়। তবে আরএনডি টিম, প্রোডাক্ট ম্যানেজার অথবা মার্কেটিং, দায় কাউকে না কাউকে তো নিতেই হবে।

 

- Advertisement -

বাংলাদেশ মেকানিক্যাল কিবোর্ড কমিউনিটিতে বিষয়টি সর্বপ্রথম সবার সামনে আসে……।।

সর্বপ্রথম বাংলাদেশের  মেকানিক্যাল কিবোর্ড সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপ Bangladesh Mechanical Keyboard Community এ গতকাল Mahin Ahmed নামক আইডি  থেকে পোস্ট করা হয় Walton এর WKM001WB মডেলের কিবোর্ডটিকে নিয়ে।পোস্টের ভাষ্য অনুযায়ী কিবোর্ডটির Owner Shahriar Islam Fahim । তিনি কিবোর্ডটি খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার সময় আবিষ্কার করেন প্রকৃতপক্ষে মেকানিক্যাল কিবোর্ড নামে পরিচিতি পেয়ে আসা ও সব ধরনের বিজ্ঞাপন,লিস্টিং,স্পেক শিটে সুইচ টাইপ মেকানিক্যাল উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি মেম্ব্রেন কিবোর্ড। কেননা সুইচটি উঠানোর পর নিচে ঠিকই দেখতে পাওয়া যায় মেম্ব্রেন কিবোর্ডের রাবার ফোম। পোস্টে সুইচ উঠানো অবস্থায় কিবোর্ডটির zoomed in ছবি ও সুইচ এর আলাদা ছবির সাথে সাইটের স্পেক এর স্ক্রিনশট ও যুক্ত করা ছিল।।

- Advertisement -

প্রথম পোস্টের লিংকঃBMKC: Posted by Mahin Ahmed

কমেন্ট সেকশনে আলোচনার ঝড় বয়ে যায় ও খুবই দ্রুত পোস্টটি অন্যন্য গ্রুপ গুলোতে circulated হয়ে যেতে থাকে।

সুইচ সম্পর্কেও তথ্য স্পষ্ট নয়?

আরো উল্লেখ্য যে একই গ্রুপে অন্য একটি পোস্ট থেকে এরকম তথ্য পাওয়া গিয়েছে যে ওয়াল্টনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল  এই কিবোর্ডটির সুইচ Outemu Blue, এমনকি এটি যাতে ব্লু সুইচ এর মত ফিল দেয় ও শব্দ ও সেরকম হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। “long-handed spring” ব্যবহার করে clicky sound ও tactile feedback টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। মেম্ব্রেনের উপর একটি প্লাস্টিক দেওয়া ছিল। তিনি সম্পুর্ণ সুইচটিরই Teardown করে দেখান। এই পোস্টেই প্রথমবারের মত একটি নয় বরং সম্পুর্ণ কিবোর্ডটিরই ভেতরের অংশ ও সবগুলো সুইচের নিচেই যে মেম্ব্রেন দেওয়া তা নিশ্চিতভাবে স্পষ্ট দেখা যায়।

- Advertisement -

এই পোস্টের লিংকঃBMKC: Posted by: Sohel Ahmed Jony

ভুল বুঝতে পেরে সাইটে ডেস্ক্রিপশন চেঞ্জ করে ওয়াল্টনঃ

পরদিন সকালে স্বাভাবিকভাবেই পোস্টটি আরো অনেকগুলো গ্রুপে ছড়িয়ে যায়। সাথে সাথে আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য ও সামনে চলে আসে যে ওয়াল্টন রাতারাতি তাদের ওয়েবসাইটে কিবোর্ড মডেলটির specs/details সেকশনে মডেলের পাশে ব্রাকেটে (High precision mechanical keyboard) শব্দগুলো সরিয়ে (semi mechanical keyboard) শব্দগুলো যোগ করে। এটিও খুবই দ্রুত মেকানিক্যাল কিবোর্ড গ্রুপ সহ অন্যন্য গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।

Product link:walton site

ক্যাশ মেমো,বক্সে মেকানিক্যাল উল্লেখ নেই?

