33 C
Dhaka
Friday, April 26, 2024

জেনুইন সফটওয়্যার কি সত্যিই অনেক Expensive? PCBBD Antipiracy Series [P:1]

- Advertisement -

আমাদের গ্রুপগুলোতে অরিজিনাল উইন্ডোজ বা একদমই এসেন্সিসাল সফটওয়্যার গুলো কেনার ব্যাপারে অনেকেরই আগ্রহ দেখতে পাই। এই আগ্রহ প্রতিনিয়ত যে বাড়ছে তা বোঝাই যায় কারণ আমাদের গ্রুপে এই পোস্টের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। কেও জানতে চান দাম কত, কেও বা সোর্স জানতে চান কোন পেজ থেকে কিনবেন বা কোন সাইট থেকে কিনবেন, পেমেন্টই বা কিভাবে করবেন।  এই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আজকের আর্টিকেলে।

প্রথমেই পাইরেসি/ক্রাক/মড বা অন্য পন্থা অবলম্বন করে ফ্রিতে কোনো কিছু চালানো কেন অপরাধ, কেন এটি করা উচিত না তা নিয়ে হালকা আলোচনা করে আমরা আমাদের মুল বিষয়বস্তুর দিকে ফিরে যাব। এই অংশটি যে কেও চাইলে skip করতে পারেন)

- Advertisement -

পাইরেসির ক্ষতিকর দিকগুলো ও সফটওয়্যার,পাইরেসি সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণাঃ

পন্য/সার্ভিস/বস্তুর মুল্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাঃ

আমাদের দেশের মানুষের একটা বড় অংশের ধারণা সফটওয়্যার/Apps বা যত ডিজিটাল প্রোডাক্ট আছে এগুলো সবই ফ্রি, এগুলোর কোনো মুল্য নেই, কোনো খরচ নেই, যদি কোনোভাবে তারা শুনেন যে এগুলো কিনতে হয়/কেনা যায় বা কেও কিনেছে, তাহলে তারা রীতিমত আকাশ থেকে পরেন। প্রথমত আমরা যদি এতটুকু বুঝি যে এগুলো এক একটা প্রোডাক্ট, তাহলে আমাদের এগুলো আমাদের বাস্তব জীবনের দৃশ্যমান সব প্রোডাক্ট বা সেবা/সার্ভিসের সাথে মেলাতে হবে, বাস্তব জীবনে আমরা অনেক কিছু কিনি, ব্যবহার করি,সুবিধা ভোগ করি, সেগুলো যেমন এক একটা পন্য, সেগুলোর যেমন মুল্য আছে, মান আছে ও ,ঠিক একই ভাবে এই সফটওয়্যার/সার্ভিস/App গুলোর ও মান আছে দাম আছে বা মুল্য আছে, আমরা যেমন দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বস্তু ব্যবহার করে জীবন ধারণ করি, সেগুলো যেমন আমাদের বিভিন্ন কাজে আসে উপকারে আসে,সেজন্যই সেগুলোর একটা মুল্য রয়েছে বা এই সমাজ বা অর্থব্যবস্থা একটি মুল্য নির্ধারণ করেছে সেই জিনিস গুলোর, অন্যভাবে বলতে গেলে সেই বস্তু/সার্ভিস/পন্য গুলোর মালিক/স্রষ্টা সেগুলোর মুল্য নির্ধারণ করেছেন। এই জিনিসগুলো আমাদের বিভিন্ন চাহিদা ও গুরুত্বপুর্ণ প্রয়োজন মেটায় বলেই তার একটি মুল্য সৃষ্টি হয়েছে।

