38 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

ইন্টারনেটের মৌলিক কিছু বিষয়াবলী যা আপনার জানা দরকার [ পর্বঃ১ ]

- Advertisement -

একজন কম্পিউটার প্রেমী তথা টেক এন্থুসিয়াস্ট হিসেবে ইন্টারনেট যেন আপনার কাছে প্রতিদিন ভাতের সাথে পানির মতনই একটি অন্যতম মৌলিক বস্তু। আর এটা ব্যাতিত কোনোভাবে আমাদের অস্তিত্ব কল্পনা করা সম্ভবই নয়। আর ঠিক এইখান থেকে একটি বিষয় থেকেই যায় যে ইন্টারনেটকে আমরা ঠিক কতটা জানি এবং কতটা বুঝি। সেই থেকে পিসিবি এর এই পোস্ট সিরিজে আমি ইন্টারনেট এর কিছু মৌলিক টার্ম সম্পর্কে আমি আপনাদের খুব সহজে একটা সুন্দর ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।

ডোমেইন

ইউআরএল তথা ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর এর একটি অংশ হল ডোমেইন নেম; আর এটি সাধারনত একটি ওয়েবসাইট এর পরিচয় বহন করে। ওয়েবসাইটকে ধরা যেতে পারে আপনার বাড়ি হিসেবে এবং ডোমেইন হল আপনার সেই বাড়ির সুন্দর ঠিকানা। প্রতিটি ওয়েবসাইট এর সাধারনত একেকটি আলাদা করে আইপি অ্যাড্রেস থাকে, যা সাধারনত বহু নম্বর ভিত্তিক; এগুলো মনে রাখা এবং মনে রেখে কাজ করাটা অনেক কষ্টকর। একটি ডোমেইন অ্যাড্রেস এখানে এই আইপি এড্রেসকে মাস্ক তথা হাইড করে ওয়েবসাইট এর অ্যাড্রেস তথা ঠিকানাকে আরও সহজ এবং বোধগম্য করার কাজটি করে থাকে।

- Advertisement -

ডোমেইন নেম সাধারনত ডোমেইন রেজিস্ট্রার কোম্পানি দের থেকে রেজিস্ট্রেশান করতে হয়; বাৎসরিক হিসেবে এর একটি ফি নির্ধারিত হয়। ডট কম,ডট নেট,ডট অরগ ইত্যাদি সকল ডোমেইনকে বলা টপ লেভেল ডোমেইন। আবার ডট কম ডট বিডি, ডট নেট ডট বিডি ইত্যাদি সবকে বলা হয় টপ কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন।

ওয়েব হোস্টিং

আপনাকে বাড়ি তৈরি করতে হলে কোন একটি জায়গার ওপর সে বাড়ি তৈরি করতে হবে রাইট? তেমনই ওয়েবসাইট যদি বাড়ি হয় তবে তবে সে বাড়ির জায়গা হল ওয়েব হোস্টিং। একইভাবে অনলাইনে আপনাকে কোনোকিছু তৈরি করতে হলে অনলাইনে আপনাকে যে কিছু জায়গা কিনতে হবে সে টার্মটির নামই ওয়েব হোস্টিং। মুলত এখানে আপনি বিভিন্ন ওয়েব সার্ভার থেকে কিছু পরিমান জায়গা যা সাধারনত জিবি এর হিসেবে পরিমাপ করা হয় তা কিনে থাকেন। একটি ওয়েব হোস্টিং এর ভেতর সাধারনত দুটি অংশ থাকে । যথাঃ

- Advertisement -
  • ওয়েব ডিস্ক
  • ব্যান্ডউইথ

ওয়েবসাইটটি কত বড় হবে এবং তাতে কত পরিমান তথ্য জমা রাখা হবে তার অপরে ভিত্তি করে ওয়েব ডিস্ক সাইজ কেনা হয়। আর ওয়েবসাইটটি তে কতটা দর্শক আসবে তার পরিমান এর অপর ভিত্তি করে ব্যান্ডউইথ কেনা হয়।

WHOIS

শব্দের আদ্যক্ষর দিয়ে গঠিত সংক্ষিপ্ত নির্দেশক শব্দ WHOIS দ্বারা মূলত বোঝায় Who তারপর IS; “Who IS?” এটি একটি জনপ্রিয় ইন্টারনেট টুল; যার দ্বারা ডোমেইন নেম এর আইপি এড্রেস, ওয়েব হোস্টিং,ডিএনএস তথ্য ইত্যাদি বের করা হয়। একটি WHOIS অনুসন্ধান করে একজন ওয়েবমাস্টার নিম্নোক্ত কত গুলো বিষয় সম্পর্কে সাধারনত তথ্য লাভ করেন।

