31 C
Dhaka
Sunday, March 17, 2024

Call of Duty Mobile রিভিউ, টিপস এন্ড টিক্সস!

- Advertisement -

কল অফ ডিউটি সিরিজের ডাই হার্ড ফ্যান কিংবা ক্যাজুয়াল গেমার, যে ধরণেরই গেমার আপনি হন না কেন; কল অফ ডিউটি সিরিজের সাথে একটি কথা যায় না সেটা হচ্ছে Free ! হ্যাঁ কল অফ ডিউটির কোনো উল্লেখযোগ্য গেমস নেই যেটা বাজারে তারা ফ্রিতে ছেড়েছিলো। কিন্তু বহুল প্রতিক্ষিত কল অফ ডিউটির মোবাইল সংষ্করণটি ফ্রিতে রিলিজ করে দিলো কিছুদিন আগে। আর ফলাফল? মাত্র ১ সপ্তাহের মাথায় প্রায় আড়াই মিলিয়নের বেশি ডাউনলোড হয়েছে গেমটি। নস্টালজিক কল অফ ডিউটির ম্যাপস এবং মর্ডান কল অফ ডিউটির গ্রাফিক্স ও গেমপ্লে নিয়ে মোবাইল সংষ্করণটি গ্লোবালি অক্টোবর ১ তারিখে রিলিজ পায়। আজকের পোষ্টে কথা বলবো গেমটি নিয়ে। গেমটির ভালো মন্দ এবং আমার পক্ষ থেকে কিছু টিপসও থাকবে!

সবার আগে বলে নেই যে প্রতিটি ব্লকব্লাস্টার গেমগুলো এক একটি মাস্টারপিস। এবং প্রতিটি গেমের নিজস্ব কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। তাই বলে কোনো গেমকে ছোট বা বড় করা যাবে না। যেমন ব্যাটল রয়্যাল মোডের জন্য পাবজি সেরা, 5vs5 ইন্সট্যান্ট একশনের জন্য এই CODM গেমটি সেরা আর সব ধরণের মোবাইলের জন্য মোবাইল কাস্টমাইজড ব্যাটল রয়্যাল খেলার জন্য আপনি ফ্রিফায়ার খেলতে পারেন।

- Advertisement -

পোষ্টটি শুরু করছি সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস দিয়ে। গেমটি খেলার জন্য আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি অবশ্যই ৫.১ হতে হবে। পিসিতে যারা এমুলেটর দিয়ে খেলেন তাদের এমুলেটর OS ভার্সনটিও যাতে ললিপপ বা এর উপরের হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। আর আইওএস এর জন্য iOS 9 বা এর উচ্চ ভার্সনটির দরকার পড়বে।

প্রসেসর: Snapdragon 625 / Snapdragon 439 / Snapdragon 810

- Advertisement -

র‌্যাম : ৩ গিগাবাইট

ইন্টারনেট স্পিড: 1Mbps

নুন্যতম ৩ গিগাবাইট র‌্যামের প্রয়োজন হবে। তবে ৪ গিগাবাইট হলে ভালো। আর প্রসেসরের দিক থেকে বলতে গেলে নুন্যতম স্ন্যাপড্রাগন সিরিজের প্রসেসর হতে হবে যেটার Antutu স্কোর ৬৫ হাজার। উল্লেখ্য যে আপনার ডিভাইসের Antutu স্কোর ৬৫ হাজার হলে এবং ৩ গিগাবাইট র‌্যাম থাকলে গেমটির 5vs5 মোডটি খেলতে পারবেন, FPS ৩০ এর মধ্যেই থাকবে। তবে গেমটির ব্যাটল রয়্যাল খেলতে হলে অবশ্যই আপনার ডিভাইসের Antutu স্কোর এক লাখের উপরে হতে হবে আর ৪ গিগাবাইট র‌্যামের প্রয়োজন হবে। মানে Snapdragon 660 হলেই লো গ্রাফিক্সে গেমটির ব্যাটল রয়্যাল উপভোগ করতে পারবেন।