একই ভাবে এই সফটওয়্যার গুলো ও আমাদের অনেক কাজে আসে, আমরা বিনোদন,সময় কাটানোর পাশাপাশি পড়াশোনা,গবেষণা,ব্যবসা,চাকরি,বাণিজ্য, অফিস পরিচালনা, এডিটিং,ডিজাইনিং বা নিজ নিজ পেশার এরকম অসংখ্য কাজে ব্যবহার করে থাকি। সুতরাং এটা মোটামুটি সবাই মানবেন যে এই গুরুত্বপুর্ণ কাজগুলোর জন্য এই app/software/service গুলোর আমরা সাহায্য নি ও এগুলো আমাদের চাহিদা/প্রয়োজন মেটায়, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের রুজি রুটির ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। সুতরাং বাস্তব জীবনের পন্য/বস্তু/সার্ভিস গুলো যেভাবে যেই যেই কারণে একটি মুল্য অর্জন করে, ঠিক একই কারণে এই সফটওয়্যার গুলোও নিজের একটি বিনিময় মুল্য, দাম অর্জন করেছে।

- Advertisement -

প্রত্যেক বস্তুর সৃষ্টির পেছনে কারিগর/স্রষ্টা/মালিক/শ্রমিকের একটি উদ্দেশ্য থাকেঃ

দুনিয়ায় যত সেবা/পন্য/বস্তু যা চাহিদা/প্রয়োজনে কাজে আসে, প্রত্যেকটিরই দাম রয়েছে,কেন রয়েছে তা উপরে বর্ননা করা হয়েছে। তাছাড়া এই পন্য/বস্তু/সেবা যারা যারা বানায়,সৃষ্টি করে বা এর পেছনে কাজ করে সময় ব্যয় করে, তারা মুলত মুল্য,বিনিময় পাওয়ার জন্যই তা তৈরী করে , এজন্যই তারা একটি মুল্য নির্ধারণ করে। তাদের শ্রম,সময়,অর্থ,বুদ্ধি,মেধার বিনিময় হিসেবে তারা একটি মুল্য ঠিক করে।

একই ভাবে সফটওয়্যার কোম্পানি গুলোও একটি উদ্দেশ্য নিয়েই সফটওয়্যার/সার্ভিস ডেভেলপ করে, তা হচ্ছে তা থেকে অর্থ উপার্জন, ঠান্ডা মাথাও ভাবলেও বোঝা যায়, সিএসই তে যারা পড়েন তারা ভালোভাবেই বুঝবেন যে একটি ছোট্ট থেকে ছোট্ট simple থেকে simplest এপ্লিকেশন তৈরী বা এর ফ্রেম তৈরী করতেও কি পরিমণ পরিশ্রম, সময় ,বুদ্ধি ,মেধা ব্যয় করতে হয়। এই কাজ গুলো কেওই বিনামুল্যে করবে না এবং তাদের খরচকৃত মেধা,সময় এর মুল্য তারা চাইবে। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

পাইরেসিটা আসলে কি?

কোনো পন্য/সেবা বা আরো সহজ করে বললে ডিজিটাল বা ফিজিকাল প্রোডাক্ট তার author/developer এর অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে এক্সেস করা, পরিবর্তন করা, ঈষৎ পরিমার্জন করা, হস্তগত করে তা reproduction/distribution করা কিংবা ব্যবহার করাকেই পাইরেসি বলে।

- Advertisement -

পাইরেসি কি কেবল মোবাইল আর পিসির সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে?

মুলত উপরে উল্লেখিত ব্যাপারগুলো শুধু সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রেই না, বরং ডিজিটাল বা ফিজিক্যাল আরো অনেক প্রোডাক্টের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। সিনেমা বা নাটকের যে সমস্ত ডিস্ক পাওয়া যেত যেগুলো সরাসরি নির্মাতা রা অনুমতি দেন নি বা সরবরাহ/বাজারজাত করেন নি, বরং কোনো একটি Legit কপি কেও সংগ্রহ করে বা কিনে তা reencode/decode করে বা কোনো ডিভাইস থেকে রেকর্ড করে/সরাসরি সিনেমা হল থেকে ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করে কোনো রকম নিয়ম নীতিমালা,অনুমতি ছাড়া ডিস্ক বানিয়ে বিক্রি করতো সেগুলো ও স্পষ্ট পাইরেসির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখনো অনেকে জানেন না যে প্রতিটি সিনেমা, টিভি সিরিজ,এনিমে,ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা হয় সাবস্ক্রিপশন এর অন্তর্ভুক্ত না হয় আলাদা কিনতে হয় নতুবা টিকিট এর মাধ্যমে দেখতে হয় । এর বাইরে যে সোর্স গুলো ব্যবহার করা হয়, যেমন টরেন্ট, FTP সহ অন্যান্য যে সমস্ত সাইট আছে। এগুলোতে মুলত যে ফাইলগুলো সরবরাহ করা হয় সেগুলোও পাইরেসির কাতারেই পরে একই কারণে। কারণ এগুলোতেও নির্মাতার অনুমতি নেই, কোনো একটি উৎস থেকে সংগ্রহ করে/রেকর্ড/ক্যাপচার করে বা একটি মাত্র কপি কিনে সেটা থেকে reproduce,copy করে এগুলো প্রচার করা হয়।

