31 C
Dhaka
Tuesday, March 26, 2024

RTX 4090: বাংলা রিভিউ

- Advertisement -

আনবক্সিং ও ফার্স্ট ইম্প্রেশন ভিডিওটিতে  Colorful Geforce RTX 4090 NB EX-V এর  আউটলুক,ডাইমেনশন ও ডিজাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আজকের ভিডিওতে জিপিইউ এর এক্সটেরিওর নিয়ে থাকছে না কোনো আলোচনা, পারফর্মেন্স সেকশনে যাওয়ার আগে আমরা জিপিইউটির আর্কিটেকচার,স্পেসিফিকেশন, নিউ টেকনোলজিস ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো ,সাথে দুটি AIB মডেল এর মধ্যকার পার্থক্য,মিল অমিল,দাম নিয়েও থাকবে আলোচনা।

ভুমিকা

অনেকেই জানেন যে এনভিডিয়া তাদের জিপিইউ আর্কিটেকচার গুলোর নাম বিভিন্ন বিজ্ঞানী, সাইন্টিফিক টার্মস,ইউনিট এর নামে করে থাকে , যেমন টিউরিং,এম্পিয়ার,ম্যাক্সওয়েল,প্যাসকেল, ফার্মি কেপলার ইত্যাদি। এরই ধারাবাহিকতায় এনভিডিয়া RTX 40 সিরিজের জিপিইউ আর্কিটেকচারের নাম দিয়েছে এডা লাভ্লেস, এটিকে এনভিডিয়া প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার এর নাম হিসেবে প্রচার করলেও আসল ঘটনা হচ্ছে এনভিডিয়ার যে কাস্টোমার দের প্রতি একেবারেই মায়া মমতা ও ভালো বাসা নেই তারই খোলামেলা স্বীকারক্তি এই নাম নামকরণ। যদিও এভাবে এই কঠিন সত্যটা মুখের উপর না বললেও পারতো এনভিডিয়া।

- Advertisement -

যাই হোক, এবার একটূ এডা লাভলেস আর্কিটেকচারের স্পেসিফিকেশন ও এর কি পয়েন্টস গুলো নিয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাক।

প্রথমেই ইন্টারনাল আর্কিটেকচার

স্ক্রিনে আপনারা এই মুহুর্তে AD102 জিপিইউটির ফুল ব্লক ডায়াগ্রাম দেখতে পাচ্ছেন।

- Advertisement -

এডা লাভলেসের সবথেকে পাওয়ারফুল্ কমপ্লিট জিপিইউ ডাইটি বারোটি জিপিসি বা গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ক্লাস্টার , ৭২টি টিপিসি বা টেক্সচার প্রোসেসিং ক্লাস্টার , ১৪৪ টি এসএম বা স্ট্রিমিং মাল্টিপ্রোসেসর ফিচার করছে। সাথে রয়েছে একটি ৩৮৪ বিট মেমোরি ইন্টারফেস ও ১২টি ৩২ বিটের মেমোরি কন্ট্রোলারস।

এডা লাভলেস আর্কিটেকচারটি TSMC এর 4N Process এ প্রস্তুত করা হয়েছে, প্রসেস সাইজ কমে আসায় বেড়েছে তাই ট্রাঞ্জিস্টর সংখ্যা। এডা লাভলেস এর ফুল ডাই ফিচার করবে ৭৬ বিলিয়ন ও বেশি ট্রাঞ্জিস্টর। ইয়েস, ঠিকই শুনেছেন, ৭৬ বিলিয়ন। এখানে নোট করার মত একটা বিষয় হচ্ছে যে, এম্পিয়ার আর্কিটেকচার, অর্থাৎ আরটিএক্স ৩০ সিরিজের জিপিইউ গুলো স্যামসাং এর ৮এনএম প্রসেসে প্রস্তুত করা হয়েছিল।

- Advertisement -

প্রতি এসএমে আবার ২টি করে অর্থাৎ মোট ২৮৮টি এফপি সিক্সটি ফোর কোরস ও উপস্থিত রয়েছে। এই বিশেষ কোরের কাজ হচ্ছে FP64 কোড যুক্ত যেকোনো প্রোগ্রাম এর সঠিক অপারেশনের নিশ্চয়তা প্রদান করা।

লাভলেস আর্কিটেকচারের AD102 ফুল জিপিউটিতে রয়েছে মোট ১৮৪৩২টি কুডা কোর, ১৪৪টি  আরটি কোর, ৫৭৬টি টেন্সর কোর ও সমান সংখ্যক টেক্সচার ইউনিট বা TMU.

