26 C
Dhaka
Tuesday, March 26, 2024

Cricket 19-সেরা ক্রিকেট গেম? Mega Review

Everything you need to know about Cricket 19

- Advertisement -

ক্রিকেট গেম বলতেই আমরা সাধারণত EA Sports এর Cricket 07 কে এবং তার আনঅফিশিয়াল মডগুলোকেই চিনি। ক্রিকেট ফ্যান এর সংখ্যা আমাদের দেশে নেহাত কম নয় কিন্ত ভালো ক্রিকেট গেম না থাকায় একটা আক্ষেপও কাজ করে ক্রিকেট লাভার গেমারদের মধ্যে। আজ ফুল রিভিউ হবে Best and most underrated ক্রিকেট গেম Cricket 19 (Big ant series) এর।

  • ভুমিকা
  • রিকোয়ারমেন্টস
  • গেম মোডস
  • অনলাইন এবং কমিউনিটি
  • গেমপ্লে এবং গ্রাফিক্স
  • একাডেমী ও ট্রেনিং
  • additional on the game and off the game options to talk about
  • খুটিনাটি নেতিবাচক দিক
  • AT A GLANCE GALLERY
  • উপসংহার

 

- Advertisement -

 

ভুমিকা

গেমটির ডেভেলপার অস্ট্রেলিয়ার Big Ant Studios। ক্রিকেট ১৯ এই ডেভেলপারের ডেভেলপ করা 5 নাম্বার ক্রিকেট গেম। 2014 সালে Don Bradman Cricket 14 দিয়ে যার যাত্রা শুরু হয়। অনেক বছর পর একটি ক্রিকেট গেম হিসেবে গ্রাফিক্স, গেমপ্লে,কন্ট্রোল,গেম মোডস সহ সব কিছুতেই নতুনত্ব থাকায় মিলিয়ে বেশ ভালোই সুনাম কুড়িয়েছিল গেমটি। অফিশিয়াল লাইসেন্স এর দল না থাকলেও অনলাইনে তা এভেলেবল থাকায় বেশ ভালো চলেছিল। ক্রিটিকদের রিভিউ ও ছিল ভাল।

এর কয়েকবছর পর Don Bradman Cricket 17 নিয়ে আসে তারা। গেমটি বরং আগের চেয়ে বেশি রিফাইনড,পালিশড,পারফেক্ট করেই ডেলিভার করতে চেষ্টা করেছিল তারা। ক্রিকেট এর জনপ্রিয়তা ওইভাবে বিশ্বজুড়ে না থাকায় ফিফা বা পেসের মত চাহিদা, সেল কখনোই এই খেলার ক্ষেত্রে হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট জনপ্রিয় হওয়ায় লোকালি যথেষ্ট হাইপড ছিল গেমটি।যথারীতি ভালো,খারাপ দিক উভয়ই ছিল।

- Advertisement -

২০১৭, এশেজের অফিশিয়াল গেম হিসেবে বাজারে আসে Ashes Cricket 17, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদাভাবে কিছু বলার ও নেই আবার যারা জানার তারা ভালোমতই জানেন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার ঐতিহাসিক দ্বৈরথ এশেজ সম্পর্কে। এর মধ্যে তাদের কি পরিমাণ উত্তেজনা উচ্ছাস,আবেগ আত্মসম্মান জড়িয়ে আছে।। এই গেমগুলোর বেসিক আসলে একই ছিল বরং প্রতিটি রিলিজে বিগ এন্ট কেবলমাত্র সর্বোচ্চ improvement এরই চেষ্টা করে গেছে।

এর পর Big Bash Cricket এ ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করলেও তা সেরকম ভাবে কাজে লাগেনি।

এবং সর্বশেষ আসলো ১৯ সালের এসেজের অফিশিয়াল গেম Cricket 19। এক্ষেত্রে তারা বেসিকেই ফিরে এসেছে বলা যায়।।

- Advertisement -

Requirements:

Minimum:

    • Processor: Intel Core i3-3210 / AMD Athlon II X4 555
    • Memory: 4 GB RAM
    • Graphics: Radeon HD 6670 or NVIDIA Geforce GT710 with Min 2GB Memory
    • Additional Notes: Controller Required

Recommended:

    • Processor: Intel Core i5-4200 / AMD Phenom II X4 970
    • Memory: 8 GB RAM
    • Graphics: AMD Radeon R9 390X or NVIDIA GeForce GTX 970 with minimum 2GB Memory
    • Additional Notes: Controller Required

গেম মোডসঃ

Ashes:Enjoy the biggest rivalry

Ashes

গেমটি এশেজের অফিশিয়াল গেম আগেই বলেছি।। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের অফিশিয়াল টিম,ফেস,প্লেয়ারস নিয়ে সম্পুর্ণ উপভোগ করতে পারবেন সম্পুর্ণ সিরিজ।। স্টেডিয়াম,জার্সি সবকিছুই অফিশিয়াল।

ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপঃ

World Championship

নক আউট টুর্নামেন্ট জাতীয় বড় চ্যাম্পিয়নশীপ বলা যায়। টেস্ট টিটোয়েন্টি,ওয়ানডে, ফিমেলস টিটোয়েন্টি,টেস্ট ওয়ানডে খেলা যাবে।

টিম হিসেবে ছোট বড় প্রায় সব টিমই পেয়ে যাবেন এবং তাদের রেটিং ও মোটামুটি বাস্তব সম্মত।। তবে যেহেতু অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড বাদে অন্য টিমের লাইসেন্স নেই সেজন্য ওই টিমগুলোর জার্সি,লোগো,প্লেয়ার এর নাম চেহারা রিয়েল পাওয়া যাবে না।

তবে এর সমাধান করার প্রচুর জায়গা রয়েছে, বিশাল কমুনিটি থেকে লেটেস্ট প্লেয়ার ডাউনলোড করতে পারবেন যাদের রেটিং,নাম,চেহারা সবকিছু অরিজিনাল।। এবং লোগো ও কাস্টমাইজ করে নেওয়া যাবে ডাউনলোড করা যাবে।

ক্যারিয়ার মোডঃ

Career Mode

ক্যারিয়ার মোডে একজন existing player এর রোলে খেলা যাবে।। অথবা একজন আনকোরা/নতুন/ rookie প্লেয়ার  এর ও রোলে খেলা যাবে। দ্বিতীয় পার্টটিই বেশি উপভোগ্য।। একজন অনভিজ্ঞ প্লেয়ারকে নিয়ে প্রথমে ক্লাবে খেলা, বিভিন্ন টাস্ক,প্রাক্টিস, টুর্নামেন্ট, ম্যাচে ভালো করা, স্পন্সর পাওয়া, জনপ্রিয়তা পাওয়া, আস্তে আস্তে লেভেল আপ, ভালো ক্লাবে যাওয়া, বড় টিমে ডাক পাওয়া , যেমনটা হয়ে থাকে বাস্তবে।।

gallery:Career,coach(tap to view)