গেম এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, স্টোর থেকে কেনার পরিবর্তে ক্রাক করে চালানো।। উপরের কোনো টাতেই নির্মাতা,ডেভেলপার এর কাছে এক পয়সা ও পৌছে না, এবং প্রতি ক্ষেত্রেই অনুমতি ও নিয়ম বহির্ভুত ভাবে ব্যবহার ও প্রচার করা হয় এগুলো।

এর বাইরে রয়েছে অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানান রকমের উপন্যাস,গল্পের বই, থ্রিলার,কবিতার বই,গবেষণার বই, একাডেমিক বই,এনিমেটেড বই এর PDF,DJVU,EPUB,Mobi সহ বিভিন্ন ফরম্যাট এর ফাইল রয়েছে যেগুলো অনুনমোদিত। এ ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক সময় বই এর ফটোকপি,স্ক্যান করে, ডুপ্লিকেট করে বিক্রি করা হয় সেটাও পাইরেসির অন্তর্ভুক্ত।

পাইরেসি=চুরি?

পাইরেসিকে চুরি বলা যায় কারণ ডেভেলপার /মালিক/নির্মাতার অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্টের যা মুল্য তা পরিশোধ করা হচ্ছে না, ডেভেলপার /নির্মাতা তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মুল্য পরিশোধ না করে অগোচরে কোনো কিছ ব্যবহার করা বা হাতিয়ে নেওয়া/এক্সেস নিয়ে ব্যবহার করা চুরি ছাড়া আর কিছুই নয়। যেটি নির্মাতাকে মুল্য পরিশোধ করে কিনতে হতো তা অন্য কোনোভাবে অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করা সম্পুর্ণ অবৈধ। এজন্যই দেশে দেশে পাইরেসির ব্যাপারে স্পষ্ট আইন রয়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে । প্রয়োগ হয় কি না সেই প্রশ্নে না যাওয়াই সমীচীন।

অনেক খরচ?

হ্যা কিছু কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলোর দাম মাত্রাতিরিক্ত, কিন্ত বেশিরভাগ সফটওয়্যার এর দামই আহামরি বেশী না বরং বাংলাদেশের হিসেবেও নাগালের মধ্যেই থাকে। আর যে যে সফটওয়্যার গুলোর দাম অতিরিক্ত বেশি, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভুরি ভুরি ফ্রি অল্টারনেটিভ রয়েছে।

আর এখানে আরেকটি বিষয়ই কাজ করে, অনেকেই Adobe এর অনেক সফটওয়্যার ব্যবহার করেন নিছক শখের বশে না বরং তার পেশার জন্য, ভিডিও এডিটিং,ফটোগ্রাফি ,৩ডি ডিজাইনিং,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,এনিমেশন ডিজাইন ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করেন, গেমপ্লে স্ট্রিম করেন ও এগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে অর্থ উপার্জন করেন বা নিজের পেশায় সরাসরি এগুলোকে ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রেও একটি প্রশ্ন এসে যায়, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই সত্য। এখানেও একটি প্রশ্ন থেকেই যায়, যে জিনিসটি পেশার সাথে,অর্থ উপার্জনের সাথে সরাসরি জড়িত, তার পেছনে টাকা খরচ করা উচিত নয় কি?? যেহেতু একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বা ফ্রিল্যান্সার তার কাজের সুবিধার জন্য তার পিসিটি আপগ্রেড করছেন বা ভালো একটা পিসি বিল্ড করছেন, সেই একই কারণে তার সফটওয়্যার গুলোর লেটেস্ট ভার্সন কেনা উচিত নয় কি?? কারণ তার কাজের environment শুধু হার্ডওয়্যার না, বরং সফটওয়্যার+হার্ডওয়্যার মিলেই তৈরী হচ্ছে।সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার এর কোনোই মানে থাকে না এটাও মোটামুটি ইন্টারমিডিয়েট আইসিটি এর বেসিক জ্ঞান।

