29 C
Dhaka
Wednesday, April 24, 2024

Snapdragon 888: সিপিউ ও জিপিউতে নতুনত্ব কোথায় কোথায় ?(১ম পর্ব)

- Advertisement -

কোয়ালকম টেক সামিটের প্রথম দিনে আমরা নিউজ করেছিলাম নেক্সটজেন ফ্ল্যাগশিপ চিপসেটে যে কয়েকটি ক্ষেত্রে আপগ্রেড আসছে তা নিয়ে। দ্বিতীয় দিনে কোয়ালকম রিভিল করে Snapdragon 888 এর বিস্তারিত টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন।

এখনও যদি ঐ কভার নিউজটি পড়ে না থাকেন তাহলে ২০২১ সালের ফ্ল্যাগশিপ ফোনের চিপসেট হতে যাচ্ছে Snapdragon 888 ঘুরে আসতে পারেন ঐ লিঙ্ক থেকে এবং সর্বপরি একটি ধারনা পাওয়া যাবে নতুন চিপসেটের ব্যাপারে

- Advertisement -

তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা দেখার চেষ্টা করব প্রিভিয়াস জেনেরাশন ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর Snapdragon 865 এর সাথে কোন কোন জায়গায় সদ্য এনাউন্স করা Snapdragon 888 এর পার্থক্য রয়েছে এবং পার্থক্য গুলো কি নির্দেশ করে তা নিয়ে আলোচনা করতে।

                         Qualcomm Snapdragon Flagship SoCs 2020-2021
SoC

Snapdragon 888

Snapdragon 865

CPU 1x Cortex-X1
@ 2.84GHz 1x1024KB pL23x Cortex-A78
@ 2.42GHz 3x512KB pL24x Cortex-A55
@ 1.80GHz 4x128KB pL24MB sL3
1x Cortex-A77
2.84GHz 1x512KB pL23x Cortex-A77
2.42GHz 3x256KB pL24x Cortex-A55
@ 1.80GHz 4x128KB pL24MB sL3
GPU Adreno 660 Adreno 650
Ram 4x 16-bit CH

3200MHz LPDDR5  /  51.2GB/s

 

4x 16-bit CH

- Advertisement -

@ 2133MHz LPDDR4X / 33.4GB/s
or
@ 2750MHz LPDDR5  /  44.0GB/s

সিপিউ

আপনি যদি Snapdragon 888 এর কোর এরেঞ্জমেন্ট ও কক্লস্পিডের দিকে তাকান তাহলে আপনার চোখে নতুন কিছুই ধরা পড়বে না। কারণ আগের জেনারেশনের মতই এখানে দেওয়া হয়েছে ১+৩+৪ এই এরেঞ্জমেন্টে মোট ৮টি কোর। যাদের মধ্যে প্রাইম কোরের কক্লস্পিড 2.84Ghz, তিনটি পারফমমেন্স কোরের কক্লস্পিড 2.4Ghz এবং সর্বশেষে ৪টি ইফিশিন্সি কোরের কক্লস্পিড 1.8GHz যা ঠিক আগের জেনারেশনের মতই। কিন্তু কোয়ালকম যেহেতু আর্ম এর CXC প্রোগ্রামের মেম্বার তাই যখন কিছুদিন আগে আর্ম যখন নতুন Cortex X1 কোর এর আনাউন্সমেন্ট করে তখন ধরেই নেওয়া হয়েছিল কোয়ালকমই প্রথম তাঁদের নেক্সট জেন চিপসেটে তা ব্যবহার করতে পারে এবং তাই হয়েছে। কোয়ালকম যেখানে আগে Cortex A77 কোরের ক্লক স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে প্রাইম কোর হিসেবে ব্যবহার করত সেইখানে এইবার প্রথম প্রাইম কোর হিসেবে Cortex X1 ব্যবহার করেছে এবং এই প্রথম তিনটি কোর সেগমেন্টে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি Cortex কোর ব্যবহার করেছে পারফমমেন্স কোর হিসেবে যে Cortex কোর ব্যবহার করা হয়েছে তাও একবারে নতুন Cortex A78। অন্যদিকে ইফিশিন্সি কোরে দেওয়া হয়েছে আগের মতই Cortex A55। এছাড়া আরো একটি জায়গায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে তা হচ্ছে L2 Cache মেমোরিতে। আগে প্রাইম কোরের L2 Cache 512Kb থাকলেও নতুন চিপসেট তা দ্বিগুন করা হয়েছে। একই ভাবে পারফর্মমেন্স কোর গুলোতে L2 Cache 256Kb দেওয়া হলেও Cortex A78 এ তা দ্বিগুন করে 512Kb করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া 3MB system cache & 4MB L3 cache আগের মতই রয়েছে যদিও আর্ম আর্কিটেকচার অনুযায়ী এখানে হায়েস্ট 8MB ক্যাশ মেমোরি সাপোর্ট করবে। কস্ট অপ্টিমাইজেশনের জন্য হয়ত পুরোটা ইউটিলাইজ করেনি তাঁরা। এই পুরো Cluster এর নাম দেওয়া হয়েছে Kryo 680 Cluster।