সাথে থাকবেন একজন কোচ। ক্যারিয়ারের শুরু আগেই একটি মেনুতে প্লেয়ারের নাম, ভয়েস,শর্টনেম,কমেন্ট্রি নেম সেট করা যাবে, বডি স্ট্রাকচার,ফেস ক্রিয়েট করা যাবে, প্লেয়ারের batting hand,bowling hand, রোল .mentality, টিম সিলেক্ট করে নিতে হবে। তারপর শুরু হবে জার্নি।

Gallery:Setting up player in career mode(Tap to view)

মুলত একজন অচেনা অখ্যাত গলির প্লেয়ার হতে সুপারস্টার হওয়ার জার্নিটাই উপভোগ করা যাবে ক্যারিয়ারে।

ট্যুর এবং কম্পিটিশনঃ

কিছু কমপ্লিট রেডি ট্যুর রয়েছে যেগুলো খেলা যাবে।। Pakistan tour to Australia, India Tour to South Africa ইত্যাদি।

সাথে বেশ কিছু ফিচারড কম্পিটিশন/লীগ রয়েছে।। সেগুলো ও খেলা যাবে।

gallery:Tours and competitions(tap to view)

Play now:কুইক ম্যাচ 

Play now

অফলাইনে ফ্রেন্ডের সাথে কন্ট্রোলারে ডাবল প্লেয়ার ম্যাচ খেলার অপশনে রয়েছে প্রচুর flexibility.

ম্যাচ টাইপে টেস্ট,ওয়ানডে,৪০ ওভার, ২০ ওভার,১০ ওভার,৫ ওভার, সুপার ওভার, ৩দিন,৪দিন, ক্লাব টিটোয়েন্টি,ক্লাব টেস্ট, ক্লাব ওয়ানডে সহ প্রচুর ভ্যারাইটির ম্যাচ খেলা যাবে।। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে প্রায় সবগুলো টাইপই কিন্ত Female team নিয়েও খেলতে পারবেন।

gallery:Stadiums and match settings(Tap to view)

ম্যাচ সেটিংস এ স্টেডিয়াম,টাইম,আম্পায়ার,পিচ টাইপ,ম্যাচ টাইপ,weather, এনাউন্সার সহ অন্যন্য সেটিংস করতে পারবেন। স্টেডিয়াম এর অপশনে অফিশিয়াল স্টেডিয়াম রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বেশ অনেকগুলো।। বাকিগুলো অফিশিয়াল নয়।

লাইনআপ সেটিংস এ টেস্ট,টিটোয়েন্টি,ওয়ানডে,আদার্স লাইন আপ থেকে সরাসরি সিলেক্ট করা যাবে লাইনআপ।

gallery:Line-ups

খেলতে পারবেন নিজে 1vs-AI(Computer) অথবা 1vs1 ফ্রেন্ডের সাথে।

সিনারিও মোডঃRewrite history,recreate history

এটি বোঝানো হয়তো কঠিন… বিষয়টি এরকম যে বিভিন্ন বিখ্যাত রেকর্ড রয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসে, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ম্যাচ রয়েছে যেখানে অবিশ্বাস্য রান চেজ, কিংবা অলআউট করে ম্যাচ জেতার রেকর্ড রয়েছে।। পঞ্চম দিনে ৩০০ রান,৪০০ রান করে জিতে যাওয়া বা এক ওভারে কোনো দলের মাত্র ৮ রান লাগে সেটি বোলিং করে হারিয়ে দেওয়া।। এরকম কীর্তি রয়েছে।।

Scenario Mode

এরকম আপনাকে কিছু একটা অবজেক্টিভ দেওয়া হবে, ব্যাটিং বা বোলিং এ নেমে সেটি পুরণ করতে হবে।। এরকম বেশ কিছু সিচুয়েশন সিলেক্ট করে মাঠে নামা যাবে ম্যাচের ঠিক ওই অংশে।। চ্যালেঞ্জটি পরিপুর্ণ করাই প্রধান উদ্দেশ্য।  যেমন এক ওভারে ৬টি ছক্কা মারা/ ডাবল উইকেট মেডেন, ফলো অন এ পড়ে টেস্ট জেতা সহ আরো অনেক অনেক চ্যালেঞ্জ।কিছু গেমের বানানো কিছু বা রয়েছে ইতিমধ্যেই বাস্তবে সংঘটিত হওয়া।। এমনকি নিজে নিজে চ্যালেঞ্জ তৈরী করেও খেলা যাবে।। আপলোড করা যাবে।। আর কমুনিটি থেকে ডাউনলোড করেও অংশগ্রহণ করা যাবে।

অনলাইন এবং Community:

বলতে গেলে গেমের আসল মজাই এখানে এবং সম্পুর্ণ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড এর বেশিরভাগ অংশই এই অংশটিই দখল করে আছে।। অনলাইনে ফ্রেন্ডের সাথে খেলা বা অন্য কারো সাথে কমপিট করা রয়েছে, টুর্নামেন্ট সহ সবকিছুই রয়েছে।।

Community:

এখানে ৭টি ডাউনলোড সেকশন রয়েছেঃ

Community, Huge world of custom players,teams ,bats ,logos and more

প্লেয়ারঃ

কমুনিটি থেকে লেটেস্ট প্লেয়ার ডাউনলোড দিতে পারবেন । এক্ষেত্রে তাদের চেহারা, নাম,শারিরিক গঠন ,রেটিং সবকিছু রিয়েল থাকবে। এইযে গেমের অফিশিয়াল টিম নেই ,অরিজিনাল প্লেয়ার দেওয়া নেই এই সমস্যাটি সরাসরি এখান থেকে সমাধান হয়ে যাবে।

টিমসঃ

অনেক টিমস রয়েছে community সেগুলোর এক্সেস ও পাওয়া যাবে কমুনিটির টিম অংশ থেকে।

লোগোঃ

লাইসেন্স না থাকায় দলগুলোর অফিশিয়াল লোগো ও নেই। এখানে প্রচুর ভ্যারাইটির লোগো পাওয়া যাবে।। কাস্টম লোগো ডাউনলোড করা যাবে, আপলোড করা যাবে।

আম্পায়ারঃ

এমনকি আম্পায়ার ও ডাউনলোড করা যাবে।

স্টেডিয়াম ও ব্যাটসঃ

বিভিন্ন community ,ইউজারের বানানো স্টেডিয়াম ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে। নিজেরটাও আপলোড দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তেমনি কাস্টম মেড ব্যাট ও পাওয়া যাবে community তেই।