মুল আলোচনাঃ জেনুইন সফটওয়্যার কেনার জন্য সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট/ফেসবুক পেজ-

এবার আমরা আমাদের মুল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করবো। জেনুইন সফটওয়্যার এর জন্য সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক কে তুলে ধরা হবে, সেগুলোতে কি কি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পাওয়া যায়, দাম কেমন, পেমেন্ট মেথড  ইত্যাদি সম্পর্কে নানান প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। জেনুইন সফটওয়্যার কেনা সংক্রান্ত টুকটাক যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে, সেগুলোর জবাব এখানে দেওয়া হবে। বলে রাখা ভালো যে এই থ্রেডটি নিয়মিতই আপডেট করা হবে, মাঝেমধ্যেই নিত্যনতুন ওয়েবসাইট/ফেসবুক পেজ যুক্ত করা হবে এখানে। আপনারাও কমেন্ট সেকশনে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় কোনো শপের নাম থাকলে জানাতে পারেন।

Lkey ( Lkey.info)-Largest Software Retailer in Bangladesh

Lkey বলতে গেলে বাংলাদেশের সবথেকে বড় সফটওয়্যার রিটেইলার ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা জেনুইন সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে একটি পুর্ণাঙ্গ,সেরা ওয়েবসাইট। সাজানো গোছানো একটি ওয়েবসাইট, প্রচুর সফটওয়্যার এর কালেকশন, লাইভ চ্যাট ফিচার,ঝক্কি ঝামেলা ছাড়া পেমেন্ট,পেমেন্টের সাথে সাথে ডেলিভারি ইত্যাদি এই শপের প্রধান বৈশিষ্ট্য। টাকা মার যাওয়া, কিছুদিন পর প্রোডাক্ট কাজ না করা, serial key ইনভ্যালিড হয়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। মাঝেমধ্যে অফার ও পাওয়া যায়। এদের উল্লেখযোগ্য সফটওয়্যার গুলোর নাম ও দাম নিচে দেওয়া হলো।

Internet download Manager (IDM)

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর পর আর যে দ্বিতীয় সফটওয়্যারটির Genuine version, Product key কেনার জন্য মানুষের সবথেকে বেশি আগ্রহ দেখা যায় তা হচ্ছে আইডিএম বা ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার।একই সাথে এই কথাও বলা যায় যে সবথেকে বেশি র‍্যানসামওয়্যার এর আক্রমণের স্বীকার হন আমাদের গ্রুপ মেম্বার রা এই জিনিসটি ক্রাক করতে গিয়ে।  আইডিএম কেনার ক্ষেত্রে কোনো রকমের সন্দেহ ছাড়াই সবথেকে সেরা সাইট বা পেজ হচ্ছে এলকি, LKEY.INFO. কেননা বাংলাদেশে আইডিএম এর অফিশিয়াল রিসেলার বা ডিস্ট্রিবিউটর হচ্ছে Lkey.