GPC

এবার একটু আগেই আলোচনা করা জিপিসি গুলোর মধ্য্যে একটি সিঙ্গেল ইউনিট এর ইন্টারনাল ব্লক ডায়াগ্রামটার দিকে একটু লক্ষ করা যাক।স্ক্রিনে দেখানো ডায়াগ্রামটিতে একটি জিপিসি দেখানো হয়েছে।  একটি জিপিসিতে ছয়টি TPC, যার প্রত্যেকটির মাঝে আবার দুটি করে SM রয়েছে ও প্রতি পার্টিশনে ৮টি করে মোট ১৬টি আরওপি রয়েছে।

SM

স্ক্রিনে দেখানো ডায়াগ্রামটি একটি সিঙ্গেল ইউনিট এসএম এর, এখানে দেখা যাচ্ছে প্রতিটি এসএম ১২৮টি করে কুডা কোর, একটি থার্ড জেন আরটি কোর ও ও চারটি ফোর্থ জেন টেন্সর কোর বহন করছে। বড়ই জটিল ও গোলমেলে সব হিসেব নিকেশ।

মেমোরি 

মেমোরি কনফিগারেশনেও এসেছে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন। প্রতি এসএমএ ১২৮ কিলোবাইট করে মোট ১৮মেগাবাইট এর লেভেল ওয়ান এর পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে ৯৬ মেগাবাইট এর বিশাল লেভেল্ল টু ক্যাশ যা কি না আগের জেনারেশন থেকে ৬ গুণ বেশি।মাইক্রনের সাথে টাই আপ করে এবার এনভিডিয়া এডা লাভলেসে দিয়েছে ২৪ জিবিপিএস স্পিডের GDDR6X মেমোরি।

এম্পিয়ার আর্কিটেকচারের ফুল ডাই এর সাথে এডার স্পেকস ওয়াইজ কুইক কম্পারিজন যদি দেখি তাহলে দেখা যায় 4nm node এর জন্য আগের জেনারেশন থেকে ট্রাঞ্জিস্টর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ, কুডা কোর সংখ্যা বেড়েছে ৭২%, একই ব্যবধানে বেড়েছে এসএম কাউন্ট  এবং আরটি কোর সংখ্যা ও। TMU ও টেন্সর কোর সংখ্যা ও ৫২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

কুডা ও টেন্সর 

এই কুডা কোর, টেন্সর কোর ,আরটি কোর এর সংজ্ঞা অনেকেই জানেন, তারপরেও যারা জানেন না তাদের জন্য আরো একবার বলা, কুডা কোর মুলত রাস্টারাইজেশন অপারেশন হ্যান্ডেল করার জন্য  এনভিডিয়ার যে  স্পেশালাইজড কোর গুলো থাকে সেগুলোকে বলা হয়, আরটি কোর এর কাজ রে ট্রেসিং করা ও টেন্সর কোর মুলত DLSS অপারেশন বা ইমেজ আপস্কেলিং এ কাজ করে।

এডা লাভলেস এর ফিচারওয়াইজ আরেকটি বড় পরিবর্তনের জায়গা হচ্ছে  ক্লক স্পিড। আরটিএক্স ফোরটি নাইনটি জিপিইউটির বুস্ট ক্লক স্পিড ২.৫ গিগাহার্জ যা অন্য জেনারেশনের তুলনায় একটা বিশাল বড় আপলিফট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্ভবত এডা লাভলেসই জিপিইউ ইন্ডাস্ট্রিতে দুই গিগাহার্জ ক্লক এর ব্যাপারটি নরমাল বা স্টান্ডার্ড করতে যাচ্ছে।

হোয়াটস নিউঃfeat dlss and rt (features and specs,working principle)

