31 C
Dhaka
Friday, March 29, 2024

2nd Hand কম্পোনেন্ট কেনা বেচার আগে সাধারণ যে বিষয় খেয়াল রাখা উচিত

- Advertisement -

আসসালামু আলাইকুম

প্রয়োজন, সময়, টাকা, সহজলভ্য, ইত্যাদি কারণে আমরা অনেকেই 2nd Hand পিসি কম্পোনেন্ট কিনে থাকি, যা শুধু লোকাল মার্কেটে সীমাবদ্ধ নয় ফেসবুক এবং বেশকিছু অনলাইন সেল সাইট এর কল্যাণে আমরা খুব সহজে অন্য এলাকার খবর ও পেয়ে থাকি। 2nd Hand কম্পোনেন্ট কেনা বেচা অনেকের শখ থেকে পেশাতে পরিণত হয়েছে। তাই 2nd Hand কম্পোনেন্ট কেনা বেচার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় মেনে চলা দরকার তা নিয়ে আজ কথা বলা হবে।

- Advertisement -

বাজার যাচাইঃ
যে কোন কম্পোনেন্ট কেনা বেচার ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হচ্ছে বাজার যাচাই করা। বাজারে এর প্রাপ্রতা, মান, দাম, স্থায়িত্ব, ওয়ারেন্টি, আয়ুকাল ইত্যাদি। এই সকল কাজ খুব সহজে করা যায় অনলাইনে একটু ঘাটা ঘাটি করলে।

কম্পোনেন্ট সিলেক্টঃ
বাজারে কম্পোনেন্ট খোজা খুজির পর তা পাওয়া গেলে তা সম্পর্কে একটু গবেষণা করা প্রয়োজন, যেমন- এটি কি আপনার কাজে আসবে, কত দিন টিকবে, আগে কে কি কাজে এটি ব্যবহার করেছে, কি করণে তা বিক্রি করতে চাচ্ছে ইত্যাদি। এই সকল বিষয় জনাতে বিক্রেতার সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে, অনেকেই মিথ্যা বা মনগড়া কথা বলতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনার নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিচার করতে হবে।

দাম নির্ধারণঃ
ক্রতা/বিক্রতার সাথে কথা বলার পর পণ্য টি পছন্দ হলে সরাসরি কথা বলে দাম নির্ধারণ করে নিতে হবে প্রাথমিক অবস্থায় দাম বেশি হবে পণ্যের অবস্থা ভেদে প্রথমেই দাম নির্ধারণ করে নেওয়া ভাল। সরাসরি দেখার পর দাম কম বেশি করার মত আবস্থা ঠিক করে নেওয়া ভাল।

- Advertisement -

Second Hand Computer shop Bangladesh ক্রয়/বিক্রয়ের স্থান/মাধ্যম নির্ধারণঃ
দাম ঠিক হবার পর ক্রেতা/বিক্রতার সাথে কথা বলে স্থান নির্ধারণ করে সরাসরি দেখা করে পণ্যটি আদান/প্রদান করতে হবে, দাম কম বেশি করার যদি কোন সুযোগ থাকে তবে উভয়ের সম্মতিতে তা করা যেতে পারে। তবে সবসময় একটি ভাল স্থান নির্ধারণ করতে হবে যাতে আপনি প্রতারিত না হন, বর্তমানে অনেক ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে, তাই কোন চিপা চাপাতে যাবেন না। আগে কোথায় যেতে হবে তা দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন যে যাওয়া ঠিক হবে কিনা।

যদি কুরিয়ারের মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে চান তাহলে টাকা আগে না পন্য পাবার পর পরিশোধ করতে চান তা ঠিক করে নেওয় দরকার। তবে আমি বলতে চাই খুব বিশ্বস্ত না হলে এ ভাবে ক্রয়/বিক্রয় না করাই ভাল, কারণ পন্য পরিবহনে নষ্ট হলে, বা নষ্ট পন্য দিয়ে থাকলে আপনার তেমন কিছুই করার থাকবে না বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যক্তি ইচ্ছাকিৃত ভাবে প্রতারণা করে থাকে।

পর্যবেক্ষণঃ
পণ্যে ক্রয়/বিক্রয়ের সময় তা চেক করে নেওয়া উচিত যে তা ভাল আছে নাকি। আপনার ব্যবহারের ভুলেও তা নষ্ট হতে পারে তাই তাড়া হুড়া করবেন না ভালমত দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন।
অনেকেই বলতে পারে।

- Advertisement -

“ভাই রানিং জিনিস কোন সমস্যা নাই”
“একদম ফ্রেশ”
“নতুন কিনছি তাই রেখে দিছি”
“খুব টাকা দরকার তাই” ইত্যাদি ইত্যাদি।

পণ্যের বডিতে কোন দাগ, পোঁড়া, ময়লা, আঘাত, রিপেয়ার, ওয়াটার ড্যামেজ, পোর্ট সমস্যা, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি বিষয় দেখে নেওয়া ভাল।

যতক্ষন আপনি নিজে সন্তুষ্ট না হবেন ততক্ষন পর্যন্ত তা ফাইনাল করবেন না।

অর্থ লেনদেনে সাবধানতাঃ
সাবধানতার জন্য কখনোই একা যাবেন না, প্রয়োজনে ২ ৩ জন যাবেন, টাকা সবার কাছেই রাখবেন। অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য একজনের কাছে টাকা রেখে দুরে থাকতে বলবেন, কথা ফাইনাল হলে তাকে ফোনে ডেকে, বিক্রতাকে টাকা দিয়ে দিবেন।

যে সব ক্রেতা/বিক্রেতাদের এড়িয়ে চলবেনঃ
১৫০, ২০০, ১০০০% পন্য ঠিক আছে।
সব ঠিক আছে শুধু ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে হবে।
চেক করা ব্যবস্থা নাই।
বাসায় বাইরের লোক ঢোকায় না।
যাকে তাকে বাসায় আনি না।
কোন সমস্যা পেলে ফ্রি দিয়ে দিব।
১ বছরের পারসোনাল গ্যারান্টি।
দাম ১০০০% ফিক্সট।
দাম ভাল না লাগলে অন্য টা দেখেন, শুধু শুধু আমার সময় নষ্ট করবেন না।
এই দাম এ পাবেন না।
সাধারণের তুলনায় খুব কম বা বেশি দাম।
বাজার সর্ম্পকে যাদের ধারনা নেই।
হা হা রিয়েক্ট দিলে যারা খারাপ কথা বলে।
মুখের ভাষা, ব্যবহার যাদের খুবিই খারাপ।
ফেক প্রোফাইল।
ফেক প্রোডাক্টের ছবি।

শেষ করার আগে আর একটি কথা বলতে চাই ইদানিং কিছু প্রতারক চক্র ফেক ক্যাশ মেমো তৈরী করে বলে ওয়ারেন্টি আছে, চেক করা লাগবে না।

ক্যাশ মেমো খুব ভাল করে যাচাই করলে বুঝতে পারবেন যে তা ফেক।

 

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here