সিনারিওঃ

গেমের ডিফল্ট কিছু সিনারিও ছাড়াও গেমের ইউজারদের দ্বারা আপলোকৃত বিভিন্ন রকমের কাস্টম সিনারিও ও এভেলেবল থাকবে community তে। যেগুলো আরো বেশি মজার। সিনারিও কি তা নিয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে উপরেই।

অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অপোনেন্টের সাথে বিভিন্ন স্কিলের প্লেয়ারদের সাথে কমপিট করার যে উত্তেজনা বা বন্ধুর সাথে অনলাইনে খেলার যে মজা, উভয়ই পাওয়া যাবে অনলাইন ম্যাচ থেকে। তেমনি বিশাল কমুনিটি থেকে প্লেয়ার ,টিম থেকে শুরু করে ছোট বড় অনেক কিছু ডাউনলোড করা যাবে কাস্টমাইজ করা যাবে আপলোড দেওয়া যাবে, অফিশিয়াল প্লেয়ার না থাকার সমস্যাটি অনেক গেমারের জন্যই গুরুত্বপুর্ণ এবং তা এই কমুনিটি সেকশনে এসে সহজেই সমাধান হয়ে যায়।

গেমপ্লে ও গ্রাফিক্সঃ

গেমপ্লেঃ

গেমের সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ পার্টে এতক্ষণে চলে এসেছি আমরা। গেমপ্লে এবং গ্রাফিক্স।। যেহেতু এই ধরনের গেমে স্টোরি নেই সুতরাং জাজ করার জন্য বাকি থাকে গ্রাফিক্স ও গেমপ্লে।।।। এই গেমের গেমপ্লে যথাসম্ভব রিয়ালিস্টিক ও চ্যালেঞ্জিং করার চেষ্টা করেছে ডেভেলপার টিম। বিগত বছরে হাতে গোনা দুই একটি ক্রিকেট গেম যা আমরা দেখেছি তাতে চ্যালেঞ্জের বালাই ছিল না এবং গেমপ্লে ছিল রবোটিক।

প্লেয়ারদের শট সিলেকশন, বোলিং স্টাইল, ফিল্ডিং এ বল ধরা,বল ছোড়া এগুলো যদি তুলনা করা হয় তাহলে ১০ এ ৮ অন্তত দেওয়াই লাগবে এখানে। আগের গেমগুলো হয় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত কঠিন অথবা অতিরিক্ত সহজ। কিন্ত এখানে প্লেয়ারের সেরা এক্সপেরিয়েন্স এর প্রতিই নজর দেওয়া হয়েছে।

Gallery:In game scenes,batting(Tap to view)

কন্ট্রোলের কথা যদি বলিঃ দুই ধরনের কন্ট্রোল সেটাপ রয়েছে, ক্লাসিক ও স্টান্ডার্ড, ক্লাসিক শুধুই এক্সপেরিয়েন্সড ও যারা আগে বিগ এন্টের ক্রিকেট গেম খেলে অভ্যস্ত তাদের জন্য।। এই ক্ষেত্রে গেমটি অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে।। টাইমিং এর উপর অনেক জোর দেওয়া হয়েছে।। সঠিক সময়ে টাইমিং না করলে বাউন্ডারি হবে না এবং টাইমিং এর উপর নির্ভর করেই একই ডিরেকশনের শট বিভিন্ন দুরত্বে বিভিন্ন বেগে যাবে।।  একটি পারফেক্ট শটের জন্য ৩টি ক্রাইটেরিয়া পুরণ করা লাগবে, টাইমিং , শট চয়েস, ফুটওয়ার্ক।

Gallery:ball markers,shots

অর্থাৎ একটি শর্ট বল বা বাউন্সার আপনি ফ্রন্ট ফুটে জাস্ট বাটন প্রেস করে দিলেই ছক্কা হয়ে যাবে না। এমন অনেক ক্ষেত্র আছে যে ফুটওয়ার্ক সঠিক না হলে বল ব্যাটে লাগানোই যাবে না। শট চয়েসেও জোর দেওয়া হয়েছে, ফুটওয়ার্ক এর সাথে শট চয়েস ও ঠিকঠাক না মিললে বল ব্যাটে লাগবে না, লাগলেও আশানুরুপ রেজাল্ট পাওয়া যাবে না।। আর টাইমিং এর উপর ভিত্তি করে edge হতে পারে, ক্যাচ উঠে যেতে পারে এবং বল ব্যাটে নাও লাগতে পারে। গ্যাপে শট না মারলে টাইমিং গড়বড় হলে ক্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক ।

Gallery:Controls(Tap to view)

ক্লাসিক কন্ট্রোলে এই গেম আয়ত্ব করতে যেমন অনেক সময় লাগবে, তেমনি খেলেও মজা পাওয়া যাবে।এক্ষেত্রে LS,RS ব্যবহার করে টাইমিং করতে হয়।। স্টান্ডার্ড এর ক্ষেত্রে 4টি বাটন ব্যবহার করে খেলতে হয়।

ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে সেটিংস থেকে শট এসিস্ট অফ করে দিলে তখন সবকিছু ঠিকঠাক না হলে বাউন্ডারি পাওয়াও কঠিন হয়ে যাবে কিন্ত তাতে game এর excitement আরো বেড়ে যাবে।ফুটওয়ার্ক ও স্পেশাল শর্টের জন্য রয়েছে আলাদা বাটন।

পিচের কোন পজিশনে বল আসছে তা পজিশন মার্কের সাথে কালার দেখে বুঝতে হয়।তবে তুলনামুলক কম সময়ের জন্যই থাকে এই মার্কারটি।। এটিও টার্ন অফ করে নিলে গেম হয়ে যাবে আরো কঠিন ও আরো মজাদার।

তবে বিভিন্ন এংগেলে বিভিন্ন রকমের নরমাল শট থেকে শুরু করে স্পেশাল শট খেলা যাবে নানান রকমের। মুল শট চার প্রকার তবে এক্সট্রা বাটন ইউজ করে আরো দুই প্রকারের শট খেলা যায়। ব্যাকফুটের জন্য আলাদা বাটন রয়েছে, ডাউন দা উইকেটের জন্য ও আলাদা বাটন প্রেস করা লাগবে। মোট কথা ব্যাটিং করে আলাদা রকমের মজা পাওয়া যাবে।

