26 C
Dhaka
Monday, March 18, 2024

কোন Graphics Card কিনবেন?কোনটাই বা Avoid করবেন?

- Advertisement -

বিভিন্ন বাজেট রেঞ্জে বিভিন্ন জেনারেশনের গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে বাজারে। এগুলোর মধ্যে ফিচার,গেমিং পারফর্মেন্স,ড্রাইভার সাপোর্ট ,প্রোডাক্টিভিটি পারফর্মেন্স এক এক গ্রাফিক্স কার্ডে এক এক রকম।বাজেট ও উদ্দেশ্য অনুসারে এগুলোর মধ্যে কোন গ্রাফিক্স কার্ডটি আপনার জন্য ভালো হবে,কোনটাই বা কেনা হতে বিরত থাকতে হবে সেগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা।

Worst/ Flop Graphics Card: budget 10-20k

GTX 1630, RX 6400

২০২২ সালে লঞ্চ হওয়া সবথেকে useless গ্রাফিক্স কার্ড হচ্ছে এই দুটি। দাম অনুসারে পারফর্মেন্স ভয়াবহ। সবথেকে বড় কথা হচ্ছে ২০২২ সালে লঞ্চ হওয়া এই গ্রাফিক্স কার্ড গুলো ২০১৮-১৯ সাল বা তার আগের এন্ট্রি লেভেল গ্রাফিক্স কার্ড যেমন GTX 1050 Ti,1650 থেকেও খারাপ পারফর্ম করে। যা শুধুই এনভিডিয়া আর এএমডির প্রতি গেমারদের বিরক্তি বৃদ্ধি ব্যতীত আর কিছু করে না।

- Advertisement -

RX 6400

RX 6400 এর কথা যদি বলি, এটি RX 570 থেকেও খারাপ পারফর্মেন্স দেয়। এর থেকে সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স পেতে হলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে PCIe4 সাপোর্টেড মাদারবোর্ড ও প্রসেসর, যা বাজেট পিসি বিল্ডারদের জন্য অর্থহীন। আর সাধারণত যারা এই জিপিইউটির সম্ভাব্য কাস্টোমার,তাদের বেশিরভাগই PCIe3 সিস্টেমেই এই গ্রাফিক্স কার্ডটিকে চালাবেন, সেক্ষেত্রে পারফর্মেন্স আরো অনেক খানিক কমে আসে। PCIe3 তে এটি GTX 1650 থেকেও ২০% মত খারাপ পারফর্ম করে। আর PCIe4 সিস্টেমে এটি গড়ে PCIe3 based GTX 1650 এর মত পারফর্মেন্স দেয়। সেক্ষেত্রে PCIe3 এর GTX 1650 নেওয়াটাই বেশি যুক্তিযুক্ত নয় কি??

সমস্যার শেষ এখানেই নয়, RX 6400 এর PCIe Lane মাত্র ৪টি। যা PCIe তেও পারফর্মেন্স বাজে হওয়ার একটি কারণ, PCIe3 এ তো সেজন্য পারফর্মেন্স আরো ভয়াবহ হয়ে যায়।

- Advertisement -

GTX 1630

GTX 1630 , এই গ্রাফিক্স কার্ডটিকে এনভিডিয়া কেন লঞ্চ করেছে তারা নিজেরাও জানে কি? আপনারা জানলে অবাক ও হতাশ হবেন যে এটি GTX 1650 থেকে তো বটেই, GTX 1050 ti থেকেও খারাপ পারফর্মেন্স দেয়। GTX 1650,1050 Ti সম্পর্কে অনেকেরই জানার কথা যে ২০২২-২৩ এ এসে AAA গেমস গুলো খেলা এক প্রকার অসম্ভবই হয়ে গিয়েছে এই গ্রাফিক্স কার্ড গুলোতে। সেটিংস মিডিয়াম,লো করেই বেশিরভাগ ভারী গেম গুলোকে মোটামুটি খেলার মত অবস্থাতেই নিয়ে আসতে হয়।

