28 C
Dhaka
Thursday, April 25, 2024

ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন না মিডরেঞ্জ স্মার্টফোন? কোনটা কিনবেন!

- Advertisement -

ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোনদের নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। পারফরমেন্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি, ডিসপ্লে, সাউন্ড কোয়ালিটি, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সব দিক থেকেই বিশ্বের সকল ক্যাটাগরির ফোনের থেকে এই ডিভাইসগুলো এগিয়ে থাকে। ওয়ানপ্লাস, স্যামসাং, আইফোন, হুয়াওয়ে এই ৪টি ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন আমাদের বাংলাদেশে সবথেকে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। অফিসিয়াল ভাবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আইফোন অফিসিয়াল ভাবে আসে নি, অথোরাইজড রিসেলারদের মাধ্যমেই দেশে অফিসিয়ালভাবে আইফোনগুলো বিক্রি হয়ে থাকে। গুগলের স্মার্টফোনগুলোও দেশে অফিসিয়ালভাবে আপনি পাবেন না। তবে আজকে ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন নিয়ে কোনো কথা বলতে আসিনি। আজকে বলবো কেন আপনাকে ফ্ল্যাগশীপের পরিবর্তে মিডরেঞ্জ স্মার্টফোন কেনা উচিত।

কেন ফ্ল্যাগশীপে টাকা খরচ না করে মিডরেঞ্জ কিনবেন?

প্রথমে দামের কথা বলি। আনঅফিসিয়াল ভাবে আমাদের দেশে মিড-রেঞ্জের ফোন শুরু হয় ২৫০০০/- টাকা থেকে আর ফ্ল্যাগশীপ শুরু হয় ব্রান্ড ভেদে ৩৫০০০ বা ৪০০০০/- টাকা থেকে। সে হিসেবে ফ্ল্যাগশীপ কিনতে ২০০০০/- টাকা বেশী খরচ করেন তো এতে আপনি বেশি কি কি ফিচার পান ?

- Advertisement -

> ডিসপ্লে নিয়ে কথা বললে, বর্তমানে আপনি যদি ২৫০০০/- টাকার ফোন দেখেন এতেও আপনি এমোলেড ডিসপ্লে পাবেন, এর মধ্যেও ইন ডিসপ্লে ফিংগার প্রিন্ট টেকনোলজি থাকে, মিডরেঞ্জ স্মার্টফোনগুলোতে এখন বেসিক স্ক্রিন থেকে বডি রেশিও অনেক ভালো হচ্ছে। মিডরেঞ্চেও আপনি ভালো কোয়ালিটির ডিসপ্লে পাচ্ছেন।

Pixel 4a – © trustedreviews

ডিসপ্লেতে খুব বেশী পার্থক্য নেই ফ্ল্যাগশীপ লেভেলের ফোন আর মিড রেঞ্জের ফোনের মধ্যে, এই ধরুন ১৮/২০ এই রকম পার্থক্য রয়েছে, ১০/২০ এরকম নয়।  বর্তমানে ভালো কোয়ালিটির এমোলেড স্ক্রিণ, হাই রিফ্রেশরেট, In-Display ফিঙ্গারপ্রিন্ট এই সকল ফিচার মিড রেঞ্জেও পাওয়া যায় । আর যদি আপনার ২কে স্ক্রিণ, ৪কে স্ক্রিণ মানে QHD, OLED স্ক্রিণ দরকার আসলেই পড়ে তাহলে এটি ফ্ল্যাগশীপ ছাড়া অন্য স্মার্টফোনে পাবেন না । কিন্তু ১৫০০০/- থেকে ৩০০০০/- টাকার ফোনে 4K স্ক্রিণ মানে কিউএইচডি স্ক্রিণ পাবেন না, আর আমার মনে হয় আমাদের অধিকাংশ ইউজারদের এটি দরকারও নেই। কারণ স্ক্রিণ কোয়ালিটি যত উন্নত হবে, সেটা নস্ট হয়ে গেলে রিপেয়ার করতে তত বেশি অর্থ আপনাকে ব্যয় করতে হবে। তবে এটা ঠিক যে আল্ট্রা ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসগুলোতে যে স্ক্রিণ কোয়ালিটি দেওয়া থাকে সেটা আসলেই অনেক উন্নত, ওই ডিসপ্লে স্মার্টফোন একবার ব্যবহার করলে অন্য ডিসপ্লে টাইপের ডিভাইস আপনার আর ব্যবহার করে মজা লাগবে না!

iphone SE 2 © trustedreviews.