এনার্জি ও কনফিডেন্সঃ

ব্যাটসম্যান,বোলারের কনফিডেন্স ও এনার্জি মিটার রয়েছে।। একজন ব্যাটসম্যান যখন অনেকক্ষণ যাবত খেলবে মাঠে, রান নিবে বেশি, দৌড়াবে বেশি বা বেশি বেশি এটাকিং শট মারবে তখন তার এনার্জি কমতে থাকবে।। বোলারের ক্ষেত্রেও একটানা বল করলে, ঘন ঘন বা বেশি বেশি স্পেশাল ডেলিভারি করলে এবং বেশি স্পিডে বল করলে তার এনার্জি কমতে থাকবে।ব্যাটসম্যান এবং বোলারের এই এনার্জির সাথে তাদের পারফর্মেন্স এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

তেমনিভাবে কনফিডেন্স উঠানামা করবে ব্যাটসম্যানের পারফর্মেন্স এর উপরে। ব্যাটসম্যান সঠিক টাইমিং করতে না পারলে, শট সিলেকশন ও ফুটওয়ার্ক ঠিক করতে না পারলে যেমন বল ঠিকভাবে লাগবে না ব্যাটে, রান আসবে না, edge হবে, বল মিস হবে এবং ব্যাটসম্যানের কনফিডেন্স মিটার কমতে থাকবে। পরপর অনেকগুলো বাউন্ডারি মারলে, রেগুলার বল ideal timing এ শট করতে পারলে, রান আসলে কনফিডেন্স মিটার বাড়বে।

বোলিং এও ব্যাটসম্যান কে বিট করলে,বেশি বেশি ডট বল দিলে, রান কম কনসিড করলে, বাউন্ডারি কম কনসিড করলে, উইকেট পেলে কনফিডেন্স লেভেল বাড়বে। একই ভাবে রেগুলার রান কনসিড করলে, বাউন্ডারি কনসিড করলে কনফিডেন্স লেভেল কমে যাবে বোলারের।

মুভমেন্টঃ

প্লেয়ারদের মুভমেন্ট ন্যাচারাল রাখার চেষ্টা দেখা গিয়েছে। কোনো রোবোটিক্স মুভমেন্ট ছিল না, বাস্তবের প্লেয়ারদের মতই দৌড়ানো হাটাচলা নড়াচড়া দেখতে পাওয়া যাবে। দৌড় দিয়ে রান নেওয়া ডাইভ দেওয়া, শট মারা গুলো দেখতে একুরেট লাগবে।। বোলিং এর ক্ষেত্রেও অনেক ভালো ভাবে লক্ষ করা গিয়েছে ব্যাপারটি।

বোলিংঃ

বোলিং এর ক্ষেত্রেও রয়েছে দুই রকমের কন্ট্রোল।। স্টান্ডার্ড এবং ক্লাসিক।। ক্লাসিক যথারীতি এখানেও অনেক কঠিন কিন্ত প্রো প্লেয়াররা এটাকেই বেছে নিবেন।। এখানেও সেই স্টান্ডার্ড এর ক্ষেত্রে চারটি বাটন এবং ক্লাসিকের ক্ষেত্রে LS,RS ব্যবহার করতে হবে। এখানেও ভালো বোলিং এর জন্য টাইমিং গুরুত্বপুর্ণ।। ২টি টাইমিং মিটার রয়েছে পেস বোলিং এর ক্ষেত্রে ও স্পিনের ক্ষেত্রে একটি।

gallery:Bowling(tap to view)

বোলিং এও রিয়েল লাইফের ক্রিকেটের অনেক ডেলিভারিই করা যাবে। মুল বোলিং চার প্রকারের লেংথ এ। সাথে এক্সট্রা বাটন প্রেস করে বোলারের এবিলিটি অনুসারে in swing,out swing,leg cutter off cutter,cross seam,bouncer ,slower ইত্যাদি ডেলিভারি করা যাবে । এগুলো এনার্জি কনজিউম করে , অর্থাৎ পরপর কয়েকটা স্পেশাল ডেলিভারি দিলে এনার্জি কমে যাবে।বোলারের দৌড়ে আসা ও বল ডেলিভার করাটাও মোটামুটি রিয়ালিস্টিক দেখানো হয়েছে।

স্পিন বোলিং এর ক্ষেত্রেও রয়েছে চার রকমের ডেলিভারি।

gallery:pace bowling(Tap to view)

gallery:Bowling controls(Tap to view)

ক্যামেরাঃ

এটি এই গেমের অন্যতম একটি আকর্ষণ যে ভিন্ন ভিন্ন অনেকগুলো ক্যামেরা সেটাপ এর অপশন রয়েছে বোলিং ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং এর জন্য।। নিজের সুবিধামত বেছে নিতে পারবেন তেমন এক একটি ক্যামেরা অপশনে আপনার ব্যাটিং ফিল্ডিং বোলিং এর এক্সপেরিয়েন্সই বদলে যাবে dramatically . যেটি আপনার গেমিং এক্সপেরিয়েন্স কে করবে আরো enhanced. দেখা যাবে টাইমিং, মুভমেন্ট ,সবক্ষেত্রেই একটু পরিবর্তন লাগছে। যেমন আপনি একদম টিপিক্যাল ব্রডকাস্ট স্টাইল ক্যামেরা সেটাপ পাবেন, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন এংগেলের বিভিন্ন সেটাপ রয়েছে ।

আরো একটি বিষয় আলাদা করে উল্লেখ না করলেই নয়, গেমটিতে 1st person ভিউ রয়েছে, এখানে আপনি চাইলে বোলিং,ব্যাটিং, ফিল্ডিং সবকিছু করতে পারবেন ফার্স্ট পার্সনে।। ক্যাচিং পর্যন্ত ও ফার্স্ট পার্সন ভিউ দেওয়া হয়েছে।। গেমারদের মধ্যে অনেকেই first person এক্সপেরিয়েন্স নিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই ফিচারটি USP হতে পারে।

ফিল্ডিংঃ

ফিল্ডিং ও এই গেমের একটি এক্সক্লুসিভ সাইড। ফিল্ডিং সব গেমে সিম্পল থাকে কিন্ত এখানে সম্পুর্ণ ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের সুযোগ রয়েছে।ফিল্ডার কে তখন মুভমেন্ট ও প্লেয়ারকেই করা লাগবে।  টাইমিং করার উপরে এখানেও জোর দেওয়া হয়েছে।। থ্রো স্টাম্পে লাগাতে হলে আপনাকে টাইমিং এখানেও সঠিক করতে হবে।। ক্যাচিং এর স্টাইলের কথা আলাদা করে বলতেই হয়।। একটি সার্কেল আসে যেটি দ্রুত বলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বাটন প্রেস করতে হয় যা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। ফিল্ডিং এ প্লেয়ারের attitude/mentality বা ট্যাকটিক্স সেট করা যাবে, অর্থাৎ balanced, defensive,attacking এরকম সেট করা যাবে যে কোনো ফিল্ডারের ক্ষেত্রে।