এডা লাভলেস আর্কিটেকচারে নতুন কি আছে, এখানে কি শুধুই কুডা কোর,আরটি কোর বা ট্রাঞ্জিস্টর এর নাম্বার বাড়ানো হয়েছে নাকি আসলেই ফিচার ওয়াইজ, ওয়ার্কিং প্রিন্সিপালের দিক দিয়েও এসেছে কোনো বলার মত পরিবর্তন। স্পেক ওয়াইজ নাম্বার গুলো যেহেতু বেড়েছে, পারফর্মেন্স তো বাড়বে এটা মোটামুটি জানা কথা, তবে এডা লাভলেসের প্রধান আকর্ষণের জায়গাটা মুলত থার্ড জেন আরটি কোর ও ফোর্থ জেনারেশনের টেন্সর কোর যেগুলো যথাক্রমে থার্ড জেনারেশনের রে ট্রেসিং ও থার্ড জেনারেশনের ডিএলএসএস অপারেশন হ্যান্ডেল করবে।

এই নতুন আরটি কোর ও টেন্সর কোর গুলোর কারণে রে ট্রেসিং পারফর্মেন্স ও আপস্কেলিং পারফর্মেন্স বৃদ্ধি পাবে ২ থেকে চার গুণ। এই পারফর্মেন্স আপলিফট হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে নতুন এই কোর গুলোর ওয়ার্কিং প্রিন্সিপাল ও ইন্টারনাল আর্কিটেকচারের মধ্যকার চেঞ্জেস।

RT

প্রথমত আরটি কোর, স্ক্রিনের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন এম্পিয়ার, অর্থাৎ ৩০ সিরিজে ইউজ হওয়া আরটি কোর গুলি, এগুলো মুলত Bounding Volume Hierarchy বা BVH ডাটা গুলোকে এক্সেলেরেট করে বক্স ইন্টারসেকশন ইঞ্জিন এর মাধ্যমে যেটা বামদিকে বড় বক্সের মধ্যে ছোট ছোট বক্স দিয়ে ইন্ডিকেট করা হয়েছে ,, অন্যদিকে  রে ট্রেসিং এর গুরুত্বপুর্ণ প্রসেস রে ট্রায়াংগল ও রে বক্স ইন্টারসেকশন এর কাজ করে ট্রায়াঙ্গল ইন্টারসেকশন ইঞ্জিন যেগুলো ডানদিকের বড় বক্সের মধ্যে থাকা ত্রিভুজ গুলো দ্বারা বোঝানো হচ্ছে।

থার্ড জেনারেশনের আরটি কোরের বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে উপরে উল্লেখিত দুটি ফাংশনের পাশাপাশি যোগ করা হয়েছে Opacity Micromap Engine (ছবির বামদিকের নিচের বক্সটি) ও Displaced macro mash engine (ডানদিকের নিচের বক্স) , এর মধ্যে ওপাসিটি মাইক্রোম্যাপ ইঞ্জিন এর কাজ হচ্ছে আলফা ট্রাভার্সাল গুলোকে এক্সেলারেট করা ও ডিসপ্লেসড মাইক্রো মেশ ইঞ্জিন গুলোর কাজ হচ্ছে অল্প স্টোরেজ কস্ট ও BVH টাইম কমিয়ে এনে অপেক্ষাকৃত কমপ্লিকেটেড জিওমেট্রিকাল অবজেক্টগুলোর রে ট্রেস করা।

Ada এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শেডার ওয়ার্ক ও কম হবে , ফলে এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে।

এই ডিস্প্লেসমেন্ট মাইক্রোমেশ গুলো কমপ্লেক্স BVH ও অনেক সংখ্যক্ ট্রায়াঙ্গল এর বদলে সিম্পল BVH ও সিঙ্গেল বেস ট্রায়াঙ্গল এর সাথে  ডিস্প্লেসমেন্ট ম্যাপ ব্যবহার করে জিওমেট্রিক মেশ তৈরী করে , এই পদ্ধতিতে অনেক কম রিসোর্স খরচ হয়।

এবারের আরটি কোর গুলো ফিচার করছে—প্রথমত,  দুই গুন fast রে triangle throughput, যেটির সাহায্যে  ডেভেলপার রা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে আরো অনেক বেশি ডিটেইলস এড করতে পারবেন।