> বিল্ট কোয়ালিটি বিষয়ে বললে, বর্তমানে সামনের এবং পিছনের গ্লাস মেটারিয়ালের ব্যবহারকে প্রিমিয়াম মানা হয় যেটি ফ্ল্যাগশীপেও থাকে আবার  থেকে ২৫/৩০ হাজার টাকার ফোনেও থাকে । অর্থাৎ আপনি ফ্ল্যাগশীপের চেয়ে ১০/১৫/২০ হাজার টাকার কম দামী ফোনেও গ্লাস পাবেন । তবে মিড রেঞ্চে ফ্ল্যাগশীপের মতো বিল্ট কোয়ালিটি পাবেন না। ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসগুলো হাতে নিলে যেরকম প্রিমিয়াম প্রিমিয়াম আলাদা ফিল হয় সেটা মিড রেঞ্চের অনেক সেটে পাবেন না। কিন্তু কিছু কিছু নির্দিষ্ট মিডরেঞ্জ ডিভাইসে ফ্ল্যাগশীপের “কাছাকাছি” বিল্ড কোয়ালিটি পেয়ে যাবেন। তাই মিডরেঞ্চ ডিভাইস কেনার আগে একটু বিল্ড কোয়ালিটি যাচাই করে নিতে হবে।

- Advertisement -
Oneplus 8T © trustedreviews

> এখন কথা বলি পারফরমেন্সের; পারফরমেন্সেই মিডরেঞ্চ এবং ফ্ল্যাগশীপের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে, কিন্তু তাই বলে আপনি মিড রেঞ্জের ফোন বাদ দিয়ে ফ্ল্যাগশীপ লেভেলের ফোন কেন কিনবেন?  বর্তমানে ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোনে Antutu স্কোর ৬/৭ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে, যেটা আমাদের বর্তমানের সাধারণ কাজ করার জন্য দরকারের থেকে অনেক অনেক বেশি। আর মিডরেঞ্জ ডিভাইসগুলো পারফরমেন্স লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এদের Antutu স্কোর ৩/৪ লাখের মধ্যে থাকে (ব্রান্ড, অপটিমাইজেশন ভেদে কমবেশি হতে পারে) । বর্তমানের নরমাল টাস্ক, কল, নেট ব্রাউজিং, হালকা গেমিং, মাল্টিটাস্কিং ইত্যাদি কাজের জন্য ৩/৪ লাখ স্কোরের পারফরমেন্স More Than Enough! বাজেট স্মার্টফোনেও এখন দুই/আড়াই লাখ স্কোরের পারফরমেন্স পাওয়া যাচ্ছে! তবে আপনি যদি গেমার হোন , প্রফেশনাল গেমার হোন (Stream + Game) , বেশী ভিডিও এডিটিং করেন, মোবাইলে দুনিয়া যত মাল্টিটাস্কিং রয়েছে সব করেন তাহলে আমি বলব আপনি ফ্ল্যাগশীপ লেভেলের ফোন কিনেন; কারণ আপনার যে পারফরমেন্সের দরকার সেটা মিডরেঞ্জ ডিভাইসগুলো দিতে পারবে না। এই বিষয়ে আরো তথ্য জানতে পরিশিষ্ট অংশটি দেখুন।