- Advertisement -

অনেকেই মনে করবেন যে আমি নিজে ব্যাক্তিগতভাবে Call of Duty এর ডাই হার্ড ফ্যান হওয়ায় এই পোষ্টে গেমটির প্রসংশাই করবো। তা কিন্তু নয়, পোষ্টটি শুরু করছি কল অফ ডিউটি মোবাইল গেমটির খারাপ দিকগুলো দিয়ে বা গেমটির যে সকল জিনিস আমার কাছে ভালো লাগেনি:

Microtransaction

এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যেকোনো ফ্রি-টু-প্লে গেমেই microtransaction থাকে। কারণ ফ্রি গেমে ডেভেলপারদের ”আয়ের” অন্য তম উৎস্য হচ্ছে এটি। পাবজি, ফ্রিফায়ার, Asphalt 9 সহ সব পপুলার গেমেই এই সিস্টেম থাকে। আপনি যখন টাকা খরচ করে গেমের কোনো ফিচার কিনে থাকেন তখন সেটা Microtransaction বলা হয়, যেমন পাবজিতে, ফ্রিফায়ার যে ব্যাটল পাস / রয়্যাল পাস কিনেন টাকা খরচ করে সেটা। যারা কল অফ ডিউটির ডাই হার্ড ফ্যান রয়েছেন তারা তো এক লাফেই এই মাইক্রোট্রান্সজ্যাকশানের ফাঁদে পড়ে যাবেন। কারণ ইউনিক ক্যারেক্টার, অস্ত্রের স্ক্রিণ এবং অনান্য আইটেমগুলোকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়। তবে মনে রাখবেন বেটা সংষ্করণের তুলনায় এই ফাইনাল সংষ্করণে মাইক্রোটান্সজ্যাকশন খুবই বেশি। গেমটিতে ব্যাটল পাস, কয়েক ধরণের স্টোর, Ad ওয়াচ ইত্যাদি রয়েছে। আর গেমে লগ ইন করলেই ৩/৪ ধরণের ইন-গেম বিজ্ঞাপন রয়েছে যেখানে আপনাকে বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য বলা হবে। এগুলো থেকে একটু বেঁচে থাকবেন!

মাল্টিপ্লেয়ার ম্যাচ কোয়ালিটি

ওয়েল! এটা সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবার কথা। কিন্তু এখন আপনি গেমটি খেলার সময় বিশেষ করে মাল্টিপ্লেয়ার খেলার সময় গেমটিতে কোনো ধরণের Matchmaking সিস্টেম দেখতে পাবেন না। বিশেষ করে Region Lock ফিচারটি এখনো গেমটিতে নেই। আপনি যদি মনে করেন এই গেমটি আপনার স্কিলস এর ভিক্তিতে Region হিসেবে ম্যাচ দিচ্ছে (র‌্যাঙ্ক বা নরমাল) তাহলে আপনি ভূল! ম্যাচে ঢুকলে দেখবেন যে একই ম্যাচে আপনি চাইনিজ, জাপানিজ, ইন্ডিয়ায়, রাশিয়ান ইত্যাদি মিশ্র প্লেয়ার দেখতে পাবেন। আর এখানে সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে Ping! কারণ সবাই তো WiFi তে খেলে না আবার সব প্লেয়ারই 4G তে নেই। তাই একএক প্লেয়ারের পিং এক এক হয়ে থাকে। আর মাল্টিপ্লেয়ার ম্যাচে পিং এর গুরর্ত্ব হয়তো নতুন করে আপনাদেরকে বলতে হবে না। নেটওর্য়াক ল্যাগ গেমটিতে রয়েছেই!