এরপর আসছে RT Core এর টু এক্স ফাস্টার আলফা travarsal feature যার মাধ্যমে সরাসরি geometry এর alpha test করা সম্ভব ও shader based alpha calculation  এর পরিমাণ ও উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসে। ডেভেলপাররা এর মাধ্যমে  যতরকমের কমপ্লিকেটেড বা কমপ্লেক্স শেপ বা অবজেক্ট আছে সেগুলোকে সহজে ও সরাসরি ডেস্ক্রাইব ও রে ট্রেসিং করতে সক্ষম হবেন।

তৃতীয়ত এই আরটি কোর গুলোর রয়েছে ২০ গুন কম সময়ে ১০গুণ ফাস্ট BVH Build করার ক্ষমতা। একই সাথে কমপ্লেক্স শেপ গুলো বেসিক ট্রায়াঙ্গল এর মাধ্যমে জেনারেট করার সুবিধা টাও পাওয়া যাচ্ছে যার জন্য এফিশিয়েন্সি বাড়বে, স্টোরেজ ইউজ কমবে।

এই সবগুলো মিলিয়ে ট্রায়াঙ্গল ইন্টারসেকশন হবে ২ গুণ ফাস্ট ও এই এনহান্সমেন্টগুলোইই মুলত এডা ল্লাভলেস এর আরটি কোর গুলোকে করেছে সবথেকে বেশি পাওয়ারফুল ও ফাস্ট।

স্ক্রিনে দেখানো পাতার ছবিতে  ওপাসি্টি micromap engine এর operation , একটি maple leaf কে দুটি  triangle দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে  যেগুলোকে ওপাসিটি mask বলা হচ্ছে। অপাসিটি ইঞ্জিন এই লিফ কে ডিটারমাইন করে কোন পার্ট গুলো অপেক সেটা নির্নয় করবে ,সেজন্য এই দুইটি ট্রায়াংগল কে আবার বিভিন্ন কালারের ছোট ছোট মাইক্রো ট্রায়াঙ্গলে বিভক্ত করা হয়েছে।

opacity micromap engine এর আরেকটি এডভান্টেজের জায়গা হচ্ছে এটি এম্পিয়ার এর তুলনায় শেডার ওয়ার্ক কমিয়ে আনে ।

সর্বশেষ আরেকটি নতুন সংযোজন এর কথা বলে আমরা রে ট্রেসিং এর পর্ব সমাপ্ত করবো, সেটা হচ্ছে Shader Execution Reordering. রে ট্রেসিং এর সবথেকে বড় সিমাবদ্ধতা যেটা, ডাইভারজেন্স প্রব্লেম, সেটা সমাধান করতে ও এফিশিয়েন্সি বাড়াতে এনভিডিয়া ডিজাইন করেছে Shader Execution Reordering নামের নতুন একটি টেকনোলজি। এটি একটি শিডিউলিং সিস্টেম যেটা শেডার রিঅর্ডার করে ডাটার বেটার এক্সিকিউশন ও লোকালিটি নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তিটি আরটি শেডার কোরের পারফর্মেন্স ২ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।

ডিএলএসএস

আরটিএক্স থ্রি এর পাশাপাশি এডা লাভলেসের আরেকটি হাইলাইটসের জায়গা হচ্ছে ডিএলএসএস থ্রি পয়েন্ট জিরো পাওয়ারড বাই ফোর্থ জেনারেশন টেন্সর কোরস। এই চতুর্থ জেনারেশনের টেন্সর কোর গুলি এম্পিয়ার এর তুলনায় দ্বিগুণ FP16, BF16, TF32, INT8, and INT4 Tensor TFLOPS ডেলিভারি করতে পারে।