মোটামুটি এই কথা বলাই যায় উপরের এই দুটি গ্রাফিক্স কার্ড মোটেও ফিউচার প্রুফ নয়, Esports Game গুলো কোনো রকমে হয়তো খেলা যাবে, কিন্ত AAA গেমস এর জন্য একদমই রেকমেন্ডেড নয় এই গ্রাফিক্স কার্ড গুলো। অপর্যাপ্ত VRAM, দুর্বল স্পেসিফিকেশন, অপ্রতুল PCIe Lanes ,সব মিলিয়ে এগুলো ২০২১-২২ এ বের হওয়া AAA গেমসগুলোর বিপরীতে অত্যন্ত দুর্বল। এগুলো কিনলে হয়তো প্রথম দিন থেকেই আপনাকে সেটিংস এ কম্প্রোমাইজ করতে হবে। ভবিষ্যতে কি হবে তাও সহজেই অনুমেয়। পরবর্তীতে আরো Demanding Games গুলো আসবে সেগুলোতেও ভালো এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম হবে না এই গ্রাফিক্স কার্ড গুলো।

- Advertisement -

তাহলে উপায়? পারফর্মেন্স যদি মুখ্য বিষয় হয় আপনার কাছে, সেক্ষেত্রে এখন একমাত্র উপায় হচ্ছে বাজেট ১০-২০ হাজার টাকা হলে এই বাজেটের মধ্যে 2nd Hand গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়া। ১৫ হাজার টাকার মধ্যে GTX 1060, RX 570 8GB, RX 580 8GB এই ধরনের গ্রাফিক্স কার্ডের ডিল অনেক পাবেন।এই গ্রাফিক্স কার্ড গুলো পারফর্মেন্স এর দিক দিয়ে অনেক অনেক এগিয়ে রয়েছে GTX 1630,RX 6400 এর থেকে। বিশেষ করে 11/12 হাজারে RX 570 গ্রাফিক্স কার্ডগুলো এখনো বেশ ভালো ভ্যালু ধরে রেখেছে। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ও অন্যান্য ফেসবুক গ্রুপগুলো হতে পারে আপনার গ্রাফিক্স কার্ড খোজার জায়গা। আমাদের PC Builder Bangladesh পরিচালিত Gaming Hardware Buying And Selling গ্রুপেও পোস্ট দিতে পারেন,সার্চ দিতে পারেন।

১৫-২০ হাজার টাকার বাজেটে RX 590, GTX 1660,1660 Super,GTX 1070 এর মত গ্রাফিক্স কার্ড গুলো পাওয়া যায় যেগুলোর পারফর্মেন্স আমাদের উপরে আলোচনা করা গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর থেকে অনেক অনেক ভালো।

বাজেট ২০-২৫ হাজারঃVoid

২০-২৫ হাজার টাকাতে এই মুহুর্তে বাজারে GTX 1650, RX 6500 XT 4GB এর মত কিছু গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। GTX 1650 এর দাম করোনা ও GPU Shortage এর আগে ১৪-১৫-১৬ হাজার টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করতো। ১৭-১৮ হাজার টাকা দামে পাওয়া যেত GTX 1650 Super । সেই হিসেবে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে GTX 1650 নেওয়াটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়।

আর RX 6500 XT এর ব্যাপারটাও কমবেশি একইরকম। দাম অনুসারে এটির পারফর্মেন্স একদমই সুবিধার না। সীমাবদ্ধতার এর জায়গা ও রয়েছে বেশ কিছু। চার গিগাবাইট মেমোরি, মাত্র ৪টি PCIe লেন এর পারফর্মেন্স কে অনেকটাই restricted করে দেয়। তার উপর PCIe3 তে এটার পারফর্মেন্স RX 570 4GB এর থেকেও খারাপ বা সমান। PCIe4 এ এটা টেনে টুনে হয়তো RX 5500 XT, GTX 1650S এর আশেপাশে ফ্রেমরেট দিতে পারে। একজন বাজেট বিল্ডার হিসেবে এই পারফর্মেন্স এর জন্য অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে PCIe4 সাপোর্টেড প্রসেসর মাদারবোর্ড কেনার থেকে 2nd hand গ্রাফিক্স কার্ডের দিকে যাওয়াটাই বেশি সুবিধাজনক।