কনট্রোল সিস্টেম

এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত! এটাকে সিরিয়াসলি না নিলেও চলবে। কিন্তু আমার মতে এই গেমের কনট্রোল সিস্টেম একটু রাফ এবং টাফ। বিশেষ করে নিজের মতো করে কাস্টমাইজেশন না করে নিলে বাই ডিফল্ট এই কনট্রোল সিস্টেমে খেলা একটু দূরহ। গেমটিতে দুটি কনট্রোল সিস্টেম রয়েছে। প্রথমটিতে আপনি অটো ফায়ারের সুবিধা পাবেন, এতে শুধুমাত্র এনিমি দেখা গেলেই আপনার অস্ত্র, ছুড়ি চলবে, তবে এখানে আপনাকে Aim এর জন্য আলাদা স্কোপ দেওয়া হবে। আর Aim না করে মারলে ভালো ডেমেজ পাবেন না। আবার একবার Aim করে নিলে আবারো ট্যাপ করে Aim ছুঁটাতে হয়। অন্যদিকে বিশেষ অস্ত্র যেমন পাওয়ার আপসগুলো ব্যবহার করতে গেলে আবার ম্যানুয়াল Aim এবং ফায়ারের প্রয়োজন।
দ্বিতীয় কনট্রোল সিস্টেম আরো জটিল। এখানে আপনাকে নিজে থেকে ই Aim এবং ফায়ারিং করতে হবে। তবে প্রথমে কয়েকটি ম্যাচ খেলে নিয়ে নিজের মতো করে কনট্রোল কাস্টমাইজেশন করে নিলেই আপনি র‌্যাঙ্ক গেমে টিকতে পারবেন। আরেকটি কথা, গেমটিতে কিন্তু কোনো Inverted X, Y সিস্টেম নেই, তাই যারা ইনভার্ট করে খেলেন তাদের জন্য এই গেমটি আপতত খেলতে খুবই সমস্যা হবে।

শর্টকাট মাল্টিপ্লেয়ার

এটা আসলে কোনো খারাপ দিক নয়, এটাকে আপনি সমালোচনা হিসেবে নিতে পারেন। কল অফ ডিউটি মোবাইল গেমটির মাল্টিপ্লেয়ার সেকশনটি একটু শর্টকাট এবং দ্রুতগতির হিসেবে সাজানো হয়েছে। যারা লংটার্ম ম্যাচ খেলতে পছন্দ করেন তাদের কাছে এটা পছন্দ হবে না। কারণ র‌্যাঙ্ক এবং নরমাল দুটি মোডেই আপনি 5 vs 5 প্লেয়ার পাচ্ছেন, আর ওদিকে ম্যাপগুলোর সাইজও তেমন বড় নয়। কিন্তু যারা কল অফ ডিউটির ফ্যান রয়েছেন তাদের জন্য পিসি সংষ্করণের গেমের ম্যাপগুলো মোবাইলে চলে আসাটাই বড় কথা। এছাড়াও TDM মোডে র‌্যাঙ্ক ম্যাচে মাত্র ৪০ স্কোর আর নরমাল ম্যাচে ৫০ স্কোর লিমিট দিয়ে রাখা হয়েছে। একমাত্র SND বা সার্চ এন্ড ডেসট্রয় মোডটায় আপনি একটু লং টার্ম ম্যাচ খেলতে পারবেন। বাকি ম্যাচগুলো ২ থেকে ৩ মিনিটের মাথাতেই আপনি ফিনিস করতে পারবেন।

সমালোচনা শেষ হলো (আপাতত) ! এবার গেমটির ভালো দিকগুলোর ব্যাপারে বলা যাক!

হাই ফাই ব্যাটল রয়্যাল!