Ahmed Mostafa Masud নামক আইডি থেকে মেকানিক্যাল কিবোর্ড গ্রুপে পোস্ট করা হয় কিবোর্ডের বক্স,কিবোর্ড ও মেমোর ছবি। এই পোস্টটির সারমর্ম মোটামুটি এরকম যে এই কেসটিতে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেও সুফল পাওয়ার সুযোগ নেই কারণ সাইটেও এখন লেখা সেমি ম্যাক্যানিকাল কিবোর্ড, মেমোর কোথাও মেক্যানিকাল শব্দটি উল্লেখ নেই এমনকি কিবোর্ড,ম্যানুয়াল,প্যাকেট কোথাও Mechanical কথাটির উল্লেখ নেই। বরং প্যাকেটের গায়ে শুধু high precision লেখা। উল্লেখ্য, তিনি পরে জানিয়েছেন যে অফিশিয়ালি তিনি একটি অভিযোগ ইস্যু করতে চান এই ব্যাপারে ওয়াল্টনের বিরুদ্ধে।

এই পোস্টের লিংকঃBMKC: posted by Ahmed Mostafa Masud

ঘটনাটি ছড়িয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ গুলোতেওঃ

দেশীয় পিসি গ্রুপগুলো ছাড়াও খুবই দ্রুততর সময়ের মধ্যে ঘটনাটি কিছু International Group এও ছড়িয়ে যায়। জনপ্রিয় পিসি বিল্ডিং গ্রুপ PC Masterrace (PCMR) গ্রুপেও এই সম্পর্কে পোস্ট হতে দেখা যায়। পোস্টে লোকাল গ্রুপে পোস্টের স্ক্রিনশট ও ক্যাপশনে ব্রান্ড হিসেবে বাংলাদেশের নাম ওয়াল্টনের কথা উল্লেখ ছিল।এবং এখান থেকে আরো কয়েকটি গ্রুপ ও ফোরামেও ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়া খুব বেশি অস্বাভাবিক নয়।

একই দিনে The Business Standard এর সাইটে কিবোর্ডটির প্রশংসায় আর্টিকেল পাবলিশঃ

TBS News link

চারিদিকে যখন ওয়াল্টনের এই মেকা কেলেঙ্কারী নিয়ে আলোচনা চলছে। ঠিক সেই মুহুর্তেই The Business Standard এর ওয়েবসাইটে দুপুর বারোটার সামান্য আগে ওয়াল্টনের মেকানিক্যাল কিবোর্ড এর রিভিউ/ওভারভিউ/ভুয়সী প্রশংসা করে একটি আর্টিকেল পাবলিশড হয় যার টাইটেল ছিল Walton “WKM001WB mechanical keyboard: A decent appetiser”। ২৩০০টাকায় কনজিউমারদের মেকানিক্যাল কিবোর্ডের জগতে প্রবেশ করার সুযোগ দিচ্ছে ওয়াল্টন এটি ছিল তার ট্যাগলাইন।

প্রোডাক্টে কস্ট কাটিং করা হয়েছে কার্যত তারা এই আর্টিকেলে উল্লেখ করে।  RGB,Macro,Braided cable ইত্যাদি নেই এই কিবোর্ডে তা উল্লেখ করা হয়। Wrist rest, drain hole এর কথাও উল্লেখ করা হয়।

তবে এই আর্টিকেলটি  মেকানিক্যাল কিবোর্ড এর সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় সুইচ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্যই দিতে পারেনি। বরং তারা উল্লেখ করে তাদের ইন্সপেকশন অনুসারে সুইচগুলো ‘Content Blues’ (যেগুলো তাদের মতে চাইনিজ Cherry MX এর Clone)। ওয়াল্টন কোনো Keycap Puller দেয়নি ও এই কিবোর্ডটির সাউন্ড বেশি হওয়াকে ও এর সাথে সাথে মাত্র ৬ মাসের ওয়ারেন্টির ব্যাপারটিকে negative side হিসেবে উল্লেখ করে তারা।

তবে এত আলোচনার পরেও যেহেতু কিবোর্ডটির প্রকৃত অবস্থা তারা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি ও সুইচ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে সক্ষম হয়নি সেজন্য এই আর্টিকেলটি মোটামুটি useless ও credibility বিহীন হয়ে পড়েছে।বরং তারা শেষে উল্লেখ করে যারা কম খরচে মেকানিক্যাল এর স্বাদ পেতে চায় তাদের জন্য ভালো চয়েস হতে পারে এটি।