তবে RX 6500 XT হয়তো একটি জায়গাতেই এগিয়ে থাকবে, 2nd hand GPU অথবা GTX 1650, এগুলোর থেকে Driver Support অনেক বেশি সময় পাওয়া যাবে এই গ্রাফিক্স কার্ডটিতে। তবে সেটিও কার্যকরী হবে না কারণ এই গ্রাফিক্স কার্ড দিয়ে ৪-৫ বছর ভালোমত গেম খেলা অসম্ভব।

অন্যদিকে, পারফর্মেন্স যদি আপনার একমাত্র লক্ষ হয়, তাহলে GTX 1660 Ti,1070 Ti,1080 এর মত খুবই সুন্দর সুন্দর অপশন রয়েছে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। এগুলোর দুর্বলতা হচ্ছে-

  • ড্রাইভার সাপোর্ট। (বিশেষ করে 10 series) হয়তো দুই বছর এর মধ্যে এগুলোর জন্য ড্রাইভার বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তবে 16 সিরিজ অবশ্য আরো বেশ কয়েক বছর বেশি সাপোর্ট পাবে।
  • ওয়ারেন্টিঃ 1070 ti/1080 এগুলোর ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবেই না। 1660 ti,1660 super এর অবশ্য ওয়ারেন্টি পাওয়া যেতে পারে।
  • সেকেন্ড হ্যান্ড মার্কেটে এখন অনেক মাইনিং করা গ্রাফিক্স কার্ড বিক্রি হয় যেগুলো দিয়ে একটা লম্বা সময় মাইন করা হয়েছে। এটি একটি রিস্ক ফ্যাক্টর।

২৫ হাজার+ বাজেটে GTX 1080 Ti,RTX 2060, 2060 Super, /RX 5600 XT/ RX 5700 XT এর মত গ্রাফিক্স কার্ড পাবেন।

৩০ হাজার এর নিচে সেরাঃ GTX 1660 Super

৩০ হাজার টাকার নিচে এখনো সেরা গ্রাফিক্স কার্ড কোনটা যদি প্রশ্ন করা হয়। GTX 1660 Super ছাড়া হয়তো আর কোনো উত্তর দেওয়া যাবে না। বেশ কয়েকটি মডেল এভেইলেবল রয়েছে ২৭/২৮/২৯/৩০ হাজার টাকায় এই গ্রাফিক্স কার্ডটির। AAA  হোক বা Esports, এখনো খুবই Solid পারফর্মেন্স দিয়ে যাচ্ছে ও ভবিষ্যতেও একটা লম্বা সময় এটি দিয়ে খুবই ভালোমত গেমিং করা যাবে। জিপিইউ শর্টেজ ,মাইনিং এর আগে GTX 1660 Super এর বিভিন্ন মডেল ২২-২৭ হাজার টাকা রেঞ্জে পাওয়া যেত। সেই হিসেবে এই গ্রাফিক্স কার্ডটির বর্তমান দাম খুব একটা খারাপ নয়। ২৮/২৯ হাজার টাকায় আর কোনো বিকল্প ও নেই বাজারে।

যদিও অনেকের মতে যেহেতু 2020 এর দিকেই GTX 1660 Super এর দাম 25-26 হাজার এর মধ্যে ছিল,তাই এখন দামটা 20 হাজারের নিচে হওয়া উচিত , 29-30 ও হওয়া উচিত নয়। তবে আন্তর্জাতিক বাজার বা গ্রাফিক্স কার্ডের বাজারে ব্যাপারটা অনেকটাই জটিল ও আমরা অনেকসময় যেভাবে চিন্তা করি সেভাবে কাজ করে না। প্রথমত এনভিডিয়া যেহেতু দাম কমায়নি, দ্বিতীয়ত,এই বাজেটে ভালো কোনো গ্রাফিক্স কার্ড ও লঞ্চ হয়নি,তৃতীয়ত অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির সময়টি যাওয়ার পর দাম তুলনামূলক ভাবে আগের দামের অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছে ও এগুলোর পাশাপাশি ডলার এর দাম বেড়েছে/টাকার দাম কমেছে, ট্যাক্স, শিপিং এর খরচ ও বেড়েছে তাই এগুলো সবকিছু বিবেচনায় GTX 1660 Super এর বর্তমান দামটা একেবারে যে খারাপ তা ও নয়।