Samsung Galaxy F62 © HT Tech

> ও.এস (অপারেটিং সিস্টেম): আমাদের অনেকেই স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে বেশী গুরুত্ব দেই না , কিন্তু যখন আপনি আপনার ফোন ব্যবহার করেন তখন সবচেয়ে বেশী ইন্টারেক্ট হয় OS এর সাথেই ।  বাজেট / মিডরেঞ্চ/ ফ্ল্যাগশীপ যে ক্যাটাগরির ডিভাইস কিনেন না কেন অপারেটিং সিস্টেমের উপর আপনার অবশ্যই গুরুর্ত্ব দিতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড আর iOS প্রধান দুটি মোবাইল অপারেটর থাকলেও আমি অ্যান্ড্রয়েডের উপর বিভিন্ন ব্রান্ড যে নিজস্ব UI ব্যবহার করে সেগুলোর কথা বলছি। মিডরেঞ্জ ডিভাইসগুলোতে শাওমি, রিয়েলমি, ওপ্পো ইত্যাদি ব্রান্ডের UI তে আপনি বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপনের বাহার দেখবেন! এই সকল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডিভাইসের কম দামের বিষয়টি কোম্পানিগুলো উঠিয়ে নিয়ে থাকে। আবার Clean ভ্যানিলা অ্যান্ড্রয়েড OS যুক্ত মিডরেঞ্জ নিলে বিজ্ঞাপন না দেখলেও দেখা যায় যে একমাত্র গুগলের ডিভাইস ছাড়া এই সকল ক্লিন অ্যান্ড্রয়েড OS ডিভাইসে সময়মত আপডেট কোম্পানি থেকে দেওয়া হয় না। মানে সব জায়গায় আপনি রাজনীতির দেখা পাবেন! ক্লিন অপারেটিং সিস্টেম আর সময়মতো আপডেট পেতে হলে আপনাকে ফ্ল্যাগশীপে যেতেই হবে!

> ক্যামেরা : আসলে এটি নির্ভর করে আপনি ক্যামেরা দিয়ে কি কাজ করেন তার উপর।  বর্তমানের শতকরা ৯০% ভাগ মিড রেঞ্জের ফোনগুলোতে যে ক্যামেরা থাকে সেগুলো অনেক ভালো হয়ে থাকে । আর আপনি যদি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হন, ফটোগ্রাফি করতে আপনার অনেক ভালো লাগে তাহলে আমি বলব ফ্ল্যাগশীপ ফোন নেন। কারন, ফ্ল্যাগশীপের ক্যামেরা টিউনিং, অপটিমাইজেশন, AI  অনেক বেশী ভালো হয় । যেমন, ওয়ানপ্লাস, স্যামসাং এর নোট সিরিজ/ গ্যালাক্সি এস সিরিজ, আই ফোনের লেটেস্ট মডেল এদের ক্যামেরা অনেক ভালো হয়। শুধুমাত্র ক্যামেরা প্রেমী হলে আপনি পিক্সেলের ফোন দেখতে পারেন। পিক্সেল ডিভাইসগুলোর সফটওয়্যার, অ্যালগোরিদম এবং অপটিমাইজেশন সবথেকে ভালো হয়ে থাকে।

- Advertisement -
Oneplus Nord © ephotozine

তবে তাই বলে মিড রেঞ্জের ফোনে ছবি খারাপ আসে এটা কিন্তু নয় না। আপনি যদি সাধারণ থেকে একটু হেভি ইউজার হয়ে থাকেন মানে যেখানে আপনি প্রচুর সেলফি তুলেন, বাইরে ছবি তুলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের জন্য ছবি তুলেন তাহলে অবশ্যই মিড রেঞ্জ ফোন ব্যবহার করেন কারন এতে অনেক ভালো ক্যামেরা আছে , মিড রেঞ্জ ফোনে ৬৪ মেগা পিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা আছে,আলট্রাওয়াইড আছে ,বুকেহ ও আছে ,ব্রান্ড ভেদে ভালো Macro ও পাবেন অর্থাৎ সবকিছুই পাবেন এই মিড রেঞ্জের ফোনে । এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেন কোন ধরনের ক্যামেরা আপনার পছন্দ। অর্থাৎ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার বা ফটোগ্রাফি আপনার পেশা না হলে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ক্যামেরার জন্য ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইস নেওয়াটা এক ধরণের অপচয়।

> চার্জিং/ ফাস্ট চার্জিং: যদি ব্যাটারী দেখেন তাহলে মিড রেঞ্জে সাধারণত গড়ে ৪০০০ mAH ক্ষমতার ব্যাটারি পাবেন, আপনি ফ্ল্যাগশীপে ও একই রকম পাবেন।  পার্থক্য থাকে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজিতে । আপনি যদি ফ্ল্যাগশীপ ফোন দেখেন এতে ৪০ ওয়াট, ৪৫ওয়াট,৫৫ওয়াট,৬৫ ওয়াট, ১২০ ওয়াট এরকম চার্জিং টেকনোলজি পাবেন, যেখানে মিড রেঞ্জে পাবেন ১৩/১৮/২০/২৫/ ৩০ ওয়াট। তবে এখন মিডরেঞ্জ রিয়েলমী / অপ্পো / শাওমি ডিভাইসগুলোতে ধীরে ধীরে উন্নত মানের ফাস্ট চার্জিং ফিচার দেওয়া শুরু হয়েছে।