আমার কাছে কল অফ ডিউটির ব্যাটল রয়্যাল মোডটি বেশ দারুণ লাগে। এটা মোবাইল ব্যাটল রয়্যাল Genre তে একটি আলাদা স্বাদ নিয়ে আসে। পিসির Apex Legend গেমটির কোনো মোবাইল ভার্সন হলে সেটা এরকমই হতো। আর বলতে গেলে বলা যায় যে, CODM গেমটির ব্যাটল রয়্যাল ম্যাপটি বেশ বড় এবং একশনে ভরপূর। মোবাইলে যদি হাই গ্রাফিক্স দিয়ে গেমটির ব্যাটল রয়্যাল মোডটি আপনি ভালো FPS য়ে খেলতে পারেন তাহলে আপনার কাছে কোনো দিক দিয়েই গেমটি মোবাইল গেম বলে মনে হবে না। মনে হবে যে আপনি পিসির কোনো ব্যাটল রয়্যাল গেম খেলছেন। অনেকেই এটাকে তাদের ফ্যান্টাসি কল অফ ডিউটি ব্যাটল রয়্যাল বলে থাকেন। কারণ ছোটবেলায় আমরা এটাই চাইতাম। মনে রাখবেন কল অফ ডিউটি সিরিজের অধিকাংশ গেমের উপাদান এই মোবাইল গেমে রয়েছে। আর কল অফ ডিউটি সিরিজটি কিন্তু কোনো একটি স্টুডিও নয়, কয়েকটি স্টুডিওর বানানো বেশ কয়েকটি কল অফ ডিউটি গেমের উপাদানগুলো একটি মোবাইল গেমে নিয়ে আসা হয়েছে।

ডাইনামিক অডিও সিস্টেম

কল অফ ডিউটি মোবাইল গেমটির অডিও সিস্টেমকে বাহবা দিতেই হয়। ব্যাটল রয়্যাল এবং মাল্টিপ্লেয়ার দুটি ক্ষেত্রেই গেমটির অডিও সিস্টেম একদমই টপ নচ বলা চলে। আপনি মোবাইল স্পিকারেই এনিমির Footstep বেশ ভালো ভাবেই শুনতে পাবেন, আর বড় হেডসেট থাকলে তো কথাই নেই, মনে হবে আপনি চিটিং করে খেলছেন কারণ ভালো হেডফোন ব্যবহার করলে ডাইনামিক সারাউন্ড সাউন্ড পাবেন আপনি। ব্যাটল রয়্যালে দূর থেকে গুলির আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারবেন কোন ডাইরেক্টশন থেকে শব্দ আসছে, আলাদা করে আপনাকে ম্যাপের দিকে নজর দিতে হবে না।

Free to Play!

অবশ্যই! এটা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। কিন্তু আপনি যদি কল অফ ডিউটি সিরিজের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন যে কল অফ ডিউটি সিরিজের মেজর টাইটেলগুলোর কোনটাই ফ্রিতে রিলিজ করা হয় নি। কিন্তু FPS শ্যুটার সিরিজের গডফাদার Call of Duty তাদের মোবাইল গেমে যদি cost দিয়ে রাখতো তাহলে হয়তো ডাই হার্ড ফ্যান ছাড়া অন্যদের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য হতো না। আর আরেকটি কথা হচ্ছে গেমটিতে ১ পয়সাও খরচ না করে আপনি বেশ ভালো ভাবেই ক্যারিয়ারে আগাতে পারবেন, তবে এ জন্য আপনাকে গেমটিতে প্রচুর পরিমানের সময় দিতে হবে। বিশেষ করে প্লেয়ার লেভেল আপ করার জন্য দিনে কমপক্ষে ৫০-৬০-৭০টি মাল্টিপ্লেয়ার ম্যাচ খেলতে হবে। ১০০ লেভেলের উপরে গেলেই গেমটির অধিকাংশ অস্ত্র এবং আইটেম আপনি আনলক করে ফেলবেন এবং তখনই গেমটি খেলে আপনার মনে হবে যে না আসলেই ভালো কিছু পেয়েছি বিনামুল্যে!

ফিচারপ্যাক গেম!