বাজেট ৩০-৩৫ হাজারঃ

৩০-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে আমরা RTX 3050 ও GTX 1660 Ti, 1660 Super এর দেখা পাই বাজারে। 1660S অবশ্যই 3050 থেকে সবদিক দিয়েই পিছিয়ে ও একেবারেই ভ্যালু ফর মানি না এই দামে। । তাই এটাকে সিলেবাস থেকে সরিয়ে দিলে আমাদের হাতে থাকে দুটি অপশন, RTX 3050 ও GTX 1660 Ti।  এখানে এই দুটির মধ্যে কোনটি সেরা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ।অনেকেই অনেক দিক দিয়ে বিচার করেন এই দুটি গ্রাফিক্স কার্ডকে।

প্রথমত-

  • Overall পারফর্মেন্স এর দিক দিয়ে GTX 1660 Ti এগিয়ে রয়েছে এখন পর্যন্ত।
  • তবে আগামীতে যে গেমগুলো রিলিজ হবে, সেগুলোতে এই পার্থক্য কমে আসবে/RTX 3050 তে বেশি ভালো পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে Driver Optimization এর কারণে কেননা 3050 অপেক্ষাকৃত নতুন GPU ও নতুন আর্কিটেকচার হওয়ায় এর ড্রাইভার অপ্টিমাইজেশন বেশি ভালো হবে পুরাতন আর্কিটেকচার থেকে।
  • ড্রাইভার সাপোর্টঃ অবশ্যই RTX 3050 নতুন জেনারেশন এর কার্ড হওয়ায় GTX 1660 Ti থেকে বেশ অনেক বছর বেশি ড্রাইভার সাপোর্ট পাবে।
  • Ray Tracing: RTX 3050 রে ট্রেসিং সাপোর্ট করে। পারফর্মেন্স যেমনই হোক, 3050 এর Owner Ray Tracing এর সুবিধা নিতে পারবেন। সাথে DLSS তো থাকছেই, DLSS দিয়ে Ray Tracing গেমপ্লে উপভোগ করতে পারবেন  বা শুধু DLSS দিয়ে ফ্রি পারফর্মেন্স বুস্ট ও নিতে পারবেন যখন এই গ্রাফিক্স কার্ডটি Native রেজুলুশনে যথেষ্ট বেশি এফপিএস দিতে পারবে না।
  • VRAM: অতিরিক্ত ২ জিবি যে ভিডিও মেমোরি রয়েছে তা বড় বড় Memory Hungry গেম গুলোতে কাজে আসবে। বিশেষ করে ভবিষ্যতে যে heavy/demanding গেমগুলো আসবে সেগুলোতে এই মেমোরি সুবিধা প্রদান করবে। 1440p তে গেম খেলতে চাইলে,বিশেষত Esports গেমগুলোর মধ্যে যেগুলো বেশি মেমোরি ডিমান্ডিং, সেখানেও এই অতিরিক্ত ২ গিগাবাইট মেমোরি ভালো সাপোর্ট দেবে।

এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে RTX 3050 ই এই বাজেটের সেরা গ্রাফিক্স কার্ড।

৩৫-৪০ হাজারে কিছু RTX 3050/ GTX 1660 Super/ 1660 Ti রয়েছে।এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, ৩৫ হাজার টাকার নিচে যদি RTX 3050 না পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রেই কেবল এই বাজেট এর মধ্যে সবথেকে কম দামে যেই RTX 3050 টা পাওয়া যায় সেটি নেওয়ার। কারণ ৪০ হাজার টাকার আশেপাশের বাজেটে RTX 3050 এর ভ্যালু অনেক খানিই কমে যায়। আর GTX 1660 S/ Ti নেওয়ার প্রশ্ন তো আসবেই না কারণ আমাদের মতে GTX 1660 ti/Super এর জন্য সর্বোচ্চ ৩২/34 হাজার খরচ করা যায় (যদি না RTX 3050 না পাওয়া যায়)।