আর যদি অপারেশনাল ইম্প্রুভমেন্ট বা চেঞ্জেস এর কথা যদি বলি, তাহলে এবারের ডিএলএসএস থ্রিতে অপ্টিকাল ফ্লো এস্টিমেনশন কে কাজে লাগানো হয়েছে (থ্রিডি গ্রাফিক্স ও ভিডিওর অন্যান্য ফিল্ড যেমন ক্যামেরা স্টাবিলাইজেশন, ভিডিওর স্মুদনেস ইম্প্রুভিং,, ল্যাটেন্সি রিডিউসিং এর মত কাজে ইতিমধ্যেই ব্যবহ্বত হয়ে আসছে অপ্টিকাল ফ্লো এসটিমেশন) । ডিএলএসএস থ্রিতে কোনোরকমের আর্টিফ্যাক্ট ছাড়া একুরেট ফ্রেম জেনারেট করার জন্য গেম ইঞ্জিন মোশন ভেক্টরের সাথে OFA ইঞ্জিনের অপ্টিকাল ফ্লো ফিল্ডকে কম্বাইন করা হয়েছে ও এর সম্ভাব্য সবথেকে একুরেট মোশন এস্টিমেশন সম্ভব হয়েছে। এডার মধ্যকার এই OFA ইঞ্জিন এম্পিয়ার থেকে২ গুণ ফাস্ট কাজ করতে পারে। এই মেথডের মাধ্যমে DLSS2 অপেক্ষা দ্বিগুণ ফ্রেমরেট জেনারেট করা সম্ভব হয়েছে।একই সাথে অপ্টিকাল্ ফ্লো এক্সেলেরেশন ইনএকিউরেট শ্যাডো জেনারেশন এর সমস্যাও সমাধান করেছে।

ডিএলএসএস  মোশন ভেক্টর  এর সাথে, রানিং ও নেক্সট ফ্রেম এনালাইজ করে  ডিপ লার্নিং এলগরিদমকে কাজে লাগিয়ে সুপারস্যাম্পল ইমেজ জেনারেট করে যেটার অরিজিনাল রেজুলুশন্ থাকে অনেক কম, সেজন্য পারফর্মেন্স ইনক্রিজ হয় উল্লেখযোগ্য হারে।

অল্প ফ্রেম নিয়ে কাজ করেই হাই রেজুলুশনের ইমেজ ডিটেইল ও নিউ ফ্রেম কন্সট্রাক্ট করতে পারে ডিএলএসএস থ্রি তে দুই ধাপে ফ্রেম কন্সট্রাকশন হয়ে থাকে, সুপার রেজুলুশন, ফার্স্ট ফেজে পুরো ফ্রেমের ৩/৪ ভাগ রেন্ডার করে বা জেনারেট করে, পরের ফেজে ডিএলএসএস ফ্রেম জেনারেটর সম্পুর্ণ একটি ফ্রেম জেনারেট করে , এভাবে প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে ।

ডিএলএসএস থ্রি আরেকটি সিগনিফিকেন্ট ফিচার অফার করছে, সেটি হলো, সিপিইউ বাউন্ড সিনারিও, অর্থাৎ যেখানে সিস্টেমের প্রসেসর দ্বারা পারফর্মেন্স লিমিটেড হয়ে যাচ্ছে, সে সমস্ত সিনারিও তে এটি নিজে থেকে সিপিইউ এর কল্ ব্যতীতই ফ্রেম জেনারেট করে সিপিইউ লোড কমিয়ে সিপিউ বাউন্ড সিনারিওকে জিপিইউ বাউন্ডে কনভার্ট করে ও দুই গুণ পর্যন্ত বেশি ফ্রেমরেট জেনারেট করে।

NVENC ,NVDEC 

ভিডিও এডিটিং ,স্ট্রিমিং, ,প্রডাক্টিভিটি,এনকোডিং, ডেকোডিং  এর মত কাজগুলোতে রাইভাল ব্রান্ডের তুলনায় বরাবরই বেটার পারফর্মেন্স,ফিচার ও সাপোর্ট দিয়ে আসছে এনভিডিয়া। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি, এবার এনভিডিয়ার আরটিএক্স ৪০ জিপিইউ গুলো ফিচার করছে এইটথ জেন ডুয়াল এনভেংক এনকোডার। সময়ের সাথে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপুরণ হয়ে উঠা এভিওয়ান কোডেকের ডিকোডের সাপোর্ট টাই কেবল ৩০ সিরিজে ছিল, এডা লাভলেসে থাকছে এনকোডিং ও ডিকোডীং উভয় এর সাপোর্ট, । ৩০ সিরিজের  H.264 encoder এর তুলনায়ু এডার  AV1 ৪০% পর্যন্ত বেশি এফিশিয়েন্ট।  এডা লাভলেস আর্কিটেকচারের ১২ গিগাবাইট বা তার বেশি মেমোরির জিপিইউ গুলোতে এইটকে সিক্সটি এফপিএস এর ভিডিও এনকোড করা যাবে।

এনভেংক এর পাশাপাশি আরো দেওয়া হয়েছে 5th gen hardware decoder বা এনভিডেক।

4090 specs:

এবার আরটিএক্স ফোরটি নাইনটির স্পেসিফিকেশন ,। আরটিএক্স ফোরটি নাইনটি ফিচার করছে এডি ১০২ জিপিইউ , AD102 জিপিইউটিতে আছে ১৬৩৮৬টি কুডা কোর, যা  যা প্রিভিয়াস জেনারেশনের এম্পিয়ার এর  ফ্লাগশিপ জিপিইউ ৩০৯০টিআই থেকে প্রায় ৫ হাজার বেশি, জিপিসি  রয়েছে ১১টি, যা ৩০৯০টি আই তে ছিল্ল ৭টি,  , ৩০৯০ টিআই এর ৪২টি টিপিসির বদলে  ৪০৯০তে রয়েছে ৬৪টি টিপিসি, একই ভাবে এসএম কাউন্ট ও ৮৪ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ১২৮ এ। প্রতি এসএম এ একটি করে আরটি কোর ও তাই রয়েছে ১২৮টি।  যদিও প্রতি এসএম এ কুডা কোর ও টেন্সর কোরের  সংখ্যা আগের মতই আছে।  বড় রকমের আপলিফট দেখা যাবে বুস্ট ক্লকে, ৩০৯০টি আই এর বুস্ট ক্লক ছিল,   ১৮৬০ মেগাহার্জ  , সেখানে ৪০৯০ তে পাওয়া যাবে whopping ২৫২০ মেগাহার্জের স্পিড।

Zotac and colorful, short discussion

এবার আমাদের হাতে থাকা দুটি এইআইবি কাস্টম মডেল নিয়েও কুইক ডিস্কাশন সেরে নেওয়া যাক, দুটি গ্রাফিক্স কার্ডই একই জিপিইউ ও একি আর্কিটেকচার ফিচার করলেও কাস্টম মডেল হওয়ায় লুক, পাওয়ার ড্র, বুস্ট ক্লক , থার্মাল, ওয়েট এর মত বিষয় গুলোতে রয়েছে পার্থক্য। কম্প্যারেটিভলি বক্সি ডিজাইন এর সাথে আসা কালারফুল এনবি থেকে কার্ভি শেপের জোটাক এইরো জিপিউটি ওজনে বেশি ভারি।

ডিজাইন ওয়াইজ জোটাক এর AMP AERO বেশ এগ্রেসিভ ও হাইফাই টাইপ ডিজাইন এর সাথে আসছে এই জিপিইউটির কালার থিম হিসেবে ব্লল্লু আর গ্রিন কালার দেওয়া হয়েছে। , অন্যদিকে এনবি ইএক্স ব্লাক এন্ড রেড কালার ও অপেক্ষাকৃত সিম্পল দেখতে।।  জোটাক এর জিপিইউটি আরজিবি লাভার দের বেশি পছন্দ হবে কারণ আরজিবি কাভারেজ জোটাক এ অনেক বেশি, কালারফুলের ক্ষেত্রে খালি ব্রান্ড নেমটাই জ্বলে থাকে।

ওভারক্লকিং ও অন্যান্য মডিফিকেশনের জন্য দুটি জিপিইউ এর ভেন্ডরই ইউটিলিটি সফটওয়্যার অফার করছে। জোটাক এর জিপিইউটি ফায়ারস্ট্রোম ও কালারফুলের জিপিইউটি আইগেম সেন্টার সফটওয়্যার দিয়ে ওভারক্লকিং ও অন্যান্য টূইকিং করা যাবে।

দুটি জিপিইউ ই প্রচন্ড বৃহত আকৃতির, দুটিই বেশ লম্বা ও মোটা  আমাদের টেস্টিং এর সময় দুটি জিপিইউ ই আউট অফ দা বক্স ফ্যাক্টোরি ক্লক থেকে অনেকটাই বেশি স্পিডে, ২৭৩৮ মেগাহার্জে রান করেছে। এই সময় পাওয়ার ড্র এর  ক্ষেত্রেও দুটি জিপিইউ তে   ডিফারেন্স  লক্ষ করা গিয়েছে, কালারফুল এনবি কে জোটাক এইরো এর তুলনায় কিছুটা বেশি পাওয়ার হাংরি মনে হয়েছে কারণ কালারফুল এনবি ৬০২ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার টেনেছে, অন্যদিকে জোটাক এর ম্যাক্সিমাম পাওয়ার ড্র এর এমাউন্ট ছিল ৫৬৮ ওয়াট। rtx 4090 aero এর জন্য জোটাক রেকমেন্ড করছে ১০০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই।  প্রপারলি পাওয়ার আপ করতে amp aero এর জন্ত্য দরকার হবে চারটি এইটপিন কানেক্টর ও কালারফুলের জন্য প্রয়োজন হবে ৩টি এইটপিন কানেক্টর।