Gallery:Fielding and catching(Tap to view)

fielding controls

ম্যানুয়াল আপিল এবং রিভিউঃ

inside edge,outside edge হয়ে ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল করে ক্যাচ হলে তা সরাসরি আম্পায়ার আউট দিবেন না, সেটি আপিল করতে হবে তারপর আউট হবে।। না হলে রিভিউ করা যাবে।।

এলবিডব্লিউ এর ক্ষেত্রেও আপিল করতে হবে বাটন চেপে, তারপর আম্পায়ার না দিলে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে।।সেখানে প্লেয়ার রা আলোচনা করে রিভিউ এর জন্য।। ব্যাটিং এও আউট দিলে তা রিভিউ এর আগে দুই ব্যাটসম্যান আলোচনা করে।  এটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

gallery:Review discussion(Tap to view)

vs Computer Experience:

একটি স্পোর্টস গেমের অনেকটাই নির্ভর করে এই বিশেষ অংশের উপরে।। আপনি যখন কম্পিউটারের বিরুদ্ধে খেলছেন তখন কিরকম রিয়ালিস্টিক এক্সপেরিয়েন্স পাচ্ছেন। এখানে রেটিং টা খুব বেশি দেওয়া যাবে না তবে অন্যন্য গেম এর থেকে বেটার।

এর AI ডিজাইন এখনো ঐ পর্যায়ে পৌছে নি যে আপনি বন্ধুর সাথে খেললে যে পরিমান কন্টেস্ট হবে তা এখানে পাবেন।। তবে কিছু ছিটেফোটা রয়েছে, উন্নতির জায়গা ও রয়েছে।। বোলিং টিমে কম্পিউটার থাকলে সে বিভিন্ন ভ্যারিয়েশনে বল করবে, একটি স্লোয়ার ইয়র্কার এর পর শর্ট বল বা ফাস্ট বাউন্সার , গুড লেংথ এর বল এর পর ফুলটস দিবে।। ফিল্ডিং সেটিংস ও মোটামুটি বলা যায়। আর বিশেষ করে একটি কথা বলতে হয় যে সাধারণত রান আউটের ক্ষেত্রে থ্রো তে স্টাম্প ভাঙ্গা একেবারেই মিস হয় না Computer এর। আন্দাজে জোর করে রান নিতে গেলে আউট হতে হবেই।

ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে AI এর এক্সপেরিয়েন্স আমার কাছে মিক্সড, ৫ ওভারের ম্যাচেও যেমন সে সে প্রথম ওভারে বাউন্ডারি না মেরে এমন স্টাইলে ব্যাট করে যেন ওয়ানডে ম্যাচ।। ২,৩টি সিঙ্গেল নেয়। আবার সঠিক টাইমিং করে বোলিং করতে না পারলে বা বাজে বল করলে, ব্যাটসম্যানের স্ট্রং পয়েন্টে বল করলে ছক্কা চার এর বন্যা বয়ে যায় একটানা ৩,৪টা যা বেশ ভালো। এবং ব্যাটসম্যান সেট হলে আউট করা বেশ কঠিন।

ওভারল কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। AI কে পারফেক্ট বানানো আসলেই কঠিন কাজ।। যেমন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে প্লেয়ার ডিপ ফাইন লেগে ৩টি শট মেরেছে কোনোটি ছয় কোনোটি চার কিন্ত তারপরেও সেখানে কোনো ফিল্ডিং দেওয়া হয়নি।। AI পরপর দুটি ফুলটস বল করে বাউন্ডারি কনসিড করার পরেও তিন নাম্বার বলটিও ফুলটসই করে এরকম ঘটনা ও রয়েছে। যা খেলার মজা নষ্টই করে। টার্গেট সেন্স এ ব্যাটিং বা প্লেয়ার রান চেজের ক্ষেত্রে সে অনুসারে বোলিং এর ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।। তবে অন্যন্য গেম থেকে যা যথেষ্ট ভালো। আবার ফিল্ডিং সেটাপ এর সাথে অনেক সময়ই AI এর বোলিং মিলে না, সেটিও চোখে পড়েছে।

গ্রাফিক্স ডিটেইলস ও হাইলাইটসঃ

এখানে সমালোচনার জায়গা খুবই কম পেয়েছি আমি।। অফিশিয়াল প্লেয়ারদের ফেস ,এক্সপ্রেশন অনেক একুরেট করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের বডি স্ট্রাকচার ও যথেষ্ট রিয়ালিস্টিক।  জার্সির স্পন্সর, লোগো থেকে শুরু করে হেলমেট গ্লাভসে রয়েছে ডিটেইলস।।  সেলিব্রেশন ,মিড গেম conversation গুলোতে পাওয়া যাবে বাস্তবতা ও ব্রডকাস্ট ম্যাচ এর ছাপ। উইকেট,ছক্কা এর রিপ্লে দেখতে গিয়েও মনে হবে যেন টিভিতে খেলা দেখা হচ্ছে। সেখানে যথেষ্ট ডিটেইলস এবং গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রে টেক্সচার, কালার কন্ট্রাস্ট এগুলো মেন্টেন করা হয়েছে।। স্টেডিয়ামের বিভিন্ন জায়গায়, মাঠের পিচ ও ঘাসে স্পন্সর এর নাম লোগো, স্টেডিয়ামের স্কোরকার্ড, গ্যালারি সবক্ষেত্রেই যথেষ্ট ভালো গ্রাফিক্স দেখতে পাওয়া যাবে। রিপ্লাই এর সময় বল কে ফলো করে ক্যামেরার মুভমেন্ট ও যথেষ্ট আকর্ষনীয়।

Gallery:Graphics details,highlights(Tap to view)

প্লেয়ার ক্রিজে আসার সময় নাম সহ তার মুভমেন্ট দেখানো,জেতার পর দলের সেলিব্রেশন, বোলার ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গেলে ক্যাপ্টেন তাকে বুদ্ধি দিতে আলোচনা করতে যাওয়া, আউট হয়ে প্লেয়ার ফেরত যাওয়া, নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসা, উইকেট পেয়ে বোলার ফিল্ডারদের সেলিব্রেশন, সেঞ্চুরি/ফিফটি করে ব্যাটসম্যানের সেলিব্রেশন কিংবা ফিফটি পার্টনারশিপের পর দুই ব্যাটসম্যানের হাত মেলানো। সবকিছুতেই মোটকথা satisfaction জিনিসটি পাবেন গেমার।

Gallery:replays(Tap to view)

