30 C
Dhaka
Tuesday, April 23, 2024

ঘরে বসে Govt. Job আবেদন করুন সহজেই!

- Advertisement -

সরকারি জব এখন সোনার হরিণের মতো। দেশের শতশত শিক্ষিত বেকার প্রতিনিয়ত সরকারি জব পোষ্টে এপ্লাই করে থাকে। বর্তমানে পত্র বা হার্ডকপির থেকে সফটকপি বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে এইসব আবেদন করা হয়। বিশেষ করে Govt Job পোষ্টগুলো টেলিটক ওয়েবসাইট আর নাম্বারের মাধ্যমে করা হয়। আমি নিজেও এই প্রক্রিয়ায় চাকুরি প্রার্থীদের মধ্যে একজন। এই সব আবেদন আপনারা অধিকাংশরাই বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে করে থাকেন। তবে বাসায় কম্পিউটার আর ইন্টারনেট একসেস থাকলে আপনি নিজের আবেদন নিজেই করতে পারবেন এবং নিজেরটা নিজে করাটাই শ্রেয়।

বি:দ্র: এই বিষয়টি আমাদের টেকনোলজি বা পিসিবির কোনো থিমের সাথে যায় না। কিন্তু আমাদের সাইটে NID সংশোধন, জমি জমা চেক, ট্রেনের টিকেট কাটা বা জন্মনিবন্ধনের যেসকল আর্টিকেল রয়েছে সেগুলোর সবটাই আপনাদের সুবিধা বা মানুষের উপকারের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। আর আজকেই এই পোষ্টটিও আপনাদের সুবিধার জন্যই লেখা।

- Advertisement -

সরকারি ৯ম থেকে ২০তম গ্রেডের চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো সাধারণত এই জাতীয় হয়ে থাকে। যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে সেটার সংক্ষিপ্ত নামের অক্ষর দিয়ে টেলিটকের নাম দেওয়া থাকে। আপনি ৮০% প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই একই নিয়মে আবেদন করতে পারবেন। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান থাকে যেগুলোর আবেদনের ওয়েবসাইটের ধরণ আলাদা, যেমন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আন্ডারে যেসব আবেদন করা লাগে সেটার সাথে টেলিটকের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে আবেদন ফি বিকাশ দিয়ে জমা দেওয়া যায়। চলুন দেখে নেই কিভাবে বাসায় বসে  টেলিটক ওয়েবসাইটগুলোর Govt Job আবেদন করবেন:

যা যা লাগবে:

- Advertisement -

১) চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির হার্ডকপি বা সফটকপি। (আপনার কাজের জন্য)

আপনার নিজের কাজের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির হার্ডকপি যেটা পত্রপত্রিকায় পাবেন কিংবা অনলাইন কপি নিজের কাছে রাখুন। ভবিষ্যৎতে পরীক্ষা দেবার সময় এটায় ক্রসচেক করে মিলিয়ে নিতে পারবেন। Govt Job বিজ্ঞপ্তিতে আপনার জেলা থেকে আবেদন করা যাবে কিনা সেটা চেক করে নিন।

২) নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ

- Advertisement -

আবেদন করার সময় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে, আবেদনের মাঝপথে নেট চলে গেলে দেখবেন পরে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।

৩) কম্পিউটার

এই জাতীয় আবেদন স্মার্টফোনের মাধ্যমেও করা যায় কিন্তু কম্পিউটারের মাধ্যমে করার জন্য সাজেস্ট করবো। এই সব জরুরী জিনিস কম্পিউটারেই করা শ্রেয়।

৪) সঠিক সাইজের ছবি ও স্বাক্ষর

৫) টেলিটল সিম এবং আবেদন ফি

ধাপ ১: ছবি ও স্বাক্ষর

প্রায় অধিকাংশ Govt Job চাকুরির নিয়োগের আবেদনে ছবি ও স্বাক্ষরের একটি নির্ধারিত সাইজ ও ফাইলের আকার দেওয়া আছে। ছবির ক্ষেত্রে আকার হবে ৩০০x৩০০ এবং স্বাক্ষরের আকার হবে ৩০০x৮০। একবার ছবি ও স্বাক্ষর সাইজ করে নিতে পারলে আগামীর আবেদনগুলোতে এই ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে আর কাজ করতে হবে না।