  • কোন একটি ডোমেইন নাম কোন ব্যাক্তি,অর্গানাইজেশন বা কোম্পানির নামে কেনা আছে।
  • ডোমেইন মালিক এর নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার
  • নিবন্ধনকৃত ডোমেইন অ্যাড্রেস এর টেকনিক্যাল ডিটেইলস এবং কোথায় সে ডোমেইন হোস্ট করা আছে সে তথ্য।
  • কোনো ডোমেইন এড্রেস কেনার দিন এবং তার মেয়াদ।
  • যোগাযোগ এর জন্য ইমেইল অ্যাড্রেস।

কোন একটি কোম্পানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় বহন করে এর ডোমেইন অ্যাড্রেস । আর এই ডোমেইন অ্যাড্রেস থেকে সেই কোম্পানির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। আর সেই তথ্য হাসিল করে নেয়ার যে জনপ্রিয় টুল সেটাই হল এই  WHOIS কে IP lookup, Dns Lookup ইত্যাদি সমার্থক রুপে সার্চ করা হয়। তবে যে নামেই সার্চ করা হোক না কেন গুগলে প্রথমে  এই WHOIS ই চলে আসে।

- Advertisement -

অস্থায়ী ইন্টারনেট ফাইল

ওয়েব অনুসন্ধানে সেরা আলোচিত কিছু প্রসঙ্গের মধ্যে অস্থায়ী ইন্টারনেট ফাইল বিষয়টি অনেক জনপ্রিয়। আমরা জানি প্রতিটি ওয়েবপেজ এর তাদের নিজস্ব ওয়েব সার্ভার তথা কম্পিউটারে বেশ কিছু ডাটা স্টোর করা থাকে; এসব ডাটার ভেতর ভিডিও,ছবি,অডিও এসব থাকে। কোন ওয়েবপেজ যখন প্রথমবার ভিজিট করা হয়, তখন সেই ওয়েবপেজ এর এরকম বহু ডাটা ভিজিটর এর হার্ডড্রাইভে সাময়িকভাবে ক্যাশড হয়ে থাকে। এতে করে একটু পড়ে সেই ওয়েবপেজটি আবার ভিজিট করলে তথা পুনরায় লোড নিতে সময় অনেক কম লাগবে; কেননা সেই ওয়েবপেজ এর যাবতীয় ফাইল/ডাটা ইতিমধ্যে ভিজিটর প্রোফাইলে সেইভড অবস্থায় রয়েছে। ওয়েব সার্ভার থেকে অস্থায়ী ভাবে ডাউনলোড হয়ে ক্যাশড হয়ে থাকা ডাটা কম্পিউটারে স্টোরড হয়ে থাকার ফলে যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্পিড এর দিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ওয়েবসাইট এর সকল পেজ ঘরার ফাকে হোমপেজ বা মূল পাতার বাটনে আবার ক্লিক করবেন বা ফিরে যাবেন। তখন দেখা যাবে অন্যসব পেজ এর চাইতে এই মূলপাতা অনেক তাড়াতাড়ি লোড হচ্ছে; কেননা এর ডাটা তো আগেই কম্পিউটারে  ক্যাশড হিসেবে সেইভড হয়ে আছে।

সার্চ রোবট

ইন্টারনেট জুড়ে একপ্রকার সার্চ ইঞ্জিন রোবট রয়েছে; আর এদেরকে বলা হয় ক্রলার(crawler)। এর আরেকটি নাম রয়েছে টা হল ইন্টারনেট স্পাইডার। আসলে এটি বিশেষায়িত একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম; যা বলতে গেলে প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন এর প্রাণ। এই ক্রলার ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিদিন প্রতিটি নতুন নতুন ওয়েবপেজ ইনডেক্স করে এবং তাদের সার্চ রেজাল্টে টা যুক্ত করে। আর সে কারনেই এই পোস্ট তথা লেখাটি যখন ওয়েবপেজ আকারে প্রকাশ পাবে, তখন কিছু সময়ের মধ্যেই টা হয়ত গুগল এর মত সার্চ ইঞ্জিন এর সার্চ রেজাল্টেও চলে আসবে! যে সার্চ ইঞ্জিন এর সার্চ রোবট যত বেশি শক্তিসালি সেই সার্চ ইঞ্জিন এর অনুসন্ধান তথা সার্চ ফলাফল ততটাই বেশি প্রাসঙ্গিক।

 

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here