তবে বলা বাহুল্য, TBS যে সরাসরি Outemu Blue সুইচ রয়েছে তা নিশ্চিতভাবে দাবী করেনি,বরং চাইনিজ ক্লোন সুইচ বলেছে, সেটিই অনেক। অন্যথায় তাদের এই আর্টিকেলটি আরো সমালোচনার মুখে পড়তো।

আপডেটঃ

আর্টিকেল পাবলিশের কয়েক ঘন্টা পরে TBS তাদের আর্টিকেলটি এডিট করে চলমান বিতর্কের কথা স্বীকার  করে ও সেক্ষেত্রে এই কিবোর্ডটি মেকানিক্যাল নয় ও এটাকে তারা সেমি মেক্যানিক্যাল বা Membranical  নামে আখ্যায়িত করে।ওয়াল্টন তাদের সাইটে স্পেকস সেকশনে চেঞ্জ করেছে সেটিও তাদের আর্টিকেলে দেখতে পাওয়া যায়।

রিভিউগুলোর কি অবস্থা?

এই কিবোর্ডটির বেশ অনেকগুলো রিভিউ ইউটিউবে রয়েছে। বরং সেগুলোর প্রায় সবগুলোতেই কম দামে ভালো অপশন,ভ্যালু ফর মানি ইত্যাদি কথা বলা হয়েছে। বলা যায় কেওই এই কিবোর্ডটি নিয়ে Deep investigation এ যান নি। অনেকক্ষেত্রে রিভিউ ইউনিট হওয়ার কারণে তাদের পক্ষে হয়তো teardown করার সুযোগ ও ছিল না। কিবোর্ডের সুইচ তুললে কেন ওয়ারেন্টি ভয়েড হবে এটি নিয়েও ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে প্রশ্ন তুলেছেন মেম্বার রা ও বলার চেষ্টা করছেন ওয়াল্টনের স্ক্যাম যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্যই ওয়াল্টন এ নিয়ম জারি করেছিল।

যাই হোক,রিভিউ গুলোতে বিল্ড কোয়ালিটি,টাইপিং এক্সপেরিয়েন্স এগুলো নিয়েই টুকটাক প্রশংসা করা হয়েছে কিন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেওই সুইচ সম্পর্কে সঠিক তথ্য,বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেন নি যেটি কি না একটি মেকানিক্যাল কিবোর্ড রিভিউ এর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ অংশ ।কেও কেও সরাসরি ব্লু সুইচ রয়েছে উল্লেখ করেই কাজ সম্পন্ন করেছেন। দুই একজন Keycaps নিয়ে কথা বলেছেন কিন্ত সুইচ নিয়ে কিছু বলেন নি , পয়সা উসুল কিবোর্ড আখ্যা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়েছেন তারা। একজনকে বলতে দেখলাম যে আবিষ্কার করেছেন যে সুইচের নামঃ content blue switch. তবে সুইচ যেটাই হোক না কেন এখন আর সেটা আলোচনার বিষয় থাকছে না কেননা নিচে মেম্ব্রেন থাকায় পুরো ব্যাপারটিই এখন scam এর পর্যায়েই চলে গিয়েছে।

আরো একজন সরাসরি উল্লেখ করে দিলেন যে Outemu এর Blue switch ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রিভিউগুলো এই কিবোর্ড এর প্রকৃত অবস্থা যেমন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি, উপর উপর দিয়ে টাইপিং এক্সপেরিয়েন্স,শব্দ,বিল্ড,ডিজাইন ও সুইচের নাম বলেই শেষ করায় কেনার আগে অনেকেই মিসগাইড হয়েছেন কেননা কম দামে মেকানিক্যাল হওয়ায় সবাই দিন শেষে এটাকে buy it.recommended. ইত্যাদি রায় দিয়েই শেষ করেছেন। কেও নুন্যতম সন্দেহ ও প্রকাশ করেন নি ও কোনো বিস্তারিত সমালোচনা ও করেন নি।কারো কারো মতে এই প্রাইসে এর থেকে বেটার পাওয়া খুবই টাফ হবে।

অতএব কেও কেও সুইচ নাম স্পষ্ট বলতে পারেন নি, কেও কেও বলতে গিয়ে প্রমাণ ছাড়া সম্পুর্ণ ভুল একটি ব্রান্ডের নাম বলে দিয়েছেন ,আর সুইচের নিচে কি আছে তা কেও ঘেটেও দেখেন নি।

এজন্যই যারা কিনেছেন বেশিরভাগই না জেনেই কিনে ফেলেছেন, kind of Misguide হয়েছেন।

ওয়াল্টনের জন্য এ ঘটনা কতটা স্বস্তিদায়ক?