এছাড়া এটি কোয়ালকমের প্রথম 5nm ফ্র্যাবিকেশনে তৈরি। এখানে ব্যবহৃত Cortex A78 কোরগুলো Cortex A77 থেকে ৫% কম স্পেস নেয় ফলে লার্জার এরিয়া পাওয়া যাচ্ছে চিপসেটের মধ্য যেটা অবশ্যই চিপসেটের পারফর্মমেন্স ও পাওয়ার ইফিসিন্সি বাড়িয়ে দিবে। এত এত আপগ্রেডের ফলাফল কি? কোয়ালকমের ভাষায় বলতে হলে এটিতে ২৫% পারফর্মমেন্স বুস্ট পাওয়া যাবে। তাছাড়া Cortex X1 কোরের কারনে সিংগেল কোর পারফর্মমেন্সে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

- Advertisement -

কোয়ালকম লাস্ট জেনারেশনের ফ্ল্যাগশিপ TSMC এর 7nm N7P প্রসসে বানালেও এইবার তাঁরা 5nm 5LP প্রসেস এর দিকে ঝুঁকেছে যা হচ্ছে স্যামস্যাং এর টেকনোলজি। এটা অবশ্য নতুন কিছু না কোয়ালকম সম্প্রতি সময়ে TSMC Samsung উভয় কোম্পানি থেকে সোর্সিং করছে। চিপসেট জগতে কোয়ালকম এর অন্য রাইভালের মধ্যে এপল ও হুয়াওয়ে ইতিমধ্যে কোর ক্লকস্পিড 3Ghz ছুঁয়ে গেলেও কোয়ালকম হয়ত ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই বছরও 3Ghz স্কিপ করে গিয়েছে স্টেবল থার্মাল পারফর্মমেন্স দেওয়া জন্য।

জিপিউ

জিপিওতে এসেছে বড়সড় পারফর্মমেন্স বুস্ট কিন্তু কোন ইন্টারনাল আর্কিটেকচার এর চেইঞ্জেসের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে তার বিস্তারিত কোয়াল্কম জানায়নি। এমনকি জানায় যায়নি কত Mhz এই জিপিউ চলবে তারও তথ্য। নতুন ব্যবহৃত জিপিউট হচ্ছে Adreno 660 যা ফলে পাওয়া যাবে 35% পারফর্মমেন্স বুস্ট ও 25% বেশি পাওয়ার ইফিসিন্সি। যার ফলে গেমিং সিগনিফিকেন্টলি বেশি ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যাবে। যার কোয়ালকমের মতে, “Biggest Improvement” জিপিউতে।

ইন্টারেস্টিংলিং কোয়ালকম প্রথমবারের মত VRS(Variable Rate Shading) সংযোজন করেছে যা আমরা অনেকদিন আগে থেকেই পিসি ও কনসোল জিপিউগুলোতে দেখে আসছি। যারা জানেন না তাঁদের জন্য বলছি, VRS এর মাধ্যমে ডেভেলওপারদেরকে কট্রোল দিয়ে দেওয়া হয়ে কিভাবে তাঁরা একটি ফ্রেমকে রেন্ডার করবে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক একটা অব্জেক্ট ফোকাস থেকে চলে গেলে ঐখানে চাইলেও ফ্রেইমকে low render করে দেওয়া যায় ফলে ফোকাসে থাকা অব্জেক্টগুলোতে বেশি রিসোর্স দেওয়া যায়। এছাড়াও কোয়ালকম দাবি করছে এই জিপিউতে আগের তুলনায় বেশি স্টেবল পিক পারফর্মমেন্স পাওয়া যাবে। এক কথায় বলতে গেলে জিপিউ থ্রটল কম করবে এবং এক্সট্রিম গেইমিং এর সময় স্মুথ পারফর্মমেন্স পাওয়া যাবে। Snapdragon Elite Gaming suite এ একটি নতুন ফিচার এড করা হয়েছে তা হচ্ছে Game Quick Touch যা দিয়ে গেমিং এর সময় ২০% টাচ লেটেন্সি কম পাওয়া যাবে ফলে বেটার টাচ রেসপন্স পাওয়া যাবে। সর্বশেষে ইঙ্কলুশন হচ্ছে, নতুন মেশিং লার্নিং ইন্সট্রাকশন্স যাতে রয়েছে 4-input mixed-precision dot product and wave matrix multiple for 16- and 32-bit floating-point numbers যার দ্বারা 43% বেশি AI পারফর্মমেন্স পাওয়া যাবে। এছাড়াও 10bit HDR এ আপটু 144fps গেমিং করা যাবে যা মূলত নির্দেশ করে 20% বেশি ইফিশিয়েন্ট Adreno 650 থেকে।

র‍্যামঃ

আগে কোয়ালকম হাইব্রিড মেমোরি কন্ট্রোলার অর্থাৎ একই সাথে LPDDR5 ও LPDDR4X এর বিভিন্ন মেমোরি লেইন ব্যবহার করলেও নতুন চিপসেটে তাঁরা শুধুমাত্র LPDDR5 এর দিকে মনোনিবেশ করেছে। একই সাথে এর ফ্রিকোয়েন্সি ও বাড়িয়ে 3200MHz করা হয়েছে। স্মার্টফোন নির্মাতারা চাইলে সর্বোচ্চ 16GB পর্যন্ত র‍্যাম ব্যবহার করতে পারবে।

প্রথম পর্বের এইখানেই সমাপ্তি। দ্বিতীয় পর্বে, নতুন ইন্ট্রিগেটেড 5G মডেম, নতুন ইমেজ প্রসেসর, আপডেটেড হেক্সগন প্রসেসর আরো টুকিটাকি আপগ্রেডের কথা বিস্তারিত তুলা ধরা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকবেন।

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here