অতএব, 35-40 হাজারে RTX 3050 না পেলে সেক্ষেত্রে 35 হাজার বাজেট অতিক্রম করা যেতে পারে। যদি 2060 12জিবি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সেটাই নেওয়াটা বেশি ভালো হবে। তবে 3050 এর জন্য কখনোই 38+ খরচ করার পরামর্শ আমরা দেব না।কারণ এটা 250 ডলারের গ্রাফিক্স কার্ড হিসেবে এমনিতেই 35 হাজারেও ওভারপ্রাইসড ও খুব বেশি ভ্যালু ফর মানি নয়,বরং বাজারের বাজে অবস্থা,ডলার এর দাম, ট্যাক্স ইত্যাদি কারণে এই দামেই ক্রেতারা নিতে বাধ্য হচ্ছে।।

৪০-৫০ হাজার টাকা বাজেটে সেরা গ্রাফিক্স কার্ড।

এই অংশের আলোচনার শুরুতেই বরং যে দুটি কার্ড কেনা থেকে আপনাদের বিরত থাকতে হবে,সেই দুটি নিয়েই কিছু কথা বলতে চাই। কার্ড দুটি হচ্ছে: RTX 3060 8GB ও Radeon RX 6600 ।

প্রথমে 3060 8জিবি এর ব্যাপারেই আসা যাক। এটি আপাত দৃষ্টিতে 3060 এর মেমোরি ভ্যারিয়েন্ট মনে হলেও সত্য কথা হচ্ছে, এই গ্রাফিক্স কার্ডটির স্পেসিফিকেশন 3060 12gb থেকে সব ক্ষেত্রেই দুর্বল। মেমোরির কনফিগারেশন ছাড়াও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টেও downgrade করা হয়েছে এখানে। ফলে পারফরম্যান্স 3060 থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল ও 3060 12জিবি থেকে সম্পূর্ণ অন্য একটা ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে এটি।  হয়তো RTX 3060 8GB এর পরিবর্তে RTX 3050 Ti/ 3050 Super  নামটিই বেশি স্বার্থক হতো এই গ্রাফিক্স কার্ড টির ক্ষেত্রে।তবে তাতেও 330 ডলার প্রাইসিং টা যুক্তিযুক্ত হতো না।

এবার আসা যাক Radeon RX 6600 এর ব্যাপারে। গ্রাফিক্স কার্ডটি এমনিতে পারফরম্যান্স এর দিয়ে খারাপ নয়, 3060 এর কাছাকাছি বা সমান পারফরম্যান্স ই দিয়ে থাকে এটি। এমনকি যখন 3060 এর দাম 48- 50-55/55+ হাজার ছিল তখন 40-42 হাজারে এটি ছিল একটি চমৎকার অপ্শন। তবে rtx 3060 এর দাম এখন 45 হাজার এর নিচে চলে আসায় কম VRAM, অত্যন্ত দুর্বল Ray Tracing performance , প্রোডাক্টিভিটি তে দুর্বলতা, ড্রাইভার ইস্যু ইত্যাদি নানা কারণে এটাকে এখন আর রেকমেন্ড করা যাচ্ছে না।

তাহলে কোনটি নেওয়া উচিত?