একাডেমী ও ট্রেনিং,ডিজাইনারঃ

একাডেমীতে লোকাল প্লেয়ার এডিট,ক্রিয়েট করা যাবে।। টিম সেটিংস এ বিভিন্ন ফরম্যাটের টিম ম্যানেজ করা যাবে।। আম্পায়ার,লোগো,ব্যাট,স্টেডিয়াম কাস্টোমাইজেশন করা যাবে।।

আর এতক্ষণ যারা যারা গেমপ্লে তে রিয়ালিস্টিক বা কঠিন এর কথা শুনে ভড়কে গিয়েছিলেন, তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে এই পার্টটা। ট্রেনিং। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং এর A,B,C,D থেকে শুরু করে সমস্ত এডভান্স শট,স্পেশাল ডেলিভারি, থ্রোয়িং,ক্যাচিং, unorthodox shots,ফুটওয়ার্ক সবকিছুই  আনলিমিটেড টাইম প্রাক্টিস করার সুযোগ রয়েছে। বোলিং ব্যাটিং এর বেসিক এডভান্স মিলিয়ে অনেকগুলো সেশন আছে যেখানে এগুলো সম্ভব।

গ্রাউন্ড ট্রেনিং,ট্রেনিং গ্রাউন্ড, নেট প্রাক্টিস ,বোলিং গেম,ব্যাটিং গেম,ট্রেনিং প্লেয়ার সহ বিভিন্ন রকমের অপশন রয়েছে।। সুতরাং যেমন কেও চাইলে ইন্ডোরে নেটে প্রাক্টিস করতে পারবেন আবার ওপেন ফিল্ডেও করতে পারবেন।।

Training , Lot of options to use, practice for building up skills

একদম বেসিক থেকে এডভান্স লেভেলের জিনিসগুলো ট্রেনিং এর মাধ্যমেই আয়ত্ত্ব আনা সম্ভব। বিশেষ করে এই গেমের ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় টাইমিং ফুটওয়ার্ক এবং শট সিলেকশন, এই ৩টির উপর মাস্টার করতে অনেক বেশি সময় দিতে হবে যেটি ট্রেনিং দুই একদিন করলেই অনেকটাই হয়ে যাবে।

ডিজাইন করা যাবে অনেক কিছুঃ

ডিজাইনার অপশনে রয়েছে অনেক কিছু ডিজাইন করার সুযোগ। ট্যুর ডিজাইন করা যাবে নিজের মত করে, কম্পিটিশন ডিজাইন করা যাবে, এমনকি ম্যাচ টাইপ,ফিল্ড ও ডিজাইন করা যাবে। সিনারিও মোডের যে excitement, তাও বাড়িয়ে নেওয়া যাবে নিজে সিনারিও ডিজাইন করে।

Designer menu: Design almost anything

Additional Options:

কমেন্ট্রি এবং অডিওঃ

গেমের কমেন্টেটর হিসেবে ২ জন রয়েছেন, মাইকেল স্লাটার এবং জেমস টেইলর।। কমেন্ট্রি টিমে একজন নারী কমেন্টেটর এড করাটাও বেশ smart move ই বলা যায় এবং যথেষ্ট makes sense ও করে কারণ গেমটিতে female টিম রয়েছে।কমেন্ট্রির accent টিপিক্যাল যা হয় সেরকমই, word selection বেশ smart ছিল, মাঝেমধ্যে অনেক cool লাগে শুনতে।। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিরক্ত ও লাগে।ভালো দিকগুলো হলো প্লেয়ার দ্রুত আউট হলে ক্রিটিসিজম, বোলার বেশি বাউন্ডারি হজম করলে সে অনুসারে ক্রিটিসিজম করতে দেখা যায়।হ্যাট্রিক বলের ক্ষেত্রেও কমেন্ট্রি থেকে সে সম্পর্কে বলা হয়।। তবে AI এর ক্ষেত্রে বলা লাগছে যে ম্যাচের সিচুয়েশন বুঝে কমেন্ট্রির ক্ষেত্রে উন্নতির জায়গা রয়েছে।। পারফেক্ট নয়। ওভারল ভালোর দিকে বলবো আমি।

অডিও কোয়ালিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। স্টেডিয়ামের লাউডস্পিকারে এনাউন্স থেকে শুরু করে মাঠের টিপিক্যাল যেসব শব্দ হয়, তা বেশ বাস্তবসম্মত ছিল।। বাউন্ডারি হলে যে মিউজিক বাজে কিছুক্ষণ সেটার কোয়ালিটিও যুক্তিসঙ্গতই ছিল।

Gallery:Soundtracks

সাউন্ডট্র্যাক রয়েছে অনেকগুলো। ইংল্যান্ডের বার্মি আর্মি এর গান ,গেমের অফিশিয়াল সাউন্ডট্রাক ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু 3rd party আর্টিস্ট এর গান।ইচ্ছা করলে সেটিংস থেকে গান বাদ দিয়ে, সিলেক্ট করে কাস্টম প্লেলিস্ট বানানোর ও অপশন রয়েছে।। গেমের সব মেনুতেই বাজতে থাকবে সেগুলো ম্যাচের লোডিং স্ক্রিনের আগ পর্যন্ত।

A complete Live Telecast Package:

এই গেমের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা এটি।। টেলিকাস্ট এর শুরুটা হয় একটি সিনেম্যাটিক দিয়ে যেখানে অনেকটা faded ফিল্টারে পুর্বের দুটি দলের মধ্যকার বিভিন্ন সিন,মোমেন্ট দেখানো হয় ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক এবং কমেন্ট্রি সহ সেখানে চার ছক্কা ,আউট, সেলিব্রেশন অন্তর্ভুক্ত থাকে।। এর পর ম্যাচের স্ক্রিন আসে সেখানে স্টেডিয়ামের উপর থেকে শুরু করে মাঠের বিভিন্ন এংগেল থেকে rotation আকারে টেলিকাস্ট হতে থাকে কমেন্টেটর কথা বলেন, মাঝখানে পিচের উপর দিয়ে একটি স্লাইড যায়।

টসের জন্য আম্পায়ার রেফারি ও দুই ক্যাপ্টেন আসেন, টসের সময় তাদের ফেস এক্সপ্রেশন দেখানো হয়, টসটিও অনেক সুন্দর ডিটেইলস সহকারে দেখানো হয় কয়েন fly করে ড্রপ করা ,সাউন্ড ইফেক্টটাও ভালো লেগেছে।। তারপর হ্যান্ডশেক করে ক্যাপ্টেন এবং কমেন্ট্রিতে টস নিয়ে কথা হয়।।

Gallery:Pre-match cinematics (Tap to view)

Gallery:Toss(Tap to view)