যারা ফটোশপ পারেন তারা ছবি ও স্বাক্ষর স্ব স্ব সাইজে রিসাইজ করে নিন। ছবি ও স্বাক্ষর স্ক্যান করে কিংবা মোবাইল দিয়ে Clear ভাবে ছবি তুলেও রিসাইজ করতে পারবেন।

যারা ফটোশপ পারেন না তারা অনলাইন ছবি রিসাইজ টুলের সাহায্য নিতে পারেন।

সাইটে যাবার জন্য এখানে ক্লিক করুন। তারপর সেখানে আপনার ছবি তারপর স্বাক্ষর আপলোড করুন।

ছবি আপলোড করার পর সাইজ পপডাউন মেনু থেকে কাস্টম সিলেক্ট করে নির্ধারিত বক্সে ৩০০ x ৩০০ সাইজ দিন। তারপর ছবিটি ডাউনলোড করুন।

এভাবেও করতে পারেন তবে আমার পরামর্শ থাকবে যে ফটোশপ দিয়ে ঘষামাজা করে নিলে ভালো হয়। নিজে না পারলে দোকান থেকে ছবি আর স্বাক্ষরের ডিজিটাল কপি নিয়ে আসতে পারেন, একবারের জন্যই তো।

ধাপ ২: আবেদন

যে প্রতিষ্ঠানে আবেদন করবেন সেটার নিজস্ব টেলিটক সাইট রয়েছে। সেটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শুরুতেই পেয়ে যাবেন। সেই সাইটে চলে যান। তারপর Apply বা Apply Now বাটনে ক্লিক করুন।

বি:দ্র: কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সাইটের শেষে যদি .teletalk.com.bd না থাকে তাহলে সেই আবেদন প্রক্রিয়া আজকের দেখানো প্রক্রিয়ার সাথে মিলবে না। 

যে পদের জন্য আবেদন করবেন সেই পদের নামের উপর ক্লিক করুন।

তারপর বেশ বড় একটি আবেদন Form আসবে। ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি তথ্য নিজে নিজে লিখে ফেলুন। এখানে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, লিঙ্গ, ঠিকানা শিক্ষাগত এবং প্রফেশনাল যোগ্যতা এগুলো চাওয়া হয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার সময় রোল, গ্রুপ, বোর্ড এগুলো সিলেক্ট করার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে কোনো ভুল তথ্য না পড়ে।

ঠান্ডা মাথায় ফরমটি পূরণ করার পর নিচের দিকে Departmental Candidate ঘরে আপনি যদি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কেউ হন তাহলে Yes দিবেন অন্যথায় No দিবেন। মানে এটা প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের জন্য প্রযোজ্য। তারপর Validation Code ঘরে একটি কোড দেখাবে সেটা লিখবেন। আপনার বেলায় কোডটি ভিন্ন হবে। তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।

ফরমটির প্রিভিউ আপনাকে দেখাবে। এখানে সব তথ্য সঠিক এবং বানানে কোনো ভুল আছে কিনা সেটা কয়েকবার ধীরে সুস্থে রিভিউ করে নিন। তারপর নিচের দিকে স্ক্রল করে চলে আসুন।

ফরমের শেষের দিকে ছবি ও স্বাক্ষর আপলোডের ঘর পাবেন। সেখানে আপনার সঠিক সাইজের ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে দিন। সঠিক সাইজ না হলে আপলোড নিবে না। সব শেষে I declare …. ঘরে টিক দিয়ে Submit The Application বাটনে ক্লিক করুন। মনে রাখবে সাবমিট দেওয়ার পর আবেদনটি এডিট করা যাবে না।

ফরমে কোনো ভুল ধরা পড়লে উপরের নীল রংয়ের Click here to edit the application!! লেখার উপর ক্লিক করলে আগের অবস্থায় আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