প্রাইসিং:

এনভিডিয়া এবারের আরটীএক্স ৪০৯০ এর এমএসআরপি নির্ধারন করেছে ১৬০০ ডলার । যা আগের জেনারেশন এর ৩০৯০ থেকে ১০০ ডলার বেশি ।নেক্সট জেনারেশন এর আরটিকোর ও ডিএলএসএস এরমত আকর্ষনীয় আপগ্রেড  থাকলেও মেমোরি সেকশনে বলতে গেলে কোনো  চেঞ্জই আনেনি তারা, একই মেমোরি ক্যাপাসিটি, ইন্টারফেস,ব্যান্ডউইডথ দিয়ে প্রাইস আরো ১০০ ডলার বাড়িয়ে দেওয়াটা ঠিক কতটুকু লজিকাল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। ১৫০০ ডলার প্রাইসট্যাগ টিই হয়তো যথেষ্ট ছিল এই জিপিইউটির জন্য। পারফর্মেন্স এর সাথে সাথে যদি দামটাও বাড়ে তাহলে আর ভ্যালু ফর মানি টার্ম টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, এআইবি কার্ড গুলোর প্রাইস সাধারণআরো কয়েকশত ডলার বেশি হয়ে থাকে ফাউন্ডারস এডিশন গুলোর থেকে। সেক্ষেত্রে বেটার পারফর্মেন্স এর এডভান্টেজটা কাইন্ড অফ কাট অফ হয়ে যায়।

আমাদের রিভিউ করা দুটি জিপিইউ এর মধ্যে কালারফুল এনবি ই এক্স ভি এর এর এমএসআর পি ১৬০০ ডলার, আর জোটাক এর জিপিউটি তুলনামুলক বেশি প্রাইসি।

বোরিং সাইন্স ক্লাস ও ফরমাল কথাবার্তার পর এবার সবথেকে হাইলি এন্টিসিপেটেড, বহুল আরাধ্য পারফর্মেন্স সেকশনে যাবার পালা।

তার আগে সংক্ষেপে আজকের এই মেগা বেঞ্চমার্কের টেস্ট সিস্টেম সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া যাক।

টেস্ট সিস্টেম

পারফর্মেন্স

ইস্পোর্টস ও AAA মিলিয়ে মোট ৭টি গেম আমরা টেস্ট করেছি টেন এইটিপি , ফোরটিনফোরটি পি ও ফোরকে রেজুলুশনে। দুটি ফোরটি নাইন্টির পাশাপাশি এই ব্যাটেলে ইঙ্কলুড করা হয়েছিল লাস্ট জেন ফ্লাগশিপ আরটিএক্স থার্টি নাইনটি টি আই কেও যাতে এডা লাভলেস আসলে এম্পিয়ার থেকে কতটুক পাওয়ার ফুল তা প্রাক্টিকালি বোঝা যায়। graph গুলো নিচে দিয়ে দেওয়া হলো।

 

টেম্পারেচার 

দুটি জিপিইউ এরই রয়েছে ৩টি করে ফ্যান ও বেশ বড় হিটসিংক। জোটাক এর এইরোতে রয়েছে নিজস্ব আইসস্ট্রোম কুলিং টেকনোলজি অন্যদিকে কালারফুলে এক্স রেডিয়েটর ও এক্স ব্য্যাকবোর্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

আমাদের টেস্টে তাই দুটি জিপিইউ এর থার্মাল পারফর্মেন্স ও একেবারে একইরকম পাওয়া গিয়েছে।  গেমিং এর সময় জোটাক ও কালারফুল, দুটিরই এভারেজ টেম্পারেচার ছিল্ল ৬৮ ডিগ্রী ও ম্য্যাক্সিমাম টেম্প ছিল ৮২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here