© Slimger

এখানে মূল পার্থক্য হল, যেখানে আপনি ফ্ল্যাগশীপ ফোন আধা ঘন্টায় ফুল চার্জ করতে পারছেন; সেখানে মিড রেঞ্জে এক ঘন্টায় / দেড় ঘন্টায় ফুল চার্জ হচ্ছে। এখন আপনার উপর এটি সময়ের বিষয়টি নির্ভর করছে । শুধু এই পার্থক্যের জন্য আপনি ২৫০০০/- টাকার ফোন না নিয়ে ৫০০০০/- টাকার ফোন কিনবেন ? আমার এই প্রশ্ন আপনার কাছে ।

অনেকেই ফ্ল্যাগশীপ ফোন কিনেন শুধু ব্র্যান্ড ভ্যালুর জন্য । আপনি আইফোন,  ১+, স্যামসাং এর নোট সিরিজ/ এস সিরিজ ব্যবহার করেন এগুলোর যে ব্র্যান্ড ভ্যালু থাকে সেটি ফ্ল্যাগশীপ লেভেলের । যদি আপনার কাছে এই ব্র্যান্ডই শুধু গুরুত্বপূর্ণ হয় বাকি সব বিষয় যেমন- ব্যাটারী, ক্যামেরা, পারফরমেন্স , ডিসপ্লে এগুলোর জরুরী নয় তাহলে আমি বলব ফ্ল্যাগশীপ ফোন নেন ,আর এর জন্য তাই লাখ টাকাও খরচ করতে পারেন, কারণ কথায় আছে না শখের লাখ টাকা তোলা!

সারসংক্ষেপঃ

১) কমপ্লিট প্যাকেজ হিসেবে মিডরেঞ্জে আপনি সব কিছুই পাবেন। ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসে লেটেস্ট এবং Fastest কম্পোনেন্ট পাবেন, টপনচ প্রসেসর, বিশাল র‌্যাম, বড় স্টোরেজ সলিউশন, শার্প ক্যামেরা ইত্যাদি সব কিছুরই সবথেকে ভালো সংষ্করণ পেয়ে যাবেন।  তবে মিডরেঞ্জ স্মার্টফোনগুলোতে প্রতিদিনের কাজগুলো করার সকল উপাদান রয়েছে । ব্রাউজিং, গেমিং, মাল্টিটাস্কিং ইত্যাদি সব কিছুই স্বাভাবিক ইউজার হিসেবে আপনার প্রতিদিনের সকল কাজ করার জন্য মিডরেঞ্জ স্মার্টফোনগুলো More than Capable ! মজার ব্যাপার হচ্ছে বর্তমানে মিডরেঞ্জ ডিভাইসে কিছু কিছু ফিচার পাবেন যেগুলো এখন আর ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসে দেওয়া হয় না। যেমন 3.5mm অডিও জ্যাক, microSD কার্ড স্লট!

২) ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসগুলো ফিচার ব্যবহার করতে মন চায়? কিন্তু শুধুমাত্র ওইসকল ফিচারের জন্য এতটাকা দিয়ে ফ্ল্যাগশীপ কিনতে চাচ্ছেন না? তাহলে মিডরেঞ্জ ডিভাইসে দেখতে পারেন। ফ্ল্যাগশীপ ডিভাইসের ফিচারগুলো এখন মিডরেঞ্জ ডিভাইসে “বাজেট” আকারে চলে আসে। যেমন: ততোধিক ক্যামেরা মডিউল, In-Display ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফাস্ট চার্জিং, চমৎকার মসৃণ Refresh Rate ইত্যাদি।

৩) সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একটি ফ্ল্যাগশীপ স্মার্টফোন যা যা করতে পারে, সেটা একটি মিডরেঞ্জ স্মার্টফোনও করতে পারে, বোনাস হিসেবে কম মূল্য তো রয়েছেই। অনেক মিডরেঞ্জ ডিভাইস আছে যেগুলো ফ্ল্যাগশীপ কিলার খ্যাতি পেয়ে থাকে, এই সকল ডিভাইসগুলোই ফ্ল্যাগশীপের ফিচারগুলো Affordable দামে মিডরেঞ্জ-আপার মিডরেঞ্জে নিয়ে আসে।