এটা বলতেই হয় যে কল অফ ডিউটি মোবাইল গেমটিতে অনেক ফিচার ঠাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন প্লেয়ার হলে আপনি তো কনফিউজই হয়ে যাবেন যে কোনটা রেখে কোনটা খেলবেন। Battle Royal এবং Multiplayer এর র‌্যাঙ্কিং সিস্টেম আলাদা। রয়েছে আলাদা লিডারবোর্ড, রয়েছে ক্ল্যান আবার Multiplayer ম্যাচের মধ্যেও কয়েকপ্রকারের ভিন্ন ভিন্ন মোড রয়েছে। অস্ত্র, AI সহ প্রায় অনেক কিছুকেই আপনি টোটালি নিজের মতো করে কাস্টমাইজেশন করে নিতে পারবেন। বর্তমানে গেমটির মাল্টিপ্লেয়ারে Frontline, TDM, SND , Domination এবং বটদের সাথে খেলার আলাদা মোড রয়েছে। সামনের আপডেটে গেমটিতে Zombie মোড নিয়ে আসা হবে বলে নিশ্চিত খবর পাওয়া গিয়েছে। তো কল অফ ডিউটি মোবাইল গেমটি আপনার সময়কে ভালোভাবেই কাটিয়ে নেবে।

এবার এই গেমটির কিছু টিপস দেওয়ার চেষ্টা করছি

লগইন সমস্যা

বাংলাদেশে গেমটি লঞ্চ করার সময় Infinite Loading Screen সমস্যায় পড়েছেন অধিকাংশ প্লেয়ারই। এটা তাদের সার্ভারের সমস্যা যেটা সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু In the mean time গেমটি খেলতে হলে আপনাকে VPN এর সহায়তা নিতে হবে। নিচে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি:

সমস্যা হলো এই পদ্ধতি নিদির্ষ্ট কিছু VPN য়েই কাজ করে, তাদের মধ্যে সবথেকে সহজে ব্যবহারযোগ্য VPN যেটা আমার কাছে লেগেছে সেটা হলো Avira VPN । হ্যাঁ এটা এন্টিভাইরাস কোম্পানি Avira এর অফিসিয়াল VPN তাই ট্রাস্ট ইস্যু নিয়ে কোনো সমস্যা থাকার কথা না।

প্রথমে Avira ভিপিএনটি চালু করুন।

নিচের সবুজ বক্সের Turn on VPN ট্যাপ করুন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিপিএনটি কানেক্ট হয়ে যাবে, আপনাকে আলাদা করে লোকেশন সেট করার ঝামেলা নেই এতে।

এবার গেমটি চালু করুন। আর অবশ্যই মনে রাখবেন যে, VPN দিয়ে শুধুমাত্র Login স্ক্রিণ পর্যন্তই আসবেন। লগইন স্ক্রিণ মানে নিচের স্ক্রিণের মতো এলেই হোম বাটনে ক্লিক করে গেম থেকে বেরিয়ে এসে ভিপিএন অ্যাপে গিয়ে ডিসকানেক্ট করে দিন।

এবার ফেসবুকের লগইন দিয়ে গেমটিতে লগইন করুন। কখনোই ভিপিএন দিয়ে লগইন করতে যাবেন না তাহলে আইডি ব্যান হওয়া সহ বিভিন্ন Error এর সম্মুখিন হবেন।

এবার কিছু খুচরা টিপস দেওয়া যাক:

১) আপনি Level 7 পর্যন্ত Bot দের সাথে খেলবেন। লেভেল ১০ পর্যন্ত বট ও হিউম্যান এনিমে থাকবে আর লেভেল ১০ এর উপরে উঠে গেলে আর Bot থাকবে না। তাই লেভেল ৭ পর্যন্ত আপনি ভালোই স্কোর করতে পারবেন! এই সিস্টেমটি পাবজিতেও রয়েছে। আর সেটাও কল অফ ডিউটে রয়েছে কারণ গেমটি কিন্তু Tencent এর গেম!