দুটি ভার্সন রয়েছে আইডিএম এর। একটি হচ্ছে এক বছরের লাইসেন্স,যার ক্ষেত্রে এক বছর পর রিনিউ করা লাগবে বা নতুন করে লাইসেন্স কেনা লাগবে, আরেকটি রয়েছে লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন। অর্থাৎ আজীবন এর জন্য আইডিএম এর লাইসেন্স কেনা যাবে, অবশ্যই জেনুইন হওয়ায় প্রতিটি আপডেট,প্রতিটি ভার্সন/বিল্ড কোনো রকমের সমস্যা ছাড়াই আপগ্রেড করতে পারবেন।

এক বছরের সাবস্ক্রিপশনটি ৭০০ টাকা ও লাইফটাইম লাইসেন্সটি ১৫৫০ টাকা মত পরবে।একটি লাইসেন্স একটি মাত্র ডিভাইসের জন্য প্রযোজ্য।

buy here(lifetime)  and 1 year here

DU Meter:

উইন্ডোজে নেটওয়ার্ক এর রিয়েল টাইম স্পিড,এনালাইসিস,স্টাটিস্টিকস দেখার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহ্বত সফটওয়্যার হচ্ছে DU Meter। DU Meter একটি সিঙ্গেল পিসির জন্য লাইফটাইম এক্টিভেশন কি এর দাম এখানে মাত্র ৮৫০ টাকা। ৫টি ডিভাইস এর জন্য খরচটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৮০০ টাকায়।।

Antiviruses/Antimalware Programs:

প্রচুর পোস্ট দেখতে পাই আমাদের গ্রুপে যেসব পোস্টে পেইড এন্টিভাইরাসের খরচ, সুবিধা, কোথা থেকে কেনা যাবে, কত দাম ইত্যাদি প্রশ্ন করা হয়। Lkey.info তে বলা যায় মোটামুটি স্বনামধন্য সবগুলো এন্টিভাইরাস কোম্পানিরই প্রোডাক্ট রয়েছে। যেমনঃ

Emsisoft Antimalware:

এই প্রোডাক্টটি আমরা রিভিউ করেছিলাম। যথেষ্ট ভালো একটি এন্টিভাইরাস, বিশেষ করে অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন, Ransomware এর বিরুদ্ধে লড়াই এ যে কয়টি ব্রান্ড কাজ করছে তার মধ্যে এমসিসফট অন্যতম। ফ্রি Ransomware decryptor তাদের সাইটেই পাওয়া যায়। যাই হোক, Emsisoft এর ১ বছরের লাইসেন্স এর দাম মাত্র ২০০ টাকা। বলতে গেলে অত্যন্ত অবিশ্বাস্য ,পানির দাম এটি।

ESET Internet Security

ইসেট অন্যতম লাইট ওয়েট ও কার্যকর একটি এন্টিভাইরাস যা আমি নিজেও দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করছি। ইসেট এর এক বছর এক ডিভাইস এর লাইসেন্স এর দাম মাত্র ৬৫০ টাকা।৩ ইউজার ভার্সন এর দাম ১৪৫০ টাকা।

Bitdefender

বিটডিফেন্ডার এর সিঙ্গেল ইউজার সিঙ্গেল ডিভাইস এর ১ বছরের  সাবস্ক্রিপশন কিনতে খরচ হবে ৯০০ টাকা।

Kaspersky Internet Security:

Kaspersky Internet Security এর এক বছরের লাইসেন্স কেনার ক্ষেত্রে খরচ পরবে ৯০০ টাকা,৩ বছরের লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে সেই দাম গিয়ে দাঁড়াবে ১৮০০ টাকায়।

others:

এছাড়াও McAfee,Panda,Trend Micro,Malwarebytes এর মত সফটওয়্যার এর সাবস্ক্রিপশন ও পাবেন এখানেই।

VPNs

Adguard,NordVPN এভেইলেবল রয়েছে LKey তে। এডগার্ড এর লাইফটাইম ৩ ডিভাইস ভার্সন পাবেন ১২০০ টাকায়। NordVPN এর এক মাস ,৬ মাস ,১ বছর ও দুই বছরের সাবস্ক্রিপশন এর দাম পরবে যথাক্রমে ৯৩০,৪০০০,৬৮০০ ও ৯০০০ টাকা।

Others Utilities and Productivity softwares:

অন্যান্য সফটওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে Iobit Uninstaller pro (800 Tk), Iobit Advanced SystemCare PRO (850 tk), Express Animate Software (1600 Tk), WavePad Audio Editing Master’s Edition (2800 tk),Zulu DJ Software (Master’s Edition) (2100 tk),PhotoPad Photo Editor – Home Edition (1800 Tk),Revo Uninstaller Pro (1850 Tk),Recuva Professional 1800 Tk,CCleaner Professional (2300 Tk),FastStone Capture (1500 Tk),Any Video Converter Ultimate (4165 tk),EaseUS Partition Master Professional (2350 tk),Wondershare Filmora 11 Lifetime (6950 Tk Lifetime) ইত্যাদি।

এগুলোর মধ্যে কিছু ইয়ার বেজড সাবস্ক্রিপশন রয়েছে, কিছু লাইফটাইম রয়েছে, অনুগ্রহ করে সার্চ করে পেজ থেকে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।’

অন্যান্যঃ

এছাড়াও এলকি তে গুগল প্লে কার্ড, এক্সবক্স,প্লেস্টেশন এর সাবস্ক্রিপশন, নেটফ্লিক্স,আই টিউন্স,স্পটিফাই এর সার্ভিস পাওয়া যায়। পিসি গেমস, কনসোল গেমসও কিনতে পারবেন কিংবা আপনার স্টিম,অরিজিন্স এর ওয়ালেট ও এখান থেকেই কিনতে পারবেন।

Mamun Academy

Mamun Academy ও বেশ জনপ্রিয় একটি শপ। তাদেরও রয়েছে ওয়েবসাইট। অনেকগুলো ব্রান্ডের অনেক প্রোডাক্টেরই তারা অথরাইজড পার্টনার। সম্প্রতি Lkey এর পর বাংলাদেশের IDM এর অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে তারাও ছাড়পত্র পেয়েছে। আইডিএম চাইলে এখান থেকেও কিনতে পারেন। তাদের ওয়েবসাইট লিংকঃ Mamun Academy

তাদের কাছে Windows 11,10 এর প্রোডাক্ট কি বেশ কম মুল্যে ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। একই সাথে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৩,১৬,১৯ ইত্যাদি ও রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অফিসের বিভিন্ন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট ও ভার্সন এভেইলেবল রয়েছে এখানে যেমন প্রো প্লাস,হোম এন্ড বিজনেস, সিংক কি, হোম এন্ড স্টুডেন্ট রিটেইল, ভিজিও,প্রোজেক্ট, অফিস ৩৬৫ সাবস্ক্রিপশপন।

এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য ইউটিলিটি ও প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যারস যেমন Filmora Lifetime,DU Meter,Winrar, জনপ্রিয় সব এন্টিভাইরাস, IObit,Ccleaner এর প্রোডাক্টস । Adobe CC এর সাবস্ক্রিপশন ও পেয়ে যাবেন।

Mamun Academy এর Pricelist থেকে সবগুলো প্রোডাক্ট এর লিস্ট ও তাদের কারেন্ট প্রাইস দেখে নিতে পারেন।

ফেসবুক পেজঃ Mamun Academy

Cyberspace Digital

সাইবারস্পেস এর নাম অনেকে অন্য কারনে জেনে থাকলেও বেশিরভাগই জানেন না যে তারা ডিজিটাল প্রোডাক্ট ও বিক্রি করে। যারা ৫০০-৬০০ টাকার লাইসেন্স কি গুলোতে ভরসা করতে পারেন না, বিভিন্ন সন্দেহ বা দ্বিধা দ্বন্দে ভোগেন ,তারা সাইবারস্পেস থেকে উইন্ডোজ এর Keys,product key কেনাকাটা করতে পারেন ।

কারণ এখানে প্রোডাক্ট কি গুলোর দাম বেশ অনেকটাই বাড়তি, ৩০০০ টাকার আশেপাশে। এছাড়াও পাচ্ছেন মাইক্রোসফট অফিস এর প্রোডাক্ট যেমন ২০১৬,১৯,২১, অফিস ৩৬৫ এর সার্ভিস।

এন্টিভাইরাস এর মধ্যে ইসেট,ক্যাস্পারস্কি, বিটডিফেন্ডার,এভাস্ট,এভিজি ইত্যাদি প্রোডাক্টের লাইসেন্স এখানে পাবেন। VPN কালেকশন এর মধ্যে রয়েছে Nord,Surfshark,Hidemy..,F-secure,AVG Secure,Avast,Mcafee ইত্যাদি ।