সাবমিট করার পর এরকম Confirmation পপআপ আসবে। OK বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার আবেদন করা হয়ে গিয়েছে। আপনার আবেদন ফরমটি এবার আপনার সামনে ছবি ও স্বাক্ষর সহ চলে আসবে। একদম নিচের দিকে ডাউনলোড লেখার উপর ক্লিক করে ফরমটি আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখুন। এই ফরমটি ভাইবা পরীক্ষার সময় নিয়ে যেতে হবে।

শেষ ধাপ – আবেদন ফি

প্রতিটি পদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফি রয়েছে। আমি যে পদে করেছি সেটার আবেদন ফি হচ্ছে ১১২টাকা। আপনার পদের আবেদন ফি কত সেটা নিয়োজ বিজ্ঞপ্তির শেষে উল্লেখ করা রয়েছে। ফি যত টাকা তার থেকে ১০ টাকা বেশি টেলিটক নাম্বারে রিচার্জ করতে হবে (SMS এর খরচ) ।

এক টেলিটক নাম্বার দিয়ে একাধিক ব্যক্তির আবেদন করা যায় তাই টেলিটক নাম্বার নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি ফরমে যেই মোবাইল নাম্বার দিয়েছেন সেটাতেই আপনার আবেদনের তথ্য পাঠানো হবে।

কিভাবে টেলিটক দিয়ে আবেদন ফি দিবেন সেটাও আবেদনকৃত ফরমের শেষে দেওয়া রয়েছে। ফরমের শেষে আপনাকে একটি ইউজার আইডি দেওয়া হবে। টেলিটকের নাম্বারের SMS অপশনে গিয়ে প্রথমে প্রতিষ্ঠানের নামের কোড লিখবেন। তারপর স্পেস দিয়ে আপনার ইউজার আইডি লিখে SMS টি ১৬২২২ নাম্বারে সেন্ড করবেন।

ফিরতি মেসেজে আপনি একটি পিন কোড পাবেন। সেটা কোথাও লিখে রাখুন।

পরের মেসেজে প্রতিষ্ঠানের কোড লিখে স্পেস দিন। তারপর YES লিখে স্পেস দিন। তারপর ওই পিনকোড লিখে ১৬২২২ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন ফি দেওয়া হয়ে যাবে।

ফরমে দেওয়া নাম্বারেও একটি বার্তা যাবে। এই বার্তায় দেওয়া ইউজার নামের সাথে সাথে একটি পাসওর্য়াডও পাবেন। পরবর্তীতে এডমিট কার্ড ডাউনলোডের সময় উক্ত সাইটে আপনাকে ইউজার আইডি ও পাসওর্য়াড দিয়ে ঢুকতে হবে।

পরিশিষ্ট

এভাবে আপনি দোকানে না গিয়েও বাসায় থেকেই Govt Job চাকরির আবেদন করতে পারবেন। দোকানে করলে সে অতটা কেয়ার দিয়ে করতে না যতটা আপনি বাসায় বসে নিজে কেয়ার নিয়ে করবেন।

আপনার দেওয়া নাম্বারে প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার ২/৩ সপ্তাহ আগে একটি মেসেজ আসবে সেখানে এডমিট কার্ড এর ব্যাপারে বলা হবে। তখন আপনি সাইটে গিয়ে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। লিখিত পরীক্ষার জন্য শুধুমাত্র এডমিট কার্ড প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে যাবেন। আর অবশ্যই এডমিট কার্ডটি কালার প্রিন্ট করবেন।

লিখিত পরীক্ষায় টিকার পর পরবর্তীতে ব্যবহারিক / মৌখিক পরীক্ষায় আপনার এডমিন কার্ড, আবেদন ফরম এবং যাবতীয় সনদপত্র নিয়ে যেতে হবে। আশা করবো আজকের এই Article টি সরকারি নিয়োগের আবেদনে আপনাদের কিছুটা হলেও হেল্প করবে।

 

ঘরে বসে NID সংশোধন

ঘরে বসে NID ডাউনলোড

ঘরে বসে জন্মনিবন্ধন যাচাই ও ডাউনলোড

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here