সত্য কথা বলতে এই ঘটনাটিকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই ও কোনোভাবেই Defend/justify করার সুযোগ নেই। ওয়াল্টনকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী,আমজনতার মধ্যে একটি বিরাট অংশেরই রয়েছে রাগ,ক্ষোভ বা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের পিসি ,টেক কমিউনিটিগুলোতে কমেন্ট সেকশনে সেগুলো দেখা যায়। ল্যাপটপ সেকশনে ভ্যালু ফর মানি প্রোডাক্ট আনা কিংবা শেষ কয়েক বছরে এসএসডি,র‍্যাম কম দামে বাজারে ছেড়ে প্রচুর পজিটিভ রিভিউ ও প্রশংসা কুড়িয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ওয়াল্টন প্রায় একটি positive impression তৈরী করে ফেলেছিল। বর্তমানে তাদের শুভাকাঙ্খীর সংখ্যা ও হু হু করে বাড়ছিল।

কোভিডকালে GPU শর্টেজের সময় কম দামে রেডি পিসি অফার করেও ব্যাপক প্রশংসা তারা অর্জন করেছিল। ঠিক এই মুহুর্তে এরকম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা সামনে আসাটা তাদের জন্য অনেক বড় একটি ধাক্কা। এই ঘটনায় ওয়াল্টনের প্রতি ইউজার/কনজিউমার বা দেশের টেক বোদ্ধা দের বিশ্বাস প্রায় তলানীতে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অফিশিয়াল/আনঅফিশিয়াল স্টেটমেন্ট আমরা তাদের থেকে  পাওয়া যায়নি। এটি এমন একটি ঘটনা যে একটি apology পোস্ট বা নোটিস দিয়ে হয়তো ব্যাপারটিকে ঢেকে ফেলা বা সামলানো যাবে না। উপরন্তু রাতারাতি ওয়েবসাইটে স্পেক শিটে পরিবর্তন আনার ঘটনাটি সাধারণ মানুষের মনে আরো বিরক্তি ও অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে।প্রোডাক্টের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে মিথ্যাচার, বিশেষ করে একটি প্রোডাক্টের টাইপ সম্পুর্ণ আলাদা উল্লেখ করা ও প্রকৃতপক্ষে তা না দেওয়া প্রতারণার শামিল। ওয়াল্টনের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে একটি পরিষ্কার ব্যাখ্যামুলক বার্তা যেন তারা সবার উদ্দেশ্যে পৌছে দেয় ও তাদের ভুল স্বীকার করে নেয় ও ভবিষ্যতে এরকম ভুল যেন তারা আর না করে। তবে এগুলোর পরিবর্তে যদি ঘটনাটিকে বেমালুম অস্বীকার করে ও স্পষ্টভাবে ক্ষমা না চায় ও Buyer দের সাথে যোগাযোগ না করে তাহলে পরিস্থিতি যেমন আরো ঘোলাটে হবে,তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও অনেকটাই নিচের দিকে নেমে যাবে বলেই মনে মনে হচ্ছে।

আপডেটঃ

অবশেষে রাত ৯টা নাগাদ Walton Computer নামক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ওয়াল্টন একটি অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট প্রদান করে। সেখানে তারা পন্যটিকে সেমি-মেকানিক্যাল বলে আখ্যায়িত করে ও পুর্বে তাদের ওয়েবসাইটে মেকানিক্যাল হিসেবে লেখা ছিল সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করে।পন্যের কোথাও মেকানিক্যাল কিবোর্ড লেখা নেই সেটিও তারা স্বীকার করে নেয় ও সর্বশেষ তারা যারা এই ব্যাপারটি সবার সামনে তুলে ধরেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here