২) শুধুমাত্র র‌্যাঙ্ক আইটেম ছাড়া বাকি সকল আইটেমকে আপনাকে নিজে থেকে Claim করতে হবে। মানে র‌্যাঙ্ক গেমে লেভেল আপ করলে আপনার ইনবক্সে আলাদা করে মেসেজ দিয়ে আপনাকে র‌্যাঙ্ক পুরস্কার আইটেম দেওয়া হবে কিন্তু অনান্য আইটেম গুলো নিজে থেকেই কিন্তু Claim হবে না। তাই আপনাকে নিজে থেকে প্রতিটি (!) মার্ক দেওয়া মেন্যুতে গিয়ে আনলককৃত আইটেমগুলোকে Claim করে নিতে হবে।

৩) আপনি গেমের সকল কনট্রোল বাটনকে নিজের মতো করে কাস্টমাইজেশন করে নিতে পারবেন! এটার ১০০% স্বাধীনতা গেমটি আপনাকে দিয়ে রেখেছে। বাটন হাইড করা, সাইজ বড় – ছোট করা থেকে শুরু করে Opacity আর পজিশন পরিবর্তন সবই আপনি গেমটির সেটিংস > কনট্রোলস এ গিয়ে করে নিতে পারবেন।

৪) আপনার ডিভাইসে স্টেরিও স্পিকার থাকলেও অবশ্যই ভালো হেডফোন ব্যবহার করে গেমটি খেলুন, বিশেষ করে র‌্যাঙ্ক এবং Battle Royal মোডে তো হেডফোনের বিকল্প। (Unless you have a 5.1 সাউন্ড সিস্টেম!)

৫) আপনি গেমটিতে Under Water য়ে ফায়ার করতে পারবেন! (আপাতত) ভবিষ্যৎ আপডেটে হয়তো এটা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

৬) গেমটিতে আলাদা কোনো Prone বাটন নেই, আপনাকে Crouch বাটনে ডাবল ট্যাপ বা হোল্ড করে রেখে গেমটিতে Prone মোডে যেতে হবে।

পরিশিষ্ট

কল অফ ডিউটি গেমটি আসলেই একটি ভালো গেম, যেটা আপনার সময় কখন যে খেয়ে দেবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। কল অফ ডিউটির ক্ল্যাসিক গেমপ্লে রয়েছে এতে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে গেমটির কনট্রোল সিস্টেম নিয়ে কিছু ঝামেলায় রয়েছে আমি। ব্যাটল রয়্যাল মোডটি একটু কমপ্লেক্স কিন্তু একবার বুঝে গেলে এর থেকে মজার গেম আপনার কাছে আর কোনটাই মনে হবে না। তবে পাবজি, ফ্রিফায়ারের কোনো স্বাদ আপনি এতে পাবেন না। যদিও গেমটি Tencent এর গেম। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, এই গেমটির আসল মজা আপনি 60FPS স্পিড ছাড়া পাবেন না, আর সেটা মাল্টিপ্লেয়ারে লো গ্রাফিক্স সেটিংয়ে আপনি যেকোনো বর্তমানের মিডরেঞ্জ মোবাইল ডিভাইসে পেয়ে যাবেন (Xiaomi A3, Note 7 Pro, Vivo Z1 Pro, Realme 3 Pro ETC) । কিন্তু ভালো গ্রাফিক্সে ভালো FPS পাবার জন্য টপনচ প্রসেসরের ডিভাইস চাই আপনার। বিশেষ করে 120FPS পাবার জন্য আপনাকে OnePlus 7 Pro বা Rog Phone II তে গেমটি খেলতে হবে। আর হতাশার কথা হচ্ছে এই গেমটিও কিন্তু হ্যাকারমুক্ত গেম নয়, তবে শক্তিশালি Anti Hacking সিস্টেম রয়েছে এতে তাই হ্যাকারদের নিয়ে আপাতত আপনার চিন্তা না করলেও চলবে। গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে এই গেমটি, যারা কল অফ ডিউটির ফ্যান রয়েছে তারা সহ যারা মোবাইলে ভালো FPS ধাঁচের গেম উপভোগ করতে চান তাদের জন্য এই গেমটি অবশ্যই আমি রেকোমেন্ড করবো।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here