জাতীয় সঙ্গীতঃ

এই পার্টটা এই টেলিকাস্ট সিস্টেম কে আরো অন্য একটি মাত্রা দিয়েছে।।  জাতীয় সঙ্গীত বাজছে মাঠে এবং প্লেয়াররা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তা পাঠ করছে মোমেন্টটা অসাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।। আমার মনে হয় এই অংশটি সবাই পছন্দ করবেন।।

তারপর প্লেয়াররা মাঠে নামে আম্পায়ার বল ছুড়ে দেন ক্যাপ্টেনের দিকে যেটি স্লো মোশনে দেখানো হয় , প্লেয়াররা ওয়ার্ম আপ করে, ব্যাটস ম্যান শ্যাডো প্রাক্টিস করে , খেলা শুরু হয়।

Gallery:National Anthem and startup(Tap to view)

Mid game cinematic:

খেলার মাঝেমাঝে প্লেয়ারদের এক্সপ্রেশন দেখানো হয় যেগুলো তাও টেলিকাস্টের ফিল দেবে।।। ক্যাপ্টেন বাউন্ডারি হজম করার পর বোলারকে সান্তনা দিচ্ছে, পার্টনারশিপ এর পর দুই ব্যাটসম্যানের হাত মেলানো, উইকেট পড়ার পর প্লেয়ারদের সেলিব্রেশন, ফিফটি করার পর ব্যাটসম্যানের সেলিব্রেশন , প্লেয়ার আউট হয়ে ফেরত যাওয়া বা নতুন ব্যাটসম্যান মাঠে নামা।। দেখানো হয় সবই।।

Gallery:Mid game Cinematics(Tap to view)

তবে এর থেকেও সুন্দর লেগেছে যে বাউন্ডারি,উইকেট এর পর সেগুলোর যে রিপ্লে দেখানো হয়, স্লো মোশনে একাধিক এংগেলে দেখানো হয়ে থাকে যা বেশ enjoyable

হাইলাইটসঃ

ইনিংস শেষে বাউন্ডারি, উইকেট এর সিলেক্টিভ রিপ্লাই দেখানো হয়ে থাকে ,এটাও ভালো লেগেছে।।

রিভিউঃHawk Eye. Snickometer,Ultraedge 

ম্যানুয়ালি যখন রিভিউ নেওয়া হয়, তখন এলবিডব্লিউ এর ক্ষেত্রে প্রথমে Snickometer,Ultraedge দিয়ে একদম টিভির মত হুবহ রিপ্লে দেখানো হয়ে থাকে যে ব্যাট বলে লেগেছে কি না।। এর পর যে Hawk Eye দিয়ে এলবিডব্লিউ বল ট্রাক করা হয় সেটিও দেখে মনে হবে যেন টিভিতেই খেলা চলছে।

Gallery:Hawk Eye,Snickometer,Ultraedge(Tap to view)

সিমুলেশন ও সেভঃ

ম্যাচ সিমুলেট করা যাবে ও সেভ করা যাবে।। ওভার শেষে সেভ ছাড়াও ওভারের মাঝপথে অফ করতে গেলে সেভ করার সুযোগ রয়েছে।।

স্টাটিস্টিকসঃ

খেলার মাঝখানে, সবসময়ই পজ করে দেখা যাবে ডিটেইলস স্টাটিস্টিকস।। partnership, run per over, worm, scoring area সহ টিভির ব্রডকাস্টে খেলার মাঝে আমরা যেসব স্টেটস দেখতে পাই গ্রাফিক্যালি , ওগুলো সব দেখা যাবে। ব্যাটসম্যান বোলার এর পার্সোনাল স্টাটস এর পাশাপাশি টিমের টাও দেখা যাবে সিলেক্ট করে, ব্যাটসম্যানের  রান এরিয়া, worm সহ বেশ কিছু অপশন রয়েছে।

Gallery:Statistics(Tap to view)

এবং খেলার মাঝে পার্টনারশিপ,ফিফটি/সেঞ্চুরির পর ও দেখানো হয় তা।

নেতিবাচক দিক সমুহঃ

  • সাউন্ডট্রাকঃ সাউন্ডট্রাক চেঞ্জ করা যায় না বাটন চেপে।। যেটি বাজছে সেটিই বাজতে থাকে।। যা আমার কাছে খুবই বিরক্ত লেগেছে।।
  • কমেন্ট্রিঃ কমেন্ট্রি অনেকসময় একেবারেই ননসেন্স, অবাস্তব কথা বলে ফেলে।। যেমন 9 নাম্বার ব্যাটসম্যান হিসেবে কেও আউট হলে তাকে হিউজ উইকেট বলে চিৎকার করা, আগেই ওয়ান্ডারফুল শট বলে বসে থাকা কিন্ত তা দেখা যায় ক্যাচ আউট হয়েছে।
  • অবাস্তব শটসঃ অনেক ক্ষেত্রেই মিডিয়াম ডিফিকাল্টিতে শট এসিস্ট অন করে রাখলে ব্যাটসম্যান অনেক অবাস্তব সব শট দিয়ে বসে, যেমন ফ্রন্ট ফুটে প্রায় একটি short বল কে সে মেরে ছয় বানিয়ে ফেলে, অথচ রিপ্লাই এও দেখা যায় যে বলটি লেগেছে ব্যাটের একদম উপরের স্টিকারে।। এখানে ব্যাট লাগিয়ে তাও আবার ফ্রন্ট ফুটে ছয়! হাস্যকর। এছাড়াও এমন কিছু শটস খেলতে দেখা যায় সঠিক টাইমিং এ যা মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। ওই শটগুলোর ভংগী, ব্যাট চালানোর স্পিড বড়ই অবাস্তব এবং তাতে অনেক বড় বড় ছক্কা হয়ে যায় যা irrelevant । ব্যাটসম্যান এত্ত আস্তে ব্যাটটি চালায় যাতে করে inside circle ই পার হওয়ার কথা নয় কিন্ত  তা ছয় হয়ে যায়। এবং ডিপ ফাইন লেগে জাস্ট ব্যাট চালালে বল ঝড়ের গতিতে চলে যায় বাউন্ডারি পার হয়ে।।যা আসলে অবাস্তব। গুড লেংথের বল ব্যাটের স্টিকারে লেগে ছয় হওয়া টাও দৃষ্টিকটু।
  • সিক্স ডিসটেন্সঃ এই ক্ষেত্রেও অবাস্তব কিছু লক্ষ করা যায়, গেমে বেশিরভাগ সময় ছয় মারার পর যে ডিসটেন্স দেখানো হয় তা আমার কাছে একেবারেই সত্য মনে হয়না। রিপ্লে তে দেখা যাচ্ছে বলটি ব্যাটসম্যান জাস্ট ব্যাটসম্যান ব্যাট দিয়ে স্পর্শ করার মত করে চালাচ্ছে আস্তে করে আলতো করে কিন্ত বল মাঠের বাইরে গ্যালারিতে আছড়ে পড়ছে।। এটি তো অবাস্তব বটেই… আরো হাস্যকর লাগে যখন দেখানো হয় বাউন্ডারিটার ডিসটেন্স ১০০ মিটার পার হয়ে গিয়েছে… যারা ক্রিকেট দেখেন তারা তো জানেন যে মাঠের সাইজ হয় কতটুক।। বিশেষ করে লেগ এবং অফ সাইড কিংবা পিছনের দিকে বাউন্ডারির দুরত্ব হয় আরো কম। সেখানে ব্যাট ছুলেই ছয় হওয়া তো হাস্যকর বটেই, মাথায় আকাশ পড়ে যখন দেখা যায় ছয় ১০০ মিটার,১২০ মিটার হয়ে গিয়েছে লেগ সাইড,অফ সাইড কিংবা থার্ড ম্যান/ফাইন লেগে।
  • ফিল্ডারকে আমি ডাইভ দিতে দেখিনি। ফিল্ডিং এও ফিল্ডারদের আচরণ অনেক অলস, বল ডাইভ দিয়ে ধরা, বাউন্ডারি সেভ করার ক্ষেত্রে এগুলো অনুপস্থিত। যেকোনো শটেই বল যেই পজিশনেই থাকুক ফিল্ডারের স্পিড, বল ধরার ইচ্ছা প্রবণতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম, কোনো eagerness দেখতে পাইনি।আর একটি বিষয়, ব্যাটসম্যানের হেলমেট বা অন্য কোথাও বাউঞ্জার লেগে যদি বলটা উইকেটের পেছনে আশেপাশে কোথাও যায়, সেটার রেস্পন্স ও অনেক অলসভাবে করে কিপার।
  • ইনিংস শেষ হলে সেই দলের স্টাটিস্টিক্স আর অন্য ইনিংসে দেখা যায় না, অর্থাৎ তাদের রান রেট, রান পার ওভার, পার্টনারশিপ,স্কোরিং এরিয়া এগুলো কিছুই দেখা যায় না ।যে দল ব্যাট করছে শুধু তাদেরই দেখা যায়।  আমার কাছে বিষয়টি বিরক্তিকর লেগেছে।
  • টসের সময় বা কিছু কিছু সময় প্লেয়ারদের এক্সপ্রেশন দেখে বোবা বোবা মনে হয়।
  • কিছু কিছু স্থানে প্লেয়ারদের সাইজ অনেক ছোট ছোট লাগে দেখতে।
  • গেমটি gamepad অনলি। কিবোর্ডে কন্ট্রোল করা যাবে না, এবং কন্ট্রোল সেটিংস চেঞ্জ করা যাবে না।