ফেসবুক পেজ

রুপকথা

রুপকথার কাছে মুলত পিসি গেমস ,এক্সবক্স সাবস্ক্রিপশন, স্টিম/এপিক ওয়ালেট, ইন গেম কন্টেন্ট বেশি পাওয়া যায় (যা নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা হবে), তবে কিছু সফটওয়্যার কালেকশন ও রয়েছে।

PC Legit Games Shop BD

পেজের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পেজটি মুলত গেম শপ বা ইন গেম কয়েন,টপ আপ,ইন গেম কন্টেন্ট, স্টিম ওয়ালেট, অরি্জিন,এপিক গেমস কিংবা এক্সবক্স পাস কেনার জন্য। এই পেজটি বেশ জনপ্রিয় আমাদের দেশের গেম শপ গুলোর মধ্যে। তবে রুপকথার মত এদের কাছেও বেশ কিছু জনপ্রিয় ,ডিমান্ডিং সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন যেমন উইন্ডোজ ১০,১১ এর কি, এন্টিভাইরাস,ভিপিএন ইত্যাদি। রয়েছে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও।

ফেসবুক পেজ

ওয়েবসাইট

NEM

বেশ অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে এই শপটি। ফেসবুক পেজের পাশাপাশি রয়েছে ওয়েবসাইট ও। উইন্ডোজ ১০,১১ এর প্রোডাক্ট কি/লাইসেন্স কি, মাইক্রোসফট অফিস, গুগল ড্রাইভ এর আনলিমিটেড স্টোরেজ বা মাইক্রোসফট ৩৬৫ এর জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নেম। তাদের কাছ থেকে অনেক কম দামে Adobe Official Subscriptions কিনতে পারবেন। ৫ বছরের Adobe CC  মাত্র 15000 টাকায় পাওয়া যায় এখানে, এছাড়া ২ মাস, ১ বছর, ৩ বছরের প্যাকেজ ও রয়েছে। তারা স্পেশাল অফারে প্রি অর্ডার ও নেয় এডোবি প্রোডাক্টস গুলোর ক্ষেত্রে।

তাদের সবথেকে সুন্দর ব্যাপার গুলোর মধ্যে একটি হলো তারা সরাসরি পোস্ট দিয়ে গ্রাহকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, তারা কিভাবে Product keys গুলো কম দামে,কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করে,এগুলোর রিস্ক কতটুকু,ড্র ব্যাকস কি কি,নিজর মেইল ইউজ করা যাবে কি না ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর লিখে+ভিডিও টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে দিয়ে থাকে।

আরেকটি ব্যাপার হলো NEM এর কাছে সফটওয়্যার এর পাশাপাশি স্টিম কি,অরিজিন কি,স্টিম, অরিজিন, এপিক এর ওয়ালেট, যেকোনো পছন্দের গেম ও কেনা যায়।

তাদের একটি ওয়েবসাইট ও রয়েছে। AppsON.com, facebook page

MacX

এই পেজটিও বেশ জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত । সকল ধরনের Adobe Products, Mac softwares,Scribd,VPN,Skillshare,netflix সহ ইত্যাদি ডিজিটাল সার্ভিসের সাবস্ক্রিপশন এখান থেকে নিতে পারেন। facebook page

পেমেন্ট মেথড ও এক্টিভেশন

উপরের সবগুলো পেজ/ওয়েবসাইটই বিকাশ,নগদ পেমেন্ট সাপোর্ট করে । তবে অর্ডার দেওয়ার সময় স্টক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ও পেমেন্ট সিস্টেম এর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। প্রতি ক্ষেত্রেই আপনাকে আগে পেমেন্ট করতে হবে ,আপনাকে প্রোডাক্ট কি পেমেন্টের পর দিয়ে দেওয়া হবে। কোনো সেটাপ ফাইল, exe,backup ইত্যাদি দেওয়া হবে না. সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড দিয়ে এক্টিভেট অপশন থেকে এক্টিভেট করে নিতে হবে।