৪) হ্যাঁ তবে মিডরেঞ্জে আপনি ফ্ল্যাগশীপের মতো State-of-the-Art টাইপের ক্যামেরা সিস্টেম পাবেন না। একই সাথে ২৫/৩০টা অ্যাপস চালু রেখে মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন না। ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে স্ট্রিমিং করতে গেলে ল্যাগের দেখা পাবেন। ইত্যাদি সমস্যা গুলো এখনো মিডরেঞ্জে রয়েছে। তাই এই সকল বিষয়গুলো আপনার বেশি দরকার পড়লে ফ্ল্যাগশীপ ছাড়া অন্য কোনো অপশন নেই আপনার জন্য।

৫) মিডরেঞ্চে এখন প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং বিল্ট কোয়ালিটি এসে পড়েছে! ডিজাইন আর বিল্ট কোয়ালিটির জন্য ফ্ল্যাগশীপের আর প্রয়োজন নেই!

৬) ভবিষ্যৎ Proof করতে এখন মিডরেঞ্জ ডিভাইসে 5G ফিচার আসা শুরু হয়েছে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে র‌্যাম আর বড় বড় স্টোরেজ সিস্টেম! তাই বলা চলে, কমপক্ষে ২ বছর আরাম করে একটি মিডরেঞ্জ ডিভাইস আপনি ব্যবহার করতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই!

Redmi Note 10 Pro Max © GSMArena

পরিশিষ্ট

৬০/৭০ হাজার টাকা খরচ করে  ফ্ল্যাগশীপ ফোন যখন নিবেন, কয়েকমাস পরে দেখবেন সেই ফোনের দাম বেশ কমে গিয়েছে । কিন্তু মিড রেঞ্জের ফোনের ক্ষেত্রে আবার এমনটি হয় না । মিড রেঞ্জের ফোনে যেমন- আপনি ২৫০০০/- টাকার ফোন নিয়েছেন ৬ মাস পরে দেখবেন আপনি এই ফোনটি খুব সহজেই ১৮০০০/- বা ২০০০০/- টাকায় বিক্রি করতে পারবেন । এমনকি ১ বছর পরেও এটি ৭০০০/-,৮০০০/- টাকায় বিক্রি করতে পারবেন ।  কিন্তু ৬০০০০/- টাকার ফ্ল্যাগশীপ ফোন যখন ৬ মাস পরে বিক্রি করতে যাবেন তখন সেটি ৩০০০০/- বা ৩৫০০০/- টাকার উপর বিক্রি করতে পারবেন না । এর মানে যারা ঘন ঘন স্মার্টফোন পাল্টান তাদের অনেক অপচয় হয় এই ফ্ল্যাগশীপ ফোনে ।

তবে আপনি যদি ৩/৪/৫ বছর ধরে একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে টাকা বাঁচিয়ে ফ্ল্যাগশীপ কিনতে পারেন। কারণ আজকের ৭ লাখ পারফরমেন্স স্কোরের ফ্ল্যাগশীপ ফোনটি ২/৩ বছর তখনকার মিডরেঞ্জ ফোনের পারফরমেন্সের সমান হবে। মানে ৩/৪ বছর পরেও আপনার বর্তমান ফ্ল্যাগশীপটি পারফরমেন্স, ক্যামেরা, অপটিমাইজেশন সবকিছু দিন দিয়ে তখনকার মিডরেঞ্চের মতোই আপনাকে সার্ভিস দিবে।

আর শেষ কথা হচ্ছে, আপনার টাকা থাকলে আপনি বাজেট/মিডরেঞ্চ/ফ্ল্যাগশীপ/আল্ট্রা ফ্ল্যাগশীপ যেটা খুশি সেটা কিনতে পারেন, এখানে আমি বলার কেউ না! LOL 😉

তবে যারা যারা কারণ ছাড়াই মিডরেঞ্চ ডিভাইসগুলোকে খারাপ ভেবে কস্ট করে বেশি টাকা জমিয়ে ফ্ল্যাগশীপে যাবার কথা ভাবছেন তাদেরকে বলবো এখন আপনার জন্য মিডরেঞ্জেই অনেক ভালো ভালো ডিভাইস রয়েছে!

 

দুইটি ফোন নিয়ে Redmi Note 10 Series চলে এল দেশে

- Advertisement -

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here