অপ্টিমাইজেশনঃ

অপ্টিমাইজেশন আমি এভারেজ বলবো… গ্রাফিক্স ,ডিটেইলস যথেষ্ট ভালো হলেও… ডিফল্ট সেটিংস এ গেমটিতে আমি ফ্রেমরেট পেতাম 90-95/100 মত।। যদিও তা স্টেডিয়াম,টাইম অনুসারে বেশ পরিবর্তন হয়।।৬০ এফপিএস কে ইনাফ এবং স্মুদ গেমপ্লে এর মানদন্ড ধরলে এটাকে যথেষ্ট মনে হবে কিন্ত আমার কাছে মনে হয়েছে এর অপ্টিমাইজেশন এভারেজ … ফিফা ১৯ এ হাই সেটিংস এ DX11 আমি ১৫০-১৬০ এভারেজে পাই।। যদিও দুটি গেমের সিনারিও আলাদা।।  আর ক্রিকেটের যে সিনেম্যাটিক,রিপ্লাই এইসব এর বর্ণনা দিয়েছি, সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রেমড্রপ দেখতে পাওয়া যায়। গেমপ্লে এর ফ্রেমরেট এর থেকে অনেক কম।। গেমে এমনিতে ম্যাচ এ ল্যাগ স্টাটার হ্যাং ফ্রেমড্রপ একদমই নেই, কিন্ত প্রতিটি রিপ্লাই এর ক্ষেত্রে ফ্রেম রেট এর উঠানামা দেখেছি আমি।। আমার কাছে অপ্টিমাইজেশন আরেকটু ভালো হলে পারফেক্ট হতো। (উল্লেখ্য, আমি খেলেছি Ryzen 5 1600, RX 570 8GB, 8GB Ram দিয়ে) ।

Benchmarks
Ram and VRAM Usage

Gallery:AT A GLANCE(Tap to view)

উপসংহারঃ

ব্যাটিং এ অবাস্তব কিছু শটস, শট ফিজিক, ফিল্ডিং এ কিছুটা সমস্যা আর AI এর টুকটাক ভুল ভ্রান্তি এর পাশাপাশি উল্লেখ করা নেগেটিভ দিকগুলো।। ।। এগুলো ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি গেমে আমার।। বরং ডিফিকাল্টি বাড়িয়ে নিলে, assist গুলো অফ করে ফুল ম্যানুয়াল করে নিলে গেমের উত্তেজনা বেড়ে যাবে বহু গুন।। সব রকমের ফিচার,অপশনের দিক দিয়ে গেমটি কতটা রিচ তা উপরে তো বিস্তারিত আলোচনা করেছিই।হিউজ কমুনিটি এর সাথে কাস্টমাইজেশনের প্রচুর জায়গা।।  গেমটি সবদিক মিলিয়ে একটি কম্পপ্লিট প্যাকেজ এবং নিসন্দেহে সেরা ক্রিকেট গেম। অপ্টিমাইজেশন সেরা না হলেও প্রায় সব কনফিগেই সেটিংস টুইক করে ভালোমত খেলা যাবে।।

একটি কথা বলতেই হয়, গেমটির সম্পুর্ণ মজা নিতে আপনাকে লেগিট ভার্সন স্টিম থেকে কেনাই লাগবে এবং গেমটির প্রতিটা সেকশন দেখতে গিয়ে আপনার আসলেই মনে হবে যে পয়সা উসুল ।। এবং আসলেই গেমটির যে লেভেল তাতে এই গেমটির জন্য BIG ANT STUDIO ডিজার্ভ করে প্রতিটা ডলার। সব মিলিয়ে আমি বলবো কেনার মত একটি গেম এবং প্রতিটি ক্রিকেট লাভারের কেনা উচিত, এনজয় করার জন্য তো অবশ্যই, এই ডেভেলপারের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরো ভালো গেম পাওয়ার জন্য ও কেনা অবশ্যই জরুরি।

গেমটির দামঃ স্টিমে ১৪ ডলার , কিনতে পারবেন এখান থেকে

 

- Advertisement -

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here