40-45 হাজার টাকায় এখন প্রোডাক্টিভিটি হোক বা গেমিং,যেকোনো কাজের জন্যই নিঃসন্দেহে Geforce RTX 3060 ই হচ্ছে সেরা গ্রাফিক্স কার্ড।।

বাজেট যখন 50 হাজার টাকার বেশি:

খুবই Solid 1080p ও 1440p performance গেমিং পারফরম্যান্স অফার করছে AMD এর RX 6650 XT ও 6600 XT । কারো যদি কেবল মাত্র গেমিং ই উদ্দেশ্য হয় ও বাজেট 55 হাজারের নীচে হয় সেক্ষেত্রে হয়তো এই দুটো গ্রাফিক্স কার্ড নেওয়া যেতে পারে।

তবে 55 হাজার বা 56,57 হাজার টাকা কিংবা এর থেকে বেশি বাজেট হলে RTX 3060 Ti নেওয়াটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত ।

 

Beyond 70k

70 হাজার বা এর বেশি বাজেট এর জন্য RTX 3070 অথবা RX 6800 নেওয়ার পরামর্শ থাকবে। তবে 80 হাজারের বেশি খরচ না করার অনুরোধ করবো 30 সিরিজ বা 6800 এর জন্য।

90 হাজার+ বাজেট:

দাম ও নাম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ১ লাখ,১ লাখ ১০ হাজারে এমনকি এক লাখ ২০ হাজার রেঞ্জে RTX 4070 Ti যে আগের জেনারেশন এর ফ্ল্যাগশিপ গ্রাফিক্স কার্ড এর পারফরম্যান্স দিচ্ছে , তা অস্বীকার করার উপায় একদম ই নেই। সলিড পারফরম্যান্স, লেটেস্ট টেকনলোজির সুবিধা উপভোগ করার জন্য তাই এটি নেওয়া যেতেই পারে।RTX 3070 ti,3080 কিংবা RX 6900 XT এই জিপিইউ গুলো বাদ দিয়ে তাই 4070 ti নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

গেমিং প্লাস প্রোডাক্টিভিটি,স্ট্রিমিং, সব দিক দিয়েই 4070 ti আপনার পারপাস 100% সার্ভ করে দিবে।

এখানে কিছু কথা না বলে পারছি না,এক বা দেড় লাখ টাকা বা এর বেশি যখন আপনি কোন কম্পোনেন্ট এর জন্য খরচ করবেন , তখন আপনি অবশ্যই চাইবেন সব দিক দিয়েই সেটা পারফেক্ট হোক। ঠিক এই খানে এসেই AMD এর কার্ড গুলো মার খেয়ে যায়, ভালো গেমিং পারফরম্যান্স থাকলেও ড্রাইভার ইস্যু, অতিরিক্ত বাগস, অত্যন্ত দুর্বল প্রোডাক্টিভিটি পারফরম্যান্স, রে ট্রেসিং এর দুর্বলতা কম্পিটিশন থেকে এ এমডির কার্ড গুলোকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দেয়।।। এজন্যই হাই বাজেটের ক্ষেত্রে এএমডির কার্ড গুলো নেওয়া খুব একটা ভালো সিদ্ধান্ত নয়।

যদিও চ্যাটজিপিটি বেশ টেকনিক্যালি এই AMD vs nvidia ডিবেট ঠিকই এড়িয়ে গিয়েছে, তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রোডাক্টিভিটি তে এনভিডিয়ার লেভেলে আসতে এএমডি কে বেশ খাটাখাটনি করা লাগবে। প্রাকটিক্যাল লাইফে প্রচুর ইউজফুল টুলের পাশাপাশি এক্সট্রা অনেক সুবিধা ও আরটিএক্স জিপিইউ গুলো দেয়,এই যেমন সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে dlss টেকনোলজি টি গুগল ক্রোমেও আসতে যাচ্ছে। অর্থাৎ ব্রাউজারে মুভি,ইউটিউব ভিডিও বা স্ট্রিম গুলোও আপস্কেল করে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে।।দেড় লাখ টাকা বা এর বেশি বাজেটে rtx 4080 নিঃসন্দেহে সেরার পুরস্কার জিতে নেবে।

এই বাজেট রেঞ্জ গুলো নিয়ে আসলে বেশি কিছু আলোচনার নেই।  আপনি যদি দুই লাখ বা সোয়া দুই লাখ টাকা খরচ করার সামর্থ রাখেন তাহলে মেইনস্ট্রিম মার্কেটের সবথেকে পাওয়ারফুল জিপিইউ 4090 নেওয়ার সুযোগ থাকবে।