উইন্ডোজ এর ক্ষেত্রে এক্টিভেট করার জন্য settings থেকে এক্টিভেশন অপশনে গিয়ে enter a product key তে ক্লিক করে key পেস্ট করে দিতে হবে। অথবা your windows will be expired soon এই prompt এও activate now অপশন এ ক্লিক করলে এক্টিভেশন এর পেজে নিয়ে যাবে।

অফিসের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট এর এই পেজটি তে গিয়ে লগিন করার পর প্রোডাক্ট কি এপ্লাই করলে সেটা ভেরিফাই হয়ে সেটআপ ফাইল চলে আসবে,সেটিকে এক্সিকিউট করলে/চালু করলেই ইন্সটল হয়ে যাবে অফিস।

উইন্ডোজ গুলো কি নকল?

অনেকেরই সন্দেহ হয় যে এই ৪০০-৫০০ টাকার কি গুলো নকল কি না, এগুলো কি আদৌ কাজ করে, এগুলো কি ক্রাক কি না, প্রকৃতপক্ষে সিরিয়াল কি নকল হওয়ার সুযোগ নেই। সেটি retail নাকি OEM, তার ভিত্তিতে দাম যেমন আলাদা হতে পারে, সেটি ঠিক কোন সোর্স থেকে কোন প্রক্রিয়াতে কালেক্ট করছে সেলার, তার উপরেও দাম নির্ভর করে।আমি নিজেও এই ধরনের প্রোডাক্ট কি দিয়েই ২ বছর আগে এক্টিভেট করে চালাচ্ছি কোনো সমস্যা ছাড়াই (দুটি ডিভাইসে)। (সেটি লবস্টার গেমিং থেকে কেনা হয়েছিল)।। আর এই সকল পেজ গুলো থেকেও নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন, এখন পর্যন্ত এই Keys গুলো নিয়ে কোনো issues দেখা যায়নি।

সারসংক্ষেপঃ

আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা এতক্ষণে ভালো ধারনা পেয়ে গিয়েছেন যে উইন্ডোজ থেকে শুরু করে এন্টিভাইরাস,অফিস, প্রোডাক্টিভিটি,ইউটিলিটি সফটওয়্যার গুলোর বেশিরভাগই অত্যন্ত কম দামেই পাওয়া যায়। কিছু কিছু সফটওয়্যার এর বছর ভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন ৮০০০-২৫০০ এর মধ্যে থাকলেও বাকি অনেক গুলোর লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন ও ১৫০০-২৫০০-৩০০০ এরকম রেঞ্জের মধ্যেই থাকে আমরা দেখতে পেলাম।।এক বছরেও ৫০০-১৫০০-২০০০ টাকা কিন্ত খুব বেশি নয়, আমাদের মধ্যে একটি বড় অংশই নেটফ্লিক্স সহ অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে সার্ভিস নিয়ে থাকেন এর থেকে বেশি কস্ট এ। সুতরাং সফটওয়্যার এর দাম যে আহামরি বেশি তা কিন্ত নয়। হিসাবটা হয়তো মাসে ১০০-১৫০-২০০ এর মধ্যেই থাকে। আর যেগুলো লাইফটাইম সেগুলোর দাম প্রায় শুন্যের কোটা তে চলে যায় হিসাব করলে। ১৫০০-২০০০-১০০০ টাকায় একটি সফটওয়্যার থেকে লাইফটাইম সুবিধা নেওয়া একটি অসাধারণ ব্যাপার।

আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনুইন সফটওয়্যার এর দাম নিয়ে কিছুটা হলেও ভুল ধারনার অবসান ঘটেছে।

দ্বিতীয় পর্বঃ কমদামে পিসি গেমস কিভাবে কিনবেন,কিভাবে পেমেন্ট করবেন,গেমগুলোর দাম কত, রিজিয়ন সিস্টেমের ধারণা কি এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে দ্বিতীয় পর্বে।

- Advertisement -

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here