আর্টিকেলটিতে আমরা যেভাবে এক একটি এসকেইউ ধরে ধরে রেকমেন্ড করছি বা বাদ দিতে বলছি,তাতে দর্শক দের মধ্যে অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন চলে আসে যে ভাই অমুক sku এর তো অনেক গুলো ব্রান্ডের  মডেল আছে,যেগুলোর দাম ও ভিন্ন ভিন্ন, তাহলে আমি কোনটা নেব?আমাদের গ্রূপেও আমরা এই ধরনের প্রশ্ন প্রচুর দেখে থাকি,যে 1660 সুপার ,পিএন ওয়াই নেব নাকি পালিত নেব নাকি কালারফুল নেব, নাকি আরো বেশি খরচ করে আসুস বা এমএসআই এর মডেল নেব।।

অনেকে জিজ্ঞেস করেন, পিএন ওয়াই কি ভালো? অমুক ব্রান্ড এর জিপিইউ কি ভালো? পারফরম্যান্স কেমন হবে।।ইত্যাদি ইত্যাদি।।এখানে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে যে যে কোনো ব্রান্ডই চাইলেই গ্রাফিক্স কার্ড ম্যানুফ্যাকচার করতে পারে না, এনভিডিয়া তাদের অনুমদিত পার্টনারদের ব্যতীত অন্য কাউকে জিপিইউ সাপ্লাই দেয় না। এই প্রত্যেকটি ব্রান্ডই পরীক্ষিত ও অফিশিয়ালি ভেরিফায়েড পার্টনার।

কিছু মডেলের ক্লক স্পিড হয়তো সামান্য বিশ ত্রিশ মেগাহার্জ বেশি থাকে, কোনটার ফ্যান এর সংখ্যা বেশি থাকে, ডিজাইন,সাইজ,ওয়েট ও লুক ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, কোনো কোনো মডেলে আরজিবির উপস্থিতি ও থাকে।তবে এগুলোর কোনোটার জন্যই রিয়েল ওয়ার্ল্ড পারফরম্যান্স এ কোনো ধরনের ব্যবধান তৈরি হয় না।কোনো ব্রান্ডের কোনো মডেলকেই তাই লো কোয়ালিটি বলার সুযোগ নেই।কালেভদ্রে দুই একটি মডেলে হিটিং ইস্যুর মত সমস্যা হঠাৎ করে দেখা যায়, এই সমস্যাটি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে ইউটিউবে বিভিন্ন রিভিউ ভিডিও,ইন্টারনেটে বিভিন্ন রিভিউ আর্টিকেল পড়তে হবে।।

আর মডেল গুলোর দাম ও হয়ে থাকে ভিন্ন, ডিজাইন,ওসি ক্যাপাবিলিটি,আরজিবি,ফ্যান এর সংখ্যা এর পাশাপাশি ব্রান্ড ভ্যালু ও দাম এর পার্থক্য তৈরিতে কাজ করে থাকে।এখন, একই পরিমান রিয়েল ওয়ার্ল্ড পারফরম্যান্স দেওয়া সত্ত্বেও এখন শুধু ব্রান্ড ভ্যালু,লুক বা ডিজাইন এর জন্য আপনি কতটুকু বেশি পয়সা খরচ করতে রাজি আছেন ইটস টোটালি আপ টু ইউ।।গ্রাফিক্স কার্ডের দাম তুলনামূলক এমনিই বেশি, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে শুধুমাত্র ডিজাইন বা লুক বা আরজিবির জন্য একই গ্রাফিক্স কার্ডের দামি মডেল না নেওয়াটাই বেশি ভালো।।কারণ এই অতিরিক্ত পয়সা যে খরচ করলেন আপনি,তার জন্য হয়তো একটা এফপিএস ও বেশি পাবেন না।

Benchmark credit: Hardware Unboxed

Suggested Benchmarks: Gamers Nexus,Hardware Unboxed,Tech Deals,Tech Yes City, Linus Tech Tips, Jar

